Posts

Showing posts with the label উত্সব

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দুই দেশের তিনটি স্থানে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী

Image
গত ৮ মার্চ নারী দিবস উপলক্ষ্যে টুনস ম্যাগ আয়োজিত একই সাথে দুই টি দেশের তিনটি স্থানে উদ্বোধন হলো ' নারী অধিকার শীর্ষক'' আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতার প্রদর্শনী।  বিশ্বব্যাপী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারণা এবং নারী অধিকার বাস্তবায়নে সবাইকে সচেতন করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। নরওয়ে প্রবাসী বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান টুনস ম্যাগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক। তিনি এই আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজক। কার্টুন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি এই বছর নারী দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর আয়োজনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সকল নারীর অধিকারের প্রতি সমর্থন জানানোর সাথে সাথে বিশ্বের কাছে নারী অধিকারের এবং বিভিন্ন দেশের এবং সমাজের নারীর অবস্থানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।   আরব ও মধ্যপ্রাচ্য-এর কার্টুনে উঠে এসেছে শিশু বিবাহ, নারী নির্যাতন, পুরুষের বহুবিবাহ, নারী পুরুষের বৈষম্য এবং ধর্মীয় কুসংস্কার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্টুনে উঠে এসেছে নারী পাচারও পতিতা বৃত্তির বিষয় গুলি। দক্ষিণ এশিয়ার কার্টুনে উঠে

নরওয়েতে পাঁচ বছর

Image
আমি নরওয়েতে অবস্থান করছি আজ পাঁচ বছর ও পাঁচ দিন। ২০১০ সালের ৩০ শে নভেম্বর সকাল ৬ টায় নরওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম ঢাকা থেকে।  ঢাকা থেকে দুবাই, দুবাই থেকে ফ্রাঙ্কফুট এবং  ফ্রাঙ্কফুট থেকে নরওয়ে, সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ ঘন্টার ভ্রমন। আর ১ লা ডিসেম্বর ছিল নরওয়েতে আমার প্রথম দিন। চারিদিকে প্রচুর তুষার, মাইনাস ২০ ডিগ্রী ঠান্ডা। সব কিছু তুষারে মোড়ানো রূপকথার রাজ্যের মত লাগছিল। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতাম, কখনো বা পত্রিকা, রেডিও বা টিভিতে ইন্টারভিউ কখনো কখনো টিভিতে গিয়ে স্বশরীরে গিয়ে সংবাদের মাঝে সাক্ষাত্কার দিতে হয়েছে। বিষয় গুলো আমি খুব উপভোগ করেছি। ১ লা ডিসেম্বর এখানে পরিচিত হলাম স্থানীয় মেয়রের সাথে। মেয়রের নাম থোরে ভেস্তবি, খুব আন্তরিক একজন মানুষ। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি আমাকে দাপ্তরিক ভাবে অভ্যর্থনা জানালেন, মেয়রের সঙ্গে একটা পত্রিকায় একটা ইন্টারভিউ দিলাম এবং মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। মধ্যাহ্ন ভোজের সময় তিনি আমাকে জানালেন আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০১০ নরওয়ের রাজা এবং রানী দ্রবাক শহর ভ্রমনে আসছেন। এই উপলক্ষ্যে তিনি বিশেষ কিছু কর

'যুদ্ধের শিশু' আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী, নরওয়ে - ২০১৫

Image
১২ সেপ্টেম্বর নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, 'যুদ্ধের শিশু' শীর্ষক আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী। উক্ত প্রদর্শনীতে ৫১ টি দেশের ১২৮ জন কার্টুনিস্ট অংশ নিয়েছেন। সর্বমোট কার্টুন জমা পরেছিল ৫৫৮ টি, এর মধ্য থেকে ৭০ টি কার্টুন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে। নরওয়ের বেশ কয়েকটি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে এছাড়া সুইডেন,  স্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ড,অর্মেজিয়া, তুরস্ক, জর্দান ও দক্ষিন আফ্রিকায় প্রদর্শিত হবে। উক্ত  আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজক হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান এবং  সিরিয়ান কার্টুনিস্ট ফাদি আবু হাসান।  সার্বিক সহযোগিতায় নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট হাউজ এবং টুনস ম্যাগ। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

শিশু দিবস

Image
নরওয়ের অকেশুশ প্রদেশে একটা জাদুঘর আছে। নাম ফোলো মিউজিয়াম। জাদুঘর কতৃপক্ষ প্রতি বছর গ্রীