Posts

Showing posts with the label ব্লগ

কার্টুনিস্টস শপ নির্মাণ কাজ চলিতেছে।

Image
গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১লা অক্টবর একটা প্রকল্প শুরু করেছি, নাম কার্টুনিস্টস শপ বা কার্টুনিস্টদের দোকান। প্রকল্পটি বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। জনসাধারণের জন্য এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি। আশাকরছি চলতি বছর জুন-জুলাই প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। কার্টুনিস্টস শপ হলো কার্টুনিস্টদের একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দেশের কার্টুনিস্ট/আর্টিস্ট, তাদের শিল্পকর্ম বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন করতে পারবে এবং বিক্রয় করতে পারবে। কার্টুনিস্টস শপ থেকে ক্রেতা শিল্পকর্মের ডিজিটাল কপি বা কাগজে মুদ্রিত কপি উভয় সংস্করণ কিনতে পারবে। ডিজিটাল কপি ক্রেতা ক্রয় এবং মূল্য পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে। কাগজে মুদ্রিত কপির ক্ষেত্রে ২ সাপ্তাহের মধ্যে তা ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে। শিল্পকর্ম ক্রয়ের পাশাপাশি ক্রেতা তার প্রকল্পের কাজের জন্য শিল্পীর সেবা ক্রয় করতে পারবে। ক্রেতা প্যেপাল এবং ক্রেডিটকার্ড ব্যবহার করে মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। শিল্পকর্মের মধ্যে থাকবে কার্টুন, কমিক স্ট্রিপ, ক্যারিকেচার, ইলাস্ট্রেশন, পেইন্টিংস এবং অন্যান্য। সেবার মধ্যে থাকবে ক্যারিকেচার অঙ

প্রকৃতি ভ্রমণে একদিন

Image
তখন গ্রীষ্মকাল ছিল। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে মধ্য-দক্ষিণ নরওয়ের পর্বত ঘেরা প্রকৃতি ভ্রমণে গিয়েছিলাম আমার এক বন্ধুর নিমন্ত্রনে। সেদিনের শেষ বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিজেকে স্বর্গলোকে আবিষ্কার করেছিলাম এই দেখে যে, সেখানে সময় অসময়ে মেঘেরা আসে পর্বতকে আলিঙ্গন করতে। আমি মেঘের মাঝে হেটে ছিলাম পর্বতের গা বেয়ে। চারিদিকে ঝর্ণার কলকলে ধ্বনি, পাখিদের কিচিরমিচির আর ভূপৃষ্ঠের সবুজ লতা-গুল্মে পুষ্পরাজিরা মেতেছিলো আপন রূপ প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায়। সে এক অপরূপ দৃশ্য। নরওয়েজীয় বন্ধুর বাংলো থেকে গাড়ি চালিয়ে প্রায় এক ঘন্টার পথ পেরিয়ে আমরা গিয়েছিলাম মালভূমি পরিভ্রমনে। মালভূমির উপরেই রয়েছে এক পর্বতমালা। এই অঞ্চলটিকে ঘিরে একাধিক পৌরাণিক গল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। এই স্থানকে নরওয়েজিয়ান ভাষা বলা হয় ''Jotunheimen'' বাংলায় ভাবার্থ দাঁড়ায় ''দৈত্যদের নিবাস''। ভূপৃষ্ঠে ছোট বড় অসংখ্য পাথর, পানির কলকল ধ্বনি শুনতে পাচ্ছিলাম, পর্বতের গা বেয়ে ছোট বড় অসংখ্য পানির ধারাও চোখে পড়ছিলো। কোথাও পানি জমে ছোট্ট ডোবা বা পুকুরের মত সৃষ্টি হয়েছে আর সেই পানিকে কেন্দ্র করে একধরণের পাখির আনাগোনা চোখে পড়ার

ঠাকুর বাড়ির ধূলি

Image
১৯৯৩ সাল, শাহজাদপুর শহরে আমি নবাগত। ক্লাস ফাইভে সদ্য ভর্তি হয়েছি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের পাশেই মামার বাসা ছিল। এর কিছুদিন পর গ্রাম থেকে আমার প্রাণপ্রিয়া নানী আসলেন আমাকে দেখতে। আমি যখন গ্রামে নানীর বাড়িতে থাকতাম তখন নানীর আঁচল ছিল আমার সব কিছু। সে যেখানে যেতো, আমিও তার আঁচল ধরে সেখানেই যেতাম। তো যাই হোক নানী এসেছেন আমাকে শাহজাদপুর শহর ঘুরে দেখতে। সবার প্রথমে তিনি আমাকে রবি ঠাকুরের কাচারী বাড়ি দেখবেন। তো আমি আর নানী রওনা হয়েছি, নানীর আঁচল ধরে হাটছি। নানী বলছিলেন, ''সেই অনেক আগের কথা, ঠাকুরেরা ছিল এই এলাকার জমিদার। একবার রবি ঠাকুর এর নৌকো আমার নানা বাড়ির ঘাটে ভিড়িয়ে ছিলো। আমার মা তখন ছোট্ট বালিকা। তিনি নিজ হাতে বকুল ফুলের মালা গেঁথে রবি ঠাকুরকে উপহার দিয়েছিলেন।''  তিনি আরো বলছিলেন, ''রবি ঠাকুর এই শাজাদপুরের মাটিতে বসে অনেক গান, কবিতা, গল্প রচনা করেছেন। যেমন, আমাদের ছোট নদী, তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে, পোস্টমাস্টার, কীর্তি, ছুটি, সমাপ্তি, ইত্যাদি। রবি ঠাকুর আমাদের বিশ্ব কবি। আমাদের জাতীয় সংগীত তাঁর লেখা। সারা বিশ্ব চেনে তাঁকে এক নামে।''

সুলতান - Sultan (2016 film)

Image
এক কথায় মন্তব্য: অসাধারণ একটি প্রেম-ক্রীড়া বিষয়ক কাহিনীচিত্র।  এক কথায় কাহিনী: সুলতান, যে তার লক্ষ্যার্জনের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সে সর্বদা সফলকাম হয়।  আমার সমালোচনা: বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী যেমন তার রান্নায় নুডুলসের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার দেখিয়ে থাকেন। তেমনি এই চলচ্চিত্রে ভিডিওকনের ডিস এন্টেনার ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার এবং এর উপস্থিতি বেশ লক্ষ্যণীয়। যেমন: হোন্ডার পিছনে  ভিডিওকনের ডিস এন্টেনা । এমনকি এই চলচ্চিত্রে ডিশ এন্টিনা বিষয়ক একটি গানও আছে।  তাই এটিকে ভারতীয় দূরদর্শন প্রতিষ্ঠান ভিডিওকনের পূর্ণদর্ঘ্য বিজ্ঞাপন এবং আনুসাঙ্গিক ঘটনা প্রবাহের সমন্বয়ে নির্মিত একটি কাহিনীচিত্র বলা যেতে পারে। 

আমার সংগীত সাধনা - ২

Image
আমি তখন শাহজাদপুর সরকারি কলেজে স্নাতক অধ্যায়ন করছি। তখন প্রতিদিন সন্ধ্যায় ইটিভিতে ''বন্ধন'' নামে একটা ধারাবাহিক নাটক দেখাতো। পুরো নাটকটা  খুব কম-ই দেখা হতো, তবে অর্ণবের কণ্ঠে শীর্ষ সংগীত ''ব্যস্ত শহরে'' কখনোই দেখা বাদ দিতাম না, গানটা আমার ভীষণ প্রিয় ছিল শুধু এই কারণে দেখতাম প্রতিবার। শীর্ষ সংগীত শুনতে শুনতে একদিন আমার-ও গান গাইতে ইচ্ছে জাগলো মনে। টিভি পর্দায় চোখ রেখে অর্ণবের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে যেই না গাইতে শুরু করেছি, ''ব্যস্ত শহরে, ঠাস বুনোটের ভিড়ে, আজও কিছু মানুষ স্বপ্ন খুঁজে ফেরে। ব্যস্ত শহরে ....''  অমনি, পিছন থেকে এক অনুজা আমাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলো এই বলে, ''ব্যাস, অনেক হয়েছে, ভাঙা গলায় কুকুরের মত আর ঘেউ ঘেউ করতে হবে না, এবার থামো।'' সঙ্গে সঙ্গে আমি সম্বিৎ ফিরে পেলাম।  ধমকে ব্যবহৃত শব্দ সমূহ খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল।  অনুজা নিয়মিত সংগীত চর্চা করেন, ওস্তাদের কাছ থেকে রবীন্দ্র-নজরুল ও অন্যান্য সংগীতের বিষয়ে তালিম নিতেন। তাই হয়তো আমার কর্কশ কণ্ঠে গান গাওয়ার চেষ্টাকে তিনি গানের অপমান মনে করে কুকুরের ঘেউ ঘেউ এর সঙ্গে তুলন

আমার সংগীত সাধনা - ১

আমি তখন নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার এক অনুজা সংগীত চর্চা করতো, মূলত তাকে তালিম দিতেই বাড়িতে নিয়মিত গানের ওস্তাদ আসতো। মাঝে মধ্যে অনুজাকে সঙ্গে করে সংগীত বিদ্যালয়ে নিয়ে যেতাম, তার গান শেখা অব্দি সেখানে বসে থাকতাম, গান শেখা শেষ হলে তাকে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে আসতাম। গানের ওস্তাদকে সবাই মামা বলে সম্বোধন করতো তাই সকলের দেখাদেখি আমিও মামা বলে সম্বোধন করতাম। তিনি অনেক আন্তরিক ও স্নেহপরায়ণ মানুষ ছিলেন। অনুজা গানের তাল-লয়-রাগ থেকে শুরু করে রবীন্দ্র-নজরুল-আধুনিক গান শিখতো আর আমি পাশে বসে বসে সংগীত অনুরাগী শ্রোতার মতন একাগ্র চিত্তে শুনতাম। সংগীতের প্রতি আমার মনোযোগ দেখে একদিন গানের ওস্তাদ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ''কি গান শিখবে?'' আমি মৃদু হেসে মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়েছিলাম। হারমোনিয়ামে আঙ্গুল রেখে যেই সারেগামা শুরু করেছি অমনি পাশ থেকে একজন বলে উঠলো, এই কর্কশ কন্ঠীকে গান না শিখিয়ে ডুগি-তবলা বাঁজানো শেখান তাও একটা কাজের কাজ হবে, অন্তত (অনুজাকে ইঙ্গিত করে) ওর গানের সাথে বাঁজাতে পারবে। আশাহত আমি হারমোনিয়াম ছেড়ে ডুগি-তবলা বাঁজানো শেখা শুরু করলাম। খুব মনোযোগ দিয়ে শিখতে লাগলাম সে

চড়ুই চলচ্চিত্র

Image
গত পরশু দিন বিকেলে আমি আর আমার এক প্রবীণ বন্ধু শহরের সৌন্দর্য দর্শনের জন্য আলোকচিত্রগ্রহণযন্ত্র সঙ্গে নিয়ে বের হয়েছিলাম। ঘন্টা খানেক হাঁটার পর প্রবীণ বন্ধটি আমাকে মধ্যাহ্ন ভোজের আমন্ত্রণ জানালেন। পথের পাশেই দেখতে পেলাম একটি রেস্তোরাঁ সামনে ছোট্ট একটি বাগান। বাগানটিও রেস্তোরাঁর অংশ, বাগানের চারপাশে ফুল ও সবজির গাছ ভেতরে কিছু সারণী ও কেদারা সাজানো আছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম কিছু চড়ুই পাখি আনাগোনা করছে। আমার সঙ্গে থাকা  আলোকচিত্রগ্রহণযন্ত্র দিয়ে চিত্র ধারণ করতে লাগলাম আর খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। রেস্তোরাঁর পরিবেশক খাবার দিয়ে যাওয়া মাত্রই বনরুটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে চড়ুই গুলোকে খাওয়াতে লাগলাম আর চিত্র ধারণ করলাম। অনেকদিন চলচ্চিত্র সম্পাদনার কাজ করা হয়না তাই ভাবলাম পরশুদিনের ধারণ করা চলচ্চিত্র অংশ সম্পাদনা করে কিছু একটা করা উচিত। তাই আজ  সারা সন্ধ্যা বসে বসে পনেরো মিনিটের খসড়া চলচ্চিত্র কে কেঁটে-ছেঁটে তিন মিনিটের চূড়ান্ত চলচ্চিত্রে রূপ দিলাম। চলচ্চিত্রের রং সংশোধন করার সাথে সামান্য একটু দৃশ্যমান প্রভাবও প্রয়োগ করেছি। পুনশ্চ: চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার লেখায় শত ভাগ বাংলা শব্দের ব্য

আমার আন্তঃজাল বেতার

Image
২০১১ সালে একবার খুব ইচ্ছে হলো আন্তঃজাল ভিত্তিক একটি বেতার মাধ্যম চালু করার। সেই বছরেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি আন্তঃজাল বেতার চালুও করেছিলাম। প্রথম দিকে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতাম আমার নিজস্ব পরিগণক থেকে, আর অনুষ্ঠান হিসেবে যা প্রচার করতাম তা ছিল আমার পছন্দের গান। পরিগণকটি প্রায়শঃ যান্ত্রিকত্রুটির কারণে সংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যেতো আর এই কারণে সম্প্রচারেও প্রায়ই বিঘ্ন ঘটতো। এরপর বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ভেবে-চিন্তে স্থায়ী সমাধান বের করি এবং ফরাসি থেকে মেঘ ঊর্ণ গুদাম ক্রয় করি। সেই থেকে আমার আন্তঃজাল বেতার নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে একযোগে অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। এরপর শ্রোতাপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ২০১৪ সালে নতুন নামে এবং নতুন ভাবে কার্যক্রম চালু, ইংরেজি ও বাংলা দুটি পৃথক মাধ্যমেও অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করি। বর্তমানে ১৫০টির ও বেশি দেশ থেকে মানুষ আমার আন্তঃজাল বেতার শুনে থাকে। গত জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি বার এবং নিম্নদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে শোনা হয়েছে  FnF.FM ইংরেজি মাধ্যমটি। অন্যদিকে FnF.FM বাংলা বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি বার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি সম

গ্রীষ্মকালীন গৃহউৎসব

প্রতিবছর স্থানীয় নরয়েজিয়দের গ্রীষ্ম, শীত, শরৎ ও বসন্তকালীন বিভিন্ন উৎসবে আমি আমন্ত্রণ পেয়ে থাকি। এবং তাদের সাথে উৎসব উজ্জাপনও করে থাকি।  গতকালকে, একটি নরওয়েজীয় পরিবার ও তাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে গ্রীষ্মকালীন গৃহউৎসব উৎযাপনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলাম। বিকেল পাঁচটায় নিমন্ত্রণকারী গাড়ি নিয়ে এসেছিল আমাকে বাসা থেকে নিতে। উৎসবে পানাহার এর সাথে সাথে আমরা মেতে ছিলাম বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনায়।  উক্ত অনুষ্ঠানে যে সকল পুরুষগণ এসেছিলো, একমাত্র আমার বাদের সকলের স্ত্রী থাই বংশোদ্ভূত। থাইদেশের লোকজনদের সাথে কথা বলে আমি যেটা বুঝি, তা হল তাঁরাও বাঙালিদের মত আন্তরিক, অতিথি পরায়ণ এবং মিশুক।  আগত পুরুষগণের মধ্যে এক ষাট ঊর্দ্ধ প্রবীণ লোক ছিলেন যিনি চার বছর আগে আমার প্রতিবেশী ছিলেন এবং তিন বছর হলো থাইদেশ থেকে এক যুবতী মহিলাকে বিয়ে করে নরওয়েতে এনেছেন। সাবেক প্রতিবেশীর সাথে করমর্দন করার পর তিনি তার নতুন স্ত্রীর সাথে যখন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তার স্ত্রী জানালেন যে, তিনি আমাকে চেনেন।  নতুন স্ত্রীর মুখে আমার সম্পর্কে শোনার পর প্রবীণ লোকটি কৌতূহলী হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ''এনার সাথে তো তোম

হিরো আলম / Hero Alom

Image
গতকাল থেকে আমার ফেসবুকের সংবাদপ্রবাহে ''হিরো আলম / Hero Alom'' এর নামে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকের ফেসবুক বক্তব্য পড়ে এমন মনে হয়েছে যেন, হিরো আলমের মতো গেঁয়ো, কালো, বেঁটে এবং অশিক্ষিত ছেলের নায়ক হিসেবে স্বপ্ন দেখা এবং নায়ক হওয়ার চেষ্টা করাটা ঘোরতর অন্যায়। আমরা বাঙালিরা যেন অন্যকে উৎসাহ বা অনুপ্রেণা দেয়ার চাইতে ঠাট্টা - বিদ্রুপ করে মজা নিতেই বেশি পছন্দ করি। আমরা নিজেরা তো কিছু করি না বরং কেউ কিছু করতে গেলে তাকে এক কদম এগিয়ে যেতে সাহায্য করার পরিবর্তে টেনে হিচঁতে অপদস্থ করে নিচে নামাতে বা থামিয়ে দিতেই বেশি ব্যস্ত। আমি হিরো আলমের ভিডিও গুলো দেখে বুঝলাম তার মধ্যে যা আছে তা আমাদের সমাজের অনেক হিরোমার্কা, সুদর্শন, স্বাস্থ্যবান, ধনীর দুলালের মাঝেও নেই, আর তা হলো প্রতিভা আর  নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সৎসাহস। এইজন্য আমি তার প্রশংসা করি এবং এটি তার প্রাপ্য বলেই বিশ্বাস করি। আমি মনেকরি আমরা জাতি হিসেবে আরো উন্নত হতে পারবো যদি আমরা মানুষকে তার উচ্চতা, চেহারা বা গায়ের রঙের পরিবর্তে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে শিখি। মানুষকে তার কাজের জন্য প্রশংসা করতে শিখি। আমাদের জেনে রাখা উচি

পুরাণ কথা - ২

শৈশবে গ্রামে থাকতে জোছনা রাতে নানার বাড়ির উঠোনে খেজুর পাতার পাটিতে শুয়ে শুয়ে নানীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পৌরাণিক গল্প, রূপকথা, উপকথা, বাংলার লোকজ গল্প শুনতাম, যা আমাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করতো। একই গল্প  প্রায় প্রতিদিনই শুনতাম তবুও সেগুলোকে কখনোই পুরাতন মনে হতো না, যতই শুনতাম ততই ভালো লাগতো। এই গল্পগুলোই ছিল সেই সময়ের বিনোদনের একমাত্র উৎস। এরপর শহরে আসার পর মামার টেলিভিশনের কল্যানে ভারতীয় টিভি চ্যানেলে রামায়ণ এবং মহাভারত নামক সিরিয়াল দেখার মাধ্যমে রামায়ণ এবং মহাভারত নামক পৌরাণিক কাহিনী দুটির সাথে পরিচিতি লাভ করি। ক্লাসের বন্ধুদের মুখেও ভারতীয় পুরাণের অনেক গল্পই শুনেছি।  এছাড়া আমার বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে পৌষ-পার্বণে পারিবারিক ও ধর্মীয় উৎসবে কীর্তন শুনতাম। সেখান থেকেও অনেক পৌরাণিক কাহিনীর সাথে পরিচিত হই। এভাবেই পুরাণিক গল্প কাহিনী শৈশবে আমার মনে স্থান করে নিয়েছিল। এর পর ইউরোপে আসার পর গ্রিক ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পৌরাণিক গল্প কাহিনীর সাথে পরিচিতি ঘটে। এদের পৌরাণিক গল্পকাহিনী ভারতীয় গল্পকাহিনী থেকে ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু চরিত্রে ও ঘটনায় কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়, হতেও পারে

