Posts

Showing posts with the label প্রবন্ধ

এই মানুষ বনে গেলে বন মানুষ হয়

Image
আমার নানী প্রায়শ বলতেন “এই মানুষ বনে গেলে বন মানুষ হয়।” যদিও কথাটির মাঝে যুক্তি এবং দর্শন আছে, তথাপিও সে সময় এই কথার অর্থ বুঝতাম না, তবে এখন উক্ত কথাটির মর্মার্থ বুঝতে পারি। প্রকৃতপক্ষে আমি স্বয়ং উক্ত কথাটির একটি বাস্তব উদাহরণ।  উদাহরণ ১: শৈশবে (আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে) যখন গ্রামে থাকতাম তখন ডোবায় বা পুকুরে ডুব দিয়ে হাতরিয়ে হাতরিয়ে মাছ ধরে আনতাম। সময়ের বিবর্তনে ডুব দিয়ে এখন ২ মিটার পানির নিচের বস্তু তুলে আনতে ব্যর্থ হয়েছি সম্প্রতি এক পরিক্ষায়। উদাহরণ ২: দেশে থাকতে শীতকালে একসাথে ৫-৬ টা গরম কাপর পরে শীতের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করতাম এক সময়। বর্তমানে শীত প্রধান দেশে, মাইনাস ১০ ডিগ্রি ঠান্ডায় টি শার্ট গায়ে দিয়ে একটানা ৩০ মিনিট হাটাহাটি করার রেকর্ড করেছি। শুধু তাই নয় ২০১৩ সালে একবার এক নদের উপর ৩ ফিট পুরু জমে যাওয়া বরফ কেঁটে নদের পানির উপর ভাস্কর্য বানিয়েছিলাম একটানা ৭ দিন পরিশ্রম করে।  সারকথা: সময় পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে ব্যক্তি বা বস্তুর প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়।

অনুকরণীয় অনুসরণীয়

সকলেই অনুকরণীয় হয় না।  মানুষ সবাইকে অনুকরণ বা অনুসরণ করে না। অনুকরণীয় বা অনুসরণীয় হবার মতো যোগ্যতা বা গুণাবলী রয়েছে মানুষ কেবল তাদেরকেই অনুসরণ করে।  বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃজনশীল, শৈল্পিক গুণাবলী সমূহ আমাকে মুগ্ধ, অনুপ্রাণিত এবং প্রভাবিত করেছিল। শব্দে শব্দ গেঁথে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলাম, কিছু গল্প লিখেছিলাম, যদিও এ সকলই বাল্যকালের কথা, পাণ্ডুলিপি গুলো হারিয়ে গেছে সেই কবে কালের স্রোতে।  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে আঁকা ছবি দেখে প্রথম উপলব্ধি করেছিলাম ছবি আঁকা খুব সোজা, ছবি আঁকায় ভুল বলে কিছু নাই।  তবে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অনুকরণ বা অনুসরণ করিনি, আমি শুধু তার মতো সৃজনশীল গুণাবলী সমূহ আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছিলাম যা আমায় মুগ্ধ করেছিল। আমিও ছবি আঁকি, আমিও কবিতা লিখি এর মানে আমি তাকে অনুকরণ বা অনুসরণ করি।  আমি নিশ্চিত বলতে পারি আমার মতো আরো অনেকেই আছে যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃজনশীল গুণাবলীর দ্বারা প্রভাবিত।  আমার আঁকা ছবি, আমার কবিতা বা লেখা আমার ভাবনা আর চিন্তা চেতনা আমার মত করে আমার ভাষায় প্রকাশ করি এটাই আমার মৌলিকত্ব।  বাল্যকালে মোনালিসা পেইন্টিংটাকে একটা স্থির আলোকচিত