Posts

Showing posts with the label জন্মভূমি

বাংলাদেশি চিংড়ি

Image
আমি প্রায়ই বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিংড়ি মাছ কিনতাম। কিন্তু ঠিক কখনোই বুঝতে পারিনি মাছ গুলো কোন দেশি। সেদিন রান্না করার পর নরওয়েজিয়ান এক অতিথি এসেছিলো। তিনি খেতে খেতে বললেন এই চিংড়ি মাছ গুলো নরওয়েজিয়ান চিংড়ি  মাছ থেকে ভিন্ন, কোথা থেকে কিনেছো,  এ গুলো কোন দেশি?  প্যাকেট হাতে নিয়ে হাতড়াতে হাতড়াতে দেখতে পেলাম এক জায়গায় ডাচ ভাষায় লেখা আছে ''Product uit Bangladesh'' অর্থাৎ বাংলাদেশের পণ্য। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি হিসেবে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো।  হতচকিত আমি সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছল কণ্ঠে অতিথিকে জবাব দিলাম, কোন দেশি মানে? এটা তো আমার দেশের চিংড়ি, বাংলাদেশি চিংড়ি।  অতিথির পাতে আরো কিছু চিংড়ি তুলে দিয়ে বললাম, খান, মজা করে খান। অতিথি মজা করে খেতে লাগলো।  খাওয়া দাওয়া শেষে অতিথিকে ঐ চিংড়ির দোকানের ঠিকানা জানিয়ে বললাম বাংলাদেশি চিংড়ি লাগলে ঐ দোকান থেকে কিনে নিবেন। আর সবাইকে বলবেন বাংলাদেশি চিংড়ি অনেক সুস্বাদু।    আমার দেশের পণ্য সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে যাক বিশ্বময় আর অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী হোক আমার মাতৃভূমি। 

আমার দুইটি কথা - ২

গতরাতে দেখলাম আরব দেশ থেকে কিছু জঙ্গি বাংলা ভাষায় আমাদের হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর কেউ কেউ কোনো কিছু না ভেবেই হুজুকে সর্বসমক্ষে শেয়ার করে যাচ্ছে।  আমরা বাঙালিরা যে হুজুকে  বাঙালি সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না এর প্রমান আমরা বহুবার দিয়েছি অতীতে।  সর্বসমক্ষে ভিডিওটা শেয়ার করায় লাভটা কার হচ্ছে? ১. জঙ্গিরা ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর আপনি (তাদের হয়ে) তাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন সবার কাছে।   ২. সর্বসমক্ষে শেয়ারের মাধ্যমে আপনি কিন্তু জঙ্গিদের প্রচারক হিসেবে কাজ করছেন, আর আপনার কারণেই জঙ্গিরা সর্বব্যাপী প্রচারণা ও পরিচিতি পাচ্ছে। মনে রাখবেন প্রচারেই কিন্তু প্রসার। ৩. আপনার প্রচার করা ঐ জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসী নীতি আদর্শের বাণী কারো কারো মনে ভয়ের সৃষ্টি করছে। আর জঙ্গিরা কিন্তু এটাই চায়।    তাই অনুগ্রহ করে জঙ্গিদের হুমকি বার্তা সর্বসমক্ষে প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন।   আসুন দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে নিজ দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। আর বেশি বেশি করে প্রচার করি আমরা বাঙালিরা বীরের জাতি, আমরা সন্ত্রাসের নিকট মাথা নত করি না। যে কোনো মুহূর্তে সন্ত্রাস কে মোকাবেলা কর

আমার দুইটি কথা - ১

বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে ''মাছের তেলে মাছ ভাজা'', একটু চিন্তা করলে সহজেই বোঝা যায় জঙ্গি গোষ্ঠীরা গুলশানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে ঠিক সেই কাজটা করেই বিশ্বকে দেখালো এবং প্রতিনিয়ত সেটাই করে চলছে। সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নিতে তারা কিন্তু আরব বিশ্বের কোনো জঙ্গি দলকে পাঠায় নি, আমাদের জবাই করার জন্য আমার দেশে জন্ম নেয়া কুলাঙ্গারদেরকেই মগজধোলাই করে পাঠিয়েছিল। এতে লাভটা কার হলো? ১. আরব দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীরা বিশ্বকে দেখালো তারা অনেক শক্তিশালী এবং পৃথিবীর সব প্রান্তেই আরবি ভাষায় ধ্বনি দিয়ে হামলা চালাতে তাদের যথেষ্ট গেলমান আছে। ২. বাংলাদেশ সম্পর্কে বহিঃ বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হলো, ভাবমূর্তি নষ্ট হলো, দেশের বাজার মন্দা হলো, ক্ষতি যা হওয়ার তার সব কিন্তু আমাদেরই হলো। বাংলায় আরো একটা প্রবাদ আছে, ''সময়ে এক ফোঁড়, অসময়ে দশ ফোঁড়।'' সরকারের উচিত ছিল অবহেলা না করে, দেশে শরীরে জঙ্গি উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। তাহলে আজ আমাদের এই রূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। এখনো সময় আছে দেশের শরীরে যত্রতত্র ফোঁড় দেখা দেয়ার আগেই সরকারের