বড় দিনের উপহার

এক প্রেমিক বালক তার প্রেমিকা বালিকাকে আমার আঁকা একটা ছবি বড় দিনের উপহার হিসাবে দিতে চান। আজ থেকে ১৩ দিন আগে নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে এসে আমাকে খুঁজে গেছে, আমাকে না পায়ে গ্যালারির এক কর্মকর্তার কাছে তার এবং তাদের একটি জুগল ফটো রেখে গেছে সেই থাকে ১৫ হাজার বাংলাদেশী টাকার সমতুল্যের নরওয়েজিয়ান ক্রোনার আমার জন্য সম্মানী হিসাবে রেখে গেছেন। গ্যালারির কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতি একে দেয়ার জন্য বলেছিলেন। আমার পরীক্ষা এবং আনুসঙ্গিক ব্যস্ততা থাকার কারণে বিষয়টা একরকম ভুলেই গেছিলাম। কাল সারা রাত জেগে পরীক্ষার উপকরণ প্রস্তুত করে আর সকাল ভোরে জমা দিয়ে বাসায় এসে যেই না ঘুমোতে গেছি। অমনি ফোন, ওপর প্রান্ত থেকে জিজ্ঞাসা করলো; প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতির কি খবর? আঁকা হয়েছে? আমি হাই তুলতে তুলতে জবাব দিলাম, না এখনো শুরুই করি নাই, ভুলে গেছিলাম। তাই একটু ঘুমিয়ে মুখ হাত না ধুয়েই বসে পরলাম ড্রইং করতে। ড্রইং করতাছি আর ভাবতাছি, আহারে পিরীতি, ভীষণ পিরীতি।

ফেসবুক সেলিব্রেটি

ফেসবুকে অনেক উঠতি সেলিব্রেটি আছেন, যারা ফেসবুকে নিজের নামে ফ্যান পেজ খুলে লাইক দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, এরপর ফ্যান পেজে লাইক পাওয়ার পর আলগোছে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমুভ করে দিয়ে থাকেন। নিজেকে ফ্যান হিসাবে আবিষ্কার করার  পর, আমি উক্ত সেলিব্রেটিকে ধন্যবাদ স্বরূপ একটা বার্তা পাঠিয়ে থাকি; যেমন: ''ধন্যবাদ, আপনার ফ্যান হিসাবে ঝুলে থাকার মত যোগত্যা এখনো অর্জন করতে সক্ষম হই নাই, তাই  আপনার ফ্যান পেজ থেকে আমার লাইক টা তুলে নিলাম। আপনার ফ্যান হিসাবে ঝুলে থাকার মত যোগত্যা অর্জন করা মাত্র নিজ দায়িত্বে এসে লাইক দেব, দুঃচিন্তা করবেন না। ভালো থাকবেন।'' ফেসবুকে অনেক উঠতি সেলিব্রেটি আছেন, যারা ফেসবুকে নিজের নামে ফ্যান পেজ খুলে লাইক দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, এরপর ফ্যান পেজ... Posted by Arifur Rahman on  Wednesday, October 28, 2015

আসুন আমাদের সহায়তার হাত সম্প্রসারিত করি

মানুষ হিসাবে, মানুষের বিপদে পাশে দাড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আসুন আমাদের সহায়তার হাত সম্প্রসারিত করি; সাড়ে পাঁচবছর বয়সী আর্য ক্যান্সারের সাথে লড়ছে ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে। গত ১৫ এপ্রিল আর্যর ব্রেইন টিউমারের অপারেশন করেন নিউরোসার্জন ডা: এ আর চাকো। প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় আর্যর টিউমারে দ্বিতীয় গ্রেডের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এমআরআই, কেমোথেরাপী ইত্যাদিতে আর্যর চিকিত্সার জন্য পনের লাখ টাকার মত প্রয়োজন। আর্যর মধ্যবিত্ত ও তরুন বাবা-মা ইতোমধ্যে সব টাকা শেষ করে ফেলেছেন। চিকিৎসার ব্যয়ভার যোগাড় করতে না পেরে আর্যর মা মিনার্ভা সেঁজুতি পাগলপ্রায় হয়ে আছেন। আসুন আমরা শিশু আর্যর পাশে দাঁড়াই। আর্যর অসহায় বাবা-মার হাতে হাত ধরি, এই পরিবারটির হাসি অটুট রাখতে সাহায্য করি। বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে লিংক-এ ক্লিক করুন https://www.facebook.com/groups/133650583656026/

