Posts

Showing posts with the label মতামত

কথার কথা - ১

Image
আমার জীবনে আবর্তিত হওয়া বিভিন্ন অভিজ্ঞতার আলোকে “কথার কথা” নামে বিভিন্ন কথা নিয়ে একটি ধারাবাহিক কথামালা রচনার উদ্যোগ নিয়েছি। নিম্নে তারই একটি তুলনামূলক নমুনা উল্লেখ করা হলো।   কথা - ১  “তুমি আইজ যত বড়-ই হও, যতই দেশ বিদেশ ঘুরে বেড়াও, যত টাকার মালিক-ই হও, ভুলে যাইয়ো না, এক কালে গ্রামে থাকতে, আমাদের ছাগল ভেড়া চড়াইচেও, আর শহরে থাকতে আমাদের বাজারের ব্যাগ টানিচেও।” - এ কথা তাচ্ছিল্যের, এ কথা অনাত্মীয়তার।   কথা - ২  “তুমি আজ যত বড়-ই হও, পৃথিবীর যে প্রান্তেই থাকো না কেন, একটা কথা মনে রেখো, আমাদের দোয়া এবং শুভ কামনা সব সময় তোমার সঙ্গে আছে, তুমি সব সময় সুন্দর এবং নিরাপদে থাকো এটাই আমাদের কামনা।” - এ কথা আন্তরিকতার, এ কথা আত্মীয়তার। পুনঃশ্চ, কথাগুলোর বক্তা কে ছিলো তা এখানে আলোচ্য বিষয নয়, কথাগুলোর মূল ভাবার্থ এখানে মূখ্য আলোচ্য বিষয়।

পাওয়া না পাওয়া

কোন কোন বিষয় আছে যেগুলো একবার পেলে বার বার পেতে ইচ্ছে জাগে মনে। যেমন ধরো, কাউকে যদি চকলেট, আইসক্রিম দাও, এবং এগুলো যদি সে পছন্দ করে, তাহলে সে বার বার সেগুলো পেতে চাইবে। করল্লা বা উস্তা পুষ্টিকর হওয়া স্বত্বেও স্বাদে তেতো হওয়ার কারণে অনেকেরই অপছন্দের। আবার লবণ তেতো হওয়া স্বত্বেও লবণহীন তরকারী বেস্বাদ বলে কেউ খেতে চায় না। কোন বস্তু বারবার পেতে চাওয়ার বিষয়টি নির্ভর করে ব্যক্তির চাহিদা, পছন্দ, এবং বস্তুর গুণগত মানের উপর। আবার, কোন কোন বিষয় আছে যেগুলো না পাওয়ার আগ মূহুর্ত পর্যন্ত মনে কৌতুহল বা ভিন্ন অনুভূতি বিরাজ করে। পাওয়ার পর কাংঙ্খিত বিষয়ে অনুভূতি বদলে যায়। যেমন ধরো, কাউকে দূর থেকে দেখলে তোমার ভয় লাগে, কিন্তু তার সাথে ঘনিষ্টভাবে মেশার পর যখন বুঝতে পারবে সে আসলে অনেক মজার মানুষ, তখন তোমার তার প্রতি অনুভূতি গুলো বদলে যাবে। অর্থাৎ, এক সময় যাকে ভয় পেতে, তাকে ভালো লাগতে শুরু করবে। আবার ধরো, দূর থেকে কারোর সম্পর্কে তুমি অনেক গুণগান শুনেছো। সকলের মুখে মুখে প্রসংশা শুনতে শুনতে রীতিমত ভক্ত বনে গেছো। এবং তার সাথে দেখা হওয়া মাত্রই সেলফি তুলবে বলে মনে মনে চিন্তা করেছো। কিন্তু কা

