Posts

Showing posts with the label রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

অনুকরণীয় অনুসরণীয়

সকলেই অনুকরণীয় হয় না।  মানুষ সবাইকে অনুকরণ বা অনুসরণ করে না। অনুকরণীয় বা অনুসরণীয় হবার মতো যোগ্যতা বা গুণাবলী রয়েছে মানুষ কেবল তাদেরকেই অনুসরণ করে।  বাল্যকালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃজনশীল, শৈল্পিক গুণাবলী সমূহ আমাকে মুগ্ধ, অনুপ্রাণিত এবং প্রভাবিত করেছিল। শব্দে শব্দ গেঁথে কবিতা লিখতে শুরু করেছিলাম, কিছু গল্প লিখেছিলাম, যদিও এ সকলই বাল্যকালের কথা, পাণ্ডুলিপি গুলো হারিয়ে গেছে সেই কবে কালের স্রোতে।  রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হাতে আঁকা ছবি দেখে প্রথম উপলব্ধি করেছিলাম ছবি আঁকা খুব সোজা, ছবি আঁকায় ভুল বলে কিছু নাই।  তবে আমি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অনুকরণ বা অনুসরণ করিনি, আমি শুধু তার মতো সৃজনশীল গুণাবলী সমূহ আত্মস্থ করার চেষ্টা করেছিলাম যা আমায় মুগ্ধ করেছিল। আমিও ছবি আঁকি, আমিও কবিতা লিখি এর মানে আমি তাকে অনুকরণ বা অনুসরণ করি।  আমি নিশ্চিত বলতে পারি আমার মতো আরো অনেকেই আছে যারা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সৃজনশীল গুণাবলীর দ্বারা প্রভাবিত।  আমার আঁকা ছবি, আমার কবিতা বা লেখা আমার ভাবনা আর চিন্তা চেতনা আমার মত করে আমার ভাষায় প্রকাশ করি এটাই আমার মৌলিকত্ব।  বাল্যকালে মোনালিসা পেইন্টিংটাকে একটা স্থির আলোকচিত

ঠাকুর বাড়ির ধূলি

Image
১৯৯৩ সাল, শাহজাদপুর শহরে আমি নবাগত। ক্লাস ফাইভে সদ্য ভর্তি হয়েছি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের পাশেই মামার বাসা ছিল। এর কিছুদিন পর গ্রাম থেকে আমার প্রাণপ্রিয়া নানী আসলেন আমাকে দেখতে। আমি যখন গ্রামে নানীর বাড়িতে থাকতাম তখন নানীর আঁচল ছিল আমার সব কিছু। সে যেখানে যেতো, আমিও তার আঁচল ধরে সেখানেই যেতাম। তো যাই হোক নানী এসেছেন আমাকে শাহজাদপুর শহর ঘুরে দেখতে। সবার প্রথমে তিনি আমাকে রবি ঠাকুরের কাচারী বাড়ি দেখবেন। তো আমি আর নানী রওনা হয়েছি, নানীর আঁচল ধরে হাটছি। নানী বলছিলেন, ''সেই অনেক আগের কথা, ঠাকুরেরা ছিল এই এলাকার জমিদার। একবার রবি ঠাকুর এর নৌকো আমার নানা বাড়ির ঘাটে ভিড়িয়ে ছিলো। আমার মা তখন ছোট্ট বালিকা। তিনি নিজ হাতে বকুল ফুলের মালা গেঁথে রবি ঠাকুরকে উপহার দিয়েছিলেন।''  তিনি আরো বলছিলেন, ''রবি ঠাকুর এই শাজাদপুরের মাটিতে বসে অনেক গান, কবিতা, গল্প রচনা করেছেন। যেমন, আমাদের ছোট নদী, তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে, পোস্টমাস্টার, কীর্তি, ছুটি, সমাপ্তি, ইত্যাদি। রবি ঠাকুর আমাদের বিশ্ব কবি। আমাদের জাতীয় সংগীত তাঁর লেখা। সারা বিশ্ব চেনে তাঁকে এক নামে।''

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর

Image
 এই গানটির গায়ক: মনোময় ভট্টাচার্য্য ''আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর'' আমার অন্যতম পছন্দের একটি রবীন্দ্র সংগীত, আমি সাধারণত উচ্চস্বরে কখনো গান করি না, তবে এই গানটি আমি প্রায়ই গেয়ে থাকি সে লোকালয়েই হোক আর জনশূন্য প্রাঙ্গণেই হোক। নিচে গানটির কথা ও বিস্তারিত তথ্য দেয়া হলো। আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর ॥ মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে, বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে ॥ গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে ॥ ধরণী'পরে ঝরে নির্ঝর, মোহন মধু শোভা ফুলপল্লব-গীতবন্ধ-সুন্দর-বরনে ॥ বহে জীবন রজনীদিন চিরনূতনধারা, করুণা তব অবিশ্রাম জনমে মরণে ॥ স্নেহ প্রেম দয়া ভক্তি কোমল করে প্রাণ, কত সান্ত্বন করো বর্ষণ সন্তাপহরণে ॥ জগতে তব কী মহোৎসব, বন্দন করে বিশ্ব শ্রীসম্পদ ভূমাস্পদ নির্ভয়শরণে ॥ কথা ও সুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাগ: ঝিঁঝিট তাল: একতাল রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯৯ রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1892 স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ সেন You are honourably present with the halo at the blissful world. Your majestic appearance gor