সমতিদেন

Image
আজ চিঠির বাকসোটা  খুলতেই মোটা কাগজের একটা বড় একটা খাম পেলাম। খামটা খুলে  দেখতে পেলাম একটা ম্যাগাজিন, যারা বেশ কয়েক মাস আগে আমার আঁকা ২ টি কার্টুন কিনেছিল। সেই কার্টুন দুইটা তারা প্রকাশ করেছে আর সৌজন্য সংখ্যা পাঠিয়েছে।

স্টকহম আন্তর্জাতিক কমিক উত্সব-২০১৫

Image
আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হলো স্টকহম আন্তর্জাতিক কমিক উত্সব-২০১৫। সেখানে দেশ-বিদেশের অনেক কার্টুনিস্ট ও কমিক শিল্পীরা যোগদান করতে এসেছিলেন। সুইডেনের রাজধানী স্টকহম-এ অনুষ্ঠিত, আন্তর্জাতিক কমিক উত্সব-এর পক্ষ থেকে আমাকে অফিসিয়াল গেস্ট বা দাপ্তরিক অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।  আমার যাওয়া আসার জন্য তারা আমাকে বিমানের টিকেট, হোটেল, থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় সুবিধা প্রদান করেছিলেন। গত শুক্রবার আমি সেখানে গিয়ে ছিলাম। বিমান থেকে নেমেই দেখলাম একজন আমার জন্যে অপেক্ষা করছেন, হাতে তার একটা বোর্ড, তাতে আমার নাম লেখা, আমি তাকে নিশ্চিত করলাম আমিই আরিফুর রহমান।  এরপর হোটেলে গিয়ে ব্যগটা রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো। কার্টুনিস্ট-দের অধিকাংশই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে, এছাড়াও কিছু জাপানি, আর কয়েক জন আমেরিকা ও ব্রাজিল থেকে এসেছিলেন। গত কাল সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর একটা আলোচনা অনুষ্ঠান ছিল, অলোচনা অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন মধ্য প্রাচ্যের এক কার্টুনিস্ট। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেছিলেন সুইডিশ রেডিও-র সাবেক এক কর্মকর্তা

আমাদের সমস্যাটা অজ্ঞানতা, ধর্মান্ধতা আর অসচেতনতা।

Image
(প্রথমে ভিডিও দেখুন, এরপর আমার ব্লগ পড়ুন) একজন বাঙালি হিসাবে আমি মনে করি বাংলাদেশের দেয়ালে ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ, ১০০ গজ সামনেই মসজিদ'' শব্দটা আরবিতে লিখে মানুষকে জোড় করে মসজিদ মুখী করে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা মাত্র। সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে এমন কাজ আমি সমর্থন করি না। আমি মনে করি এটি ধুরন্ধপনা, প্রতারণা। কারণ আরবি অন্ধ বাঙালি মুসলমান ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ'' শব্দটাকে কোরানের আয়াত বা আল্লাহর কথা হিসাবে মান্য করছে, নগর পরিস্কার করার উদ্যেশে নয়। এভাবে ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে ধোকা  দিয়ে বোকা বানিয়ে, আরবি শব্দের প্রচার আর মসজিদের প্রসার-এর অপপ্রচার থেকে সরকারকে বিরত থাকা উচিত। ১৯৫২ সালে আমরা প্রাণ দিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছিলাম।  আমার ভাষা বিশ্বের অন্যতম কথিত ও লিখিত ভাষা। আসুন আমরা সর্ব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যাবহার করি। আরবি ভাষা আমাদের জন্য সমাধান নয়। ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পরিমান পাবলিক টয়লেট নাই, আর যেগুলো আছে সে গুলো যথেষ্ট নয়, তার পর আবার সেগুলো নোংরা, নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন করা হয় না

টুনস ম্যাগ কে বিজয়ী করতে ভোট দিন

Image
ডয়চে ভেলের অনলাইন অ্যাক্টিভিজম অ্যাওয়ার্ড ‘দ্য বব্স’ এর বাংলা ভাষা বিভাগে টুনস ম্যাগ চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছে৷ অনলাইন ব্যবহারকারীদের ভোটে এই বিভাগে চূড়ান্ত বিজয়ী নির্ধারণ করা হবে৷ টুনস ম্যাগ কে বিজয়ী করতে ভোট দিন। আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা আমাদের জয়ের লক্ষ্যে পৌছে দিতে পারে। টুনস ম্যাগকে ভোট করুন আর বাক স্বাধীনতাকে সমর্থন করুন। ভোট দেয়ার জন্য লগ ইন করুন https://thebobs.com/bengali/category/2015/peoples-choice-for-bengali-2015/

আজ সকালে চমকে যাওয়া

আমি সাধারণত প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই ইমেইল পড়ি।  আজ সকালে একজনের ইমেইল পড়তে গিয়ে আমি চমকে গেলাম। আমি কি ভুল পড়ছি নাকি সঠিক? নাকি কোথাও গোলমাল হয়েছে? চোখে যেটুকু ঘুম ঘুম ভাব ছিল সেটাও উড়ে গেল। আমি এতটাই চমকে গিয়েছিলাম। একটা দলীয় ইমেইল আদান প্রদান চলছিল কিছু নরওয়েজিয়ান শ্রদ্ধাভাজন লোকের সাথে। আমি যদিও নরওয়েজিয়ানদের সাথে সাধারনত নরওয়েজিয়ান ভাষা ব্যতীত অন্য কোনো ভাষায় যোগাযোগ করি না, তবে কেউ একজন ইমেইলের শুরুটা করেছিল ইংরেজিতে আর সেই কারণেই আমিও তাদেরকে প্রতিউত্তর করছিলাম  ইংরেজিতে। আর চমকে যাওয়ার কারণটা ছিল; এদের মধ্যে একজন আমাকে বাংলায় প্রতিউত্তর করেছে এবং তার মুঠোফোন নম্বর দিয়ে অনুরোধ করেছে তার সাথে যোগাযোগ করতে, তাও আবার বাংলা অক্ষরে লিখে। আমি ইমেইল বার্তা পড়ে প্রেরকের নাম টা আর একবার দেখলাম। ভাবলাম, হয়তো আমি ভুল পড়ছি। আমি প্রেরকের নামটা আর একবার দেখলাম।  না তো সব ঠিক।  তারপরও কেমন জানি বিশ্বাস হচ্ছিল না। তাই দেরী না করে ভদ্র লোকের দেয়া নম্বরে কল দিলাম। ওপাশ থেকে হ্যালো বলার পর আমিও হ্যালো বললাম। কিন্তু ঠিক বুঝতে পারছিলাম না কোন ভাষায় কথা বলব, বাংলা, নরওয়েজিয়ান নাকি ইংরেজিতে।

My friend Avijit Roy

Image
My friend  Avijit Roy  (Writer, Blogger, Free Thinker, Humanist) has been killed by Islamic Fundamentalist this evening in Bangladesh. When I was in trouble in prison, because one of my cartoon. He was stand with me, he supported me. Even when my mother was sick, he supported me by money for my mother treatment. Today he killed by Terror. I am very sad and upset. News link:  http://www.thedailystar.net/writer-avijit-roy-hacked-dead-wife-hurt-near-tsc-66888 Mukto-Mona Condemns the Arrest of Cartoonist Arifur Rahman​ http://www.mukto-mona.com/human_rights/Alpin_cartoon.htm