ব্যাঙ্কিং সেবা

Image
সময়ের সাথে সব কিছু বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে জীবন যাত্রার মানএবং ধরণ। একটা সময় বিদ্যুৎ বা টেলিফোন দেয়ার জন্য লোকজন ব্যাংকে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতো। এরপর যখন অনলাইন ব্যাংকিংয়ের যুগ শুরু হলো তখন লোকজন ব্যাংকে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বিল পরিশোধ করার বদলে ঘরে বসেই কম্পিউটারে করতে লাগলো। এখন সবার হাতে হাতে ইন্টারনেট সংযুক্ত স্মার্ট ফোন। বর্তমানে ডেস্কটপ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তুলনায় মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি আর এই কারণেই ব্যাংকগুলো অনলাইন ব্যাঙ্ক থেকে স্মার্টব্যাংকে রূপ নিয়েছে। ব্যাংকের মোবাইল এপপ্স চালু করে মোবাইলের ক্যামেরায় বিলপেপারের ছবি তুললেই প্রাপকের ব্যাঙ্ক নম্বর এবং টাকার পরিমান সহ বিস্তারিত তথ্য এপপ্সটি আপনা আপনি পূরণ করে নেয়। আমার কাজ শুধু পাসওয়ার্ড প্রবেশ করিয়ে ওকে বাটনে ক্লিক করা। ব্যাস বিদ্যুৎ বা টেলিফোন বিল পরিশোধ  করার কাজ শেষ। আজ প্রথম বারের মত স্মার্ট ব্যাঙ্কিং সেবার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। 

My thought - 3

Winter begins and ends, and begins Spring. Spring ends and begins Summer, Summer ends and begins Autumn. Everything has a beginning and an end, this is the eternal rule of the universe. Bangla: শীতের শুরু হয় এবং শেষ হয়, এবং বসন্তের শুরু হয়  বসন্ত শেষে গ্রীষ্মের শুরু, গ্রীষ্মের শেষে শরতের শুরু।  যার শুরু আছে তার শেষ আছে, এটি মহাবিশ্বের শাশ্বত নিয়ম।  Norwegian: Vinteren begynner og slutter, og begynner våren. Våren slutter og begynner sommer, sommeren slutter og begynner høsten. Alt har en begynnelse og en slutt, er dette den evige regelen i universet. - Arifur Rahman (03.01.2017)

My thought - 2

The ceiling depends on the wall wall is dependent on the ground. Everything in this world is sustained depends on something. Bangla: ছাউনি দেয়ালের উপর নির্ভরশীল  দেয়াল ভূমির উপর উপর নির্ভরশীল।  পৃথিবীর সবকিছুই কিছু না কিছুর উপর নির্ভর করে টিকে থাকে।  Norwegian: Taket er avhengig av veggen veggen er avhengig av bakken. Alt i denne verden er vedvarende avhenger noe. - Arifur Rahman (02.01.2017)

My thought - 1

Everything that happens, and everything we observe, all have one or more reasons, Back of all reasons have one or more main reasons. Bangla: যা কিছু ঘটে, এবং আমরা যা কিছু প্রত্যক্ষ করি, তার সব কিছুরই এক বা একাধিক কারণ রয়েছে।  আর সব কারণের পিছনে থাকে এক বা একাধিক মূল কারণ। Norwegian: Alt som skjer, og alt vi observerer, alt har en eller flere grunner, Til bak av alle grunner har en eller flere hovedårsak. - Arifur Rahman (01.01.2017)

আমার দুইটি কথা - ২

গতরাতে দেখলাম আরব দেশ থেকে কিছু জঙ্গি বাংলা ভাষায় আমাদের হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর কেউ কেউ কোনো কিছু না ভেবেই হুজুকে সর্বসমক্ষে শেয়ার করে যাচ্ছে।  আমরা বাঙালিরা যে হুজুকে  বাঙালি সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না এর প্রমান আমরা বহুবার দিয়েছি অতীতে।  সর্বসমক্ষে ভিডিওটা শেয়ার করায় লাভটা কার হচ্ছে? ১. জঙ্গিরা ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর আপনি (তাদের হয়ে) তাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন সবার কাছে।   ২. সর্বসমক্ষে শেয়ারের মাধ্যমে আপনি কিন্তু জঙ্গিদের প্রচারক হিসেবে কাজ করছেন, আর আপনার কারণেই জঙ্গিরা সর্বব্যাপী প্রচারণা ও পরিচিতি পাচ্ছে। মনে রাখবেন প্রচারেই কিন্তু প্রসার। ৩. আপনার প্রচার করা ঐ জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসী নীতি আদর্শের বাণী কারো কারো মনে ভয়ের সৃষ্টি করছে। আর জঙ্গিরা কিন্তু এটাই চায়।    তাই অনুগ্রহ করে জঙ্গিদের হুমকি বার্তা সর্বসমক্ষে প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন।   আসুন দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে নিজ দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। আর বেশি বেশি করে প্রচার করি আমরা বাঙালিরা বীরের জাতি, আমরা সন্ত্রাসের নিকট মাথা নত করি না। যে কোনো মুহূর্তে সন্ত্রাস কে মোকাবেলা কর

আমার দুইটি কথা - ১

বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে ''মাছের তেলে মাছ ভাজা'', একটু চিন্তা করলে সহজেই বোঝা যায় জঙ্গি গোষ্ঠীরা গুলশানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে ঠিক সেই কাজটা করেই বিশ্বকে দেখালো এবং প্রতিনিয়ত সেটাই করে চলছে। সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নিতে তারা কিন্তু আরব বিশ্বের কোনো জঙ্গি দলকে পাঠায় নি, আমাদের জবাই করার জন্য আমার দেশে জন্ম নেয়া কুলাঙ্গারদেরকেই মগজধোলাই করে পাঠিয়েছিল। এতে লাভটা কার হলো? ১. আরব দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীরা বিশ্বকে দেখালো তারা অনেক শক্তিশালী এবং পৃথিবীর সব প্রান্তেই আরবি ভাষায় ধ্বনি দিয়ে হামলা চালাতে তাদের যথেষ্ট গেলমান আছে। ২. বাংলাদেশ সম্পর্কে বহিঃ বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হলো, ভাবমূর্তি নষ্ট হলো, দেশের বাজার মন্দা হলো, ক্ষতি যা হওয়ার তার সব কিন্তু আমাদেরই হলো। বাংলায় আরো একটা প্রবাদ আছে, ''সময়ে এক ফোঁড়, অসময়ে দশ ফোঁড়।'' সরকারের উচিত ছিল অবহেলা না করে, দেশে শরীরে জঙ্গি উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। তাহলে আজ আমাদের এই রূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। এখনো সময় আছে দেশের শরীরে যত্রতত্র ফোঁড় দেখা দেয়ার আগেই সরকারের

হিরো আলম / Hero Alom

Image
গতকাল থেকে আমার ফেসবুকের সংবাদপ্রবাহে ''হিরো আলম / Hero Alom'' এর নামে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকের ফেসবুক বক্তব্য পড়ে এমন মনে হয়েছে যেন, হিরো আলমের মতো গেঁয়ো, কালো, বেঁটে এবং অশিক্ষিত ছেলের নায়ক হিসেবে স্বপ্ন দেখা এবং নায়ক হওয়ার চেষ্টা করাটা ঘোরতর অন্যায়। আমরা বাঙালিরা যেন অন্যকে উৎসাহ বা অনুপ্রেণা দেয়ার চাইতে ঠাট্টা - বিদ্রুপ করে মজা নিতেই বেশি পছন্দ করি। আমরা নিজেরা তো কিছু করি না বরং কেউ কিছু করতে গেলে তাকে এক কদম এগিয়ে যেতে সাহায্য করার পরিবর্তে টেনে হিচঁতে অপদস্থ করে নিচে নামাতে বা থামিয়ে দিতেই বেশি ব্যস্ত। আমি হিরো আলমের ভিডিও গুলো দেখে বুঝলাম তার মধ্যে যা আছে তা আমাদের সমাজের অনেক হিরোমার্কা, সুদর্শন, স্বাস্থ্যবান, ধনীর দুলালের মাঝেও নেই, আর তা হলো প্রতিভা আর  নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সৎসাহস। এইজন্য আমি তার প্রশংসা করি এবং এটি তার প্রাপ্য বলেই বিশ্বাস করি। আমি মনেকরি আমরা জাতি হিসেবে আরো উন্নত হতে পারবো যদি আমরা মানুষকে তার উচ্চতা, চেহারা বা গায়ের রঙের পরিবর্তে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে শিখি। মানুষকে তার কাজের জন্য প্রশংসা করতে শিখি। আমাদের জেনে রাখা উচি

পুরাণ কথা - ১

Image
ভারতীয় পুরাণে বর্ণিত দেবী সরস্বতীর ন্যায় একটি চটিত্র গ্রিক পুরাণেও খুঁজে পাওয়া যায় নাম লেডা (Leda). লেডা ছিলেন রাজা থেস্তিউস-এর কন্যা এবং হেলেন-এর মাতা। সরস্বতীর সাথে লেডার সাদৃশ্য: রাজহংস উভয়েরই সঙ্গী ছিল, তাই রাজহংসের সাথে উভয়েরই চিত্র বা মূর্তি দেখা যায়। আমাদের দেশে পূজায় যেমন সরস্বতীর প্রতিমার সাথে রাজহংসকে গড়া হয়। অন্য দিকে ইউরোপীয় চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এবং মাইকেলেঞ্জেলো সহ অনেকের চিত্রকর্মেই উঠে এসেছে গ্রিক পুরানের লেডার সাথে রাজহংস। সরস্বতীর সাথে লেডার পার্থক্য: ভারতীয় পুরাণে সরস্বতীর বাহন ছিল রাজহংস, এখানে রাজহংসের ভূমিকা ''বাহন'' স্বরূপ। অন্য দিকে গ্রিক পুরাণে লেডার সাথে রাজহংসের সম্পর্ক  ছিল ''শারীরিক''। গ্রিক পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী দেবতা জিউস রাজহংসের রূপ ধারণ করে লেডার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। পুনশ্চ: ১. দক্ষিণ ভারতে সাধারণত ময়ূরবাহনা চতুর্ভূজা সরস্বতী এবং বাংলায় সরস্বতী দ্বিভূজা ও রাজহংসের পৃষ্ঠে আসীন। ২. গ্রিক দেবতা জিউস অনেক রূপেই নারীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন আর লেডা ছিল সেই সব নারীদেরই একজন।

ফেসবুক সেলিব্রেটি

ফেসবুকে অনেক উঠতি সেলিব্রেটি আছেন, যারা ফেসবুকে নিজের নামে ফ্যান পেজ খুলে লাইক দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, এরপর ফ্যান পেজে লাইক পাওয়ার পর আলগোছে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমুভ করে দিয়ে থাকেন। নিজেকে ফ্যান হিসাবে আবিষ্কার করার  পর, আমি উক্ত সেলিব্রেটিকে ধন্যবাদ স্বরূপ একটা বার্তা পাঠিয়ে থাকি; যেমন: ''ধন্যবাদ, আপনার ফ্যান হিসাবে ঝুলে থাকার মত যোগত্যা এখনো অর্জন করতে সক্ষম হই নাই, তাই  আপনার ফ্যান পেজ থেকে আমার লাইক টা তুলে নিলাম। আপনার ফ্যান হিসাবে ঝুলে থাকার মত যোগত্যা অর্জন করা মাত্র নিজ দায়িত্বে এসে লাইক দেব, দুঃচিন্তা করবেন না। ভালো থাকবেন।'' ফেসবুকে অনেক উঠতি সেলিব্রেটি আছেন, যারা ফেসবুকে নিজের নামে ফ্যান পেজ খুলে লাইক দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, এরপর ফ্যান পেজ... Posted by Arifur Rahman on  Wednesday, October 28, 2015

শিশু দিবস

Image
নরওয়ের অকেশুশ প্রদেশে একটা জাদুঘর আছে। নাম ফোলো মিউজিয়াম। জাদুঘর কতৃপক্ষ প্রতি বছর গ্রীষ্মে ও শীতকালে শিশু দিবস পালন করে।  এই শিশু দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত জাদুঘরে হাজার হাজার শিশুরা আসে তাদের অভিবাবকদের সঙ্গে। শিশুরা পুরাতন আমলের ঘরবাড়ি গুলো ঘুরে ঘুরে দেখে, ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ায়, প্রত্নতত্ত্ব বিষয়াদি ও আঞ্চলিক ইতিহাস এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে।  উল্লেখ্য সেই জাদুঘরের ভিতরে ৩'শ বছর আগের পুরনো একটা বিদ্যালয় আছে।  সেই পুরনো আমলের বেঞ্চিতে বসে শিশুরা ছবি আঁকা শেখে। জাদুঘরটা নরওয়ের হলেও এই  বিদ্যালয়ের শিক্ষক কিন্তু নরওয়েজিয়ান নয়।  সে একজন বাঙালি। ( এখন চিন্তা করতে থাকুন ব্যক্তিটা কে হতে পারে। ) শ্রেণীকক্ষে শিশুরা অনেক কিছু আঁকা শেখে।  যেমন: হাতি, ঘোড়া, বিড়াল, কুকুর, সজারু, পাখি, ফুল, ঘর-বাড়ি, নদী সহ আরো অনেক কিছু। শিশুরা কোনো কিছু আঁকা শিখতে চাইলে তারা তাদের শিক্ষকে জিজ্ঞাসা করে।  আর শিক্ষক খুব তাদের সহজ  ভাবে আঁকার কৌশল তাদের শিখিয়ে দেন। অনেক সময় শিশুদের সঙ্গে শিশুদের বাবা-মা, দাদা-দাদী বা নানা-নানিও ছবি আঁকা শিখে থাকেন। গতকাল সেখানে শিশু দিবস ছিল।  প্রায় হাজার শিশুর সম

মন্তব্য

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আফিম চাষ হয় আফগানিস্তানে৷ জাতিসংঘের হিসেবে, প্রতি বছর প্রায় পাঁচ থেকে ছয় হাজার টন কাঁচা আফিম উৎপাদন হয় সেখানে৷ ন্যাটো বাহিনীর সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর আরো বেশি পরিমাণ জমিতে আফিমের চাষ হচ্ছে বলে জানা গেছে৷ যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়া হচ্ছে, আফগানিস্তানের আফিমের মূল ক্রেতা৷ (তথ্য সুত্র: ডি ডব্লিউ ) হয়তো আফিম খাওয়ার লোভে, অথবা আফিম চাষ করে টাকা কামাই করার লোভে আমাদের দেশের জামাতি কাঠমোল্লারা  নিজেদেরকে তালেবান হিসাবে ঘোষণা দেয়, আর বাংলাকে আফগানিস্তান বানানোর দুঃস্বপ্ন দেখে। 

আমাদের সমস্যাটা অজ্ঞানতা, ধর্মান্ধতা আর অসচেতনতা।

Image
(প্রথমে ভিডিও দেখুন, এরপর আমার ব্লগ পড়ুন) একজন বাঙালি হিসাবে আমি মনে করি বাংলাদেশের দেয়ালে ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ, ১০০ গজ সামনেই মসজিদ'' শব্দটা আরবিতে লিখে মানুষকে জোড় করে মসজিদ মুখী করে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা মাত্র। সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে এমন কাজ আমি সমর্থন করি না। আমি মনে করি এটি ধুরন্ধপনা, প্রতারণা। কারণ আরবি অন্ধ বাঙালি মুসলমান ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ'' শব্দটাকে কোরানের আয়াত বা আল্লাহর কথা হিসাবে মান্য করছে, নগর পরিস্কার করার উদ্যেশে নয়। এভাবে ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে ধোকা  দিয়ে বোকা বানিয়ে, আরবি শব্দের প্রচার আর মসজিদের প্রসার-এর অপপ্রচার থেকে সরকারকে বিরত থাকা উচিত। ১৯৫২ সালে আমরা প্রাণ দিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছিলাম।  আমার ভাষা বিশ্বের অন্যতম কথিত ও লিখিত ভাষা। আসুন আমরা সর্ব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যাবহার করি। আরবি ভাষা আমাদের জন্য সমাধান নয়। ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পরিমান পাবলিক টয়লেট নাই, আর যেগুলো আছে সে গুলো যথেষ্ট নয়, তার পর আবার সেগুলো নোংরা, নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন করা হয় না