Posts

Showing posts with the label ফেসবুক

ফেসবুক ভেরিফাইড একাউন্ট

Image
যথারীতি রাত জেগে আমার প্রকল্প নিয়ে কাজ করে রাত ৩টার দিকে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। সকালে  সাড়ে দশটার দিকে এলার্মের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো।  ঘুম ঘুম চোখে মোবাইল হাতে নিয়ে ইমেইল চেক করতে করতে দেখি ফেসবুক থেকে ইমেইল এসেছে।  ইমেইলে লেখা আছে আপনার প্রোফাইল ফেসবুক কতৃক ভেরিফাইড করা হয়েছে,  এখন থেকে আপনার ফেসবুক প্রোফাইলের নামের পাশে নীল ব্যাজ প্রদর্শিত হবে। আপনি ভেরিফাইড ফেসবুক একাউন্ট না চাইলে 'সাবমিট এ রিকুয়েস্ট' লিংকে ক্লিক করতে বলেছে। নিরাপত্তা জনিত কারণে, আমি সাধারণত ইমেইলে পাওয়া কোনো লিংকে ক্লিক করি না।  কখনো কখনো স্প্যামার বা হ্যাকার ইমেইলে লিংক পাঠিয়ে ক্লিক করতে বলে। যেমন এর আগে একবার ফেসবুকের মতোই ব্র্যান্ডেড ইমেইলে লিংক পাঠিয়ে লিখেছে আপনার একাউন্ট ঝুঁকিপূর্ণ এক্ষুনি পাসওয়ার্ড  পরিবর্তন করুন। আমি লিংকে ক্লিক করতেই একটা সাইট ওপেন হলো, যেটার লগইন পেজ দেখতে অবিকল ফেসবুকের লগইন পেজের মতো, একটা ঘরে পুরাতন পাসওয়ার্ড চেয়েছে অন্য ঘরে নতুন পাসওয়ার্ড দিতে বলেছে, ইউআরএল-এর দিকে খেলাল করেই বুঝলাম এটি ফেসবুক নয়, এটি একটি ফাঁদ, সঙ্গে সঙ্গে আমি সাইটটি ত্যাগ করলাম।  এই রকম আরো বেশ কয়েকবার হ্যাকার

শৈশব এবং স্নো

Image
ইন্টারনেটে ছবিটা খুঁজে পেলাম। ছবিটা দেখা মাত্র কিছুক্ষণের জন্য আমি শৈশবে ফিরে গিয়েছিলাম। আমার সেই হারিয়ে যাওয়া শৈশবে। আমাদের তখন বাড়ী ছিলো। ঘরে গোল কাঁচের ড্রেসিং টেবিল ছিলো। ড্রেসিং টেবিলের এক পাশে সাজানো থাকতো চুড়িদানী। সেই চুড়িদানীতে আমার মায়ের হাতের বিভিন্ন রকমের চুড়ি সাজানো থাকতো, রঙ-বেরঙের কাঁচের চুড়ি, বেদের চুড়ি। মা সেগুলো বিশেষ উপলক্ষ্য ছাড়া হাতে পরতেন না। আমি চুড়ি গুলো নেড়েচেড়ে দেখতাম আর ঝনঝন শব্দ শুনতাম এরপর যেমনটা ছিলো ঠিক তেমনটি করে সাজিয়ে রেখে দিতাম। সেই ড্রেসিং টেবিলের অন্যপাশে আমি জীবনে প্রথমবারের মত এই স্নোর প্যকেটটি দেখেছিলাম। আমি তখনও লিখতে পড়তে শিখিনি, তাই প্যাকেটের গায়ে কি লেখাছিল তা সে সময় আমি বুঝতাম না। প্যাকেটা কেবল হাতে নিয়ে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখতাম; একপাশে সুন্দরী এক রমনীর ছবি অন্যপাশে অট্টালিকা, দেবদারু গাছের মত গাছ, আর উচু সাদা কিছু একটা হবে। সব চিন্তাম কিন্তু সাদা অংশটা কি তখন তা বুঝতাম না। মা কে জিজ্ঞাসা করার পর মা বলেছিলেন সাদা অংশটা হল পর্বত যা স্নো পরার কারণে সাদা হয়ে গেছে। শৈশবে স্নো বলতে বুঝতাম সেই ছোট্ট কৌটার সাদা পদার্থ, যা আঙুলে নিয়ে গালে মেখে

হিরো আলম / Hero Alom

Image
গতকাল থেকে আমার ফেসবুকের সংবাদপ্রবাহে ''হিরো আলম / Hero Alom'' এর নামে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকের ফেসবুক বক্তব্য পড়ে এমন মনে হয়েছে যেন, হিরো আলমের মতো গেঁয়ো, কালো, বেঁটে এবং অশিক্ষিত ছেলের নায়ক হিসেবে স্বপ্ন দেখা এবং নায়ক হওয়ার চেষ্টা করাটা ঘোরতর অন্যায়। আমরা বাঙালিরা যেন অন্যকে উৎসাহ বা অনুপ্রেণা দেয়ার চাইতে ঠাট্টা - বিদ্রুপ করে মজা নিতেই বেশি পছন্দ করি। আমরা নিজেরা তো কিছু করি না বরং কেউ কিছু করতে গেলে তাকে এক কদম এগিয়ে যেতে সাহায্য করার পরিবর্তে টেনে হিচঁতে অপদস্থ করে নিচে নামাতে বা থামিয়ে দিতেই বেশি ব্যস্ত। আমি হিরো আলমের ভিডিও গুলো দেখে বুঝলাম তার মধ্যে যা আছে তা আমাদের সমাজের অনেক হিরোমার্কা, সুদর্শন, স্বাস্থ্যবান, ধনীর দুলালের মাঝেও নেই, আর তা হলো প্রতিভা আর  নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সৎসাহস। এইজন্য আমি তার প্রশংসা করি এবং এটি তার প্রাপ্য বলেই বিশ্বাস করি। আমি মনেকরি আমরা জাতি হিসেবে আরো উন্নত হতে পারবো যদি আমরা মানুষকে তার উচ্চতা, চেহারা বা গায়ের রঙের পরিবর্তে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে শিখি। মানুষকে তার কাজের জন্য প্রশংসা করতে শিখি। আমাদের জেনে রাখা উচি

ফেসবুক সেলিব্রেটি

ফেসবুকে অনেক উঠতি সেলিব্রেটি আছেন, যারা ফেসবুকে নিজের নামে ফ্যান পেজ খুলে লাইক দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, এরপর ফ্যান পেজে লাইক পাওয়ার পর আলগোছে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমুভ করে দিয়ে থাকেন। নিজেকে ফ্যান হিসাবে আবিষ্কার করার  পর, আমি উক্ত সেলিব্রেটিকে ধন্যবাদ স্বরূপ একটা বার্তা পাঠিয়ে থাকি; যেমন: ''ধন্যবাদ, আপনার ফ্যান হিসাবে ঝুলে থাকার মত যোগত্যা এখনো অর্জন করতে সক্ষম হই নাই, তাই  আপনার ফ্যান পেজ থেকে আমার লাইক টা তুলে নিলাম। আপনার ফ্যান হিসাবে ঝুলে থাকার মত যোগত্যা অর্জন করা মাত্র নিজ দায়িত্বে এসে লাইক দেব, দুঃচিন্তা করবেন না। ভালো থাকবেন।'' ফেসবুকে অনেক উঠতি সেলিব্রেটি আছেন, যারা ফেসবুকে নিজের নামে ফ্যান পেজ খুলে লাইক দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, এরপর ফ্যান পেজ... Posted by Arifur Rahman on  Wednesday, October 28, 2015

আসুন আমাদের সহায়তার হাত সম্প্রসারিত করি

মানুষ হিসাবে, মানুষের বিপদে পাশে দাড়ানো আমাদের মানবিক দায়িত্ব। আসুন আমাদের সহায়তার হাত সম্প্রসারিত করি; সাড়ে পাঁচবছর বয়সী আর্য ক্যান্সারের সাথে লড়ছে ভারতের ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে। গত ১৫ এপ্রিল আর্যর ব্রেইন টিউমারের অপারেশন করেন নিউরোসার্জন ডা: এ আর চাকো। প্রয়োজনীয় পরীক্ষায় আর্যর টিউমারে দ্বিতীয় গ্রেডের ক্যান্সার ধরা পড়ে। এমআরআই, কেমোথেরাপী ইত্যাদিতে আর্যর চিকিত্সার জন্য পনের লাখ টাকার মত প্রয়োজন। আর্যর মধ্যবিত্ত ও তরুন বাবা-মা ইতোমধ্যে সব টাকা শেষ করে ফেলেছেন। চিকিৎসার ব্যয়ভার যোগাড় করতে না পেরে আর্যর মা মিনার্ভা সেঁজুতি পাগলপ্রায় হয়ে আছেন। আসুন আমরা শিশু আর্যর পাশে দাঁড়াই। আর্যর অসহায় বাবা-মার হাতে হাত ধরি, এই পরিবারটির হাসি অটুট রাখতে সাহায্য করি। বিস্তারিত জানতে অনুগ্রহ করে লিংক-এ ক্লিক করুন https://www.facebook.com/groups/133650583656026/

ফেক বন্ধু

একটা সময় ছিল, যখন আমি নব্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। নতুন নতুন ফেসবুক ব্যবহার করতে শিখেছি। তখন যাকে তাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতাম, আবার যে কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে এক্সেপ্ট করতাম, আসল নকল বুঝতাম না, সে আমার প্রকৃত বন্ধু নাকি শত্রু এত কিছুও ভাবতাম না। এর পর বন্ধুর তালিকা যখন লম্বা হতে হতে, ৫০০০ এ পৌছালো।  তখন বুঝতে পারলাম এই ৫০০০ এর মধ্যে  প্রায় অর্ধেকের বেশি ফেক বন্ধু। তাই বেছে বেছে ফেক বন্ধুদের রিমুভ করা শুরু করলাম। ৫০০০ বন্ধুর মধ্যে বেছে বেছে ফেক বুন্ধু খুঁজে খুঁজে রিমুভ করা অনেক কঠিন একটা কাজ। যা, আমার পক্ষে অসম্ভব, আর অতো সময়ও নাই। তাই জন্মদিন অনুসারে রিমুভ করি। আমি প্রতিদিন, আমার ফেসবুক বন্ধুদের জন্মদিন চেক করি। আজ ২৭ জনের জন্মদিন ছিল এর মধ্যে ৫ জনের প্রফাইল ফেক সন্দেহ হলো। যেমন ৩ বছরের মধ্যে ফেসবুকে কোনো পোস্ট দেন নাই, ফটো পরিবর্তন নাই বা কোনো রকম কার্যক্রম নাই। এই ধরনের প্রফাইলের মালিক হয় মৃত নয় ফেক। এভাবেই আমি প্রতিদিন গড়ে ৩/৪ জন ফেক বন্ধু রিমুভ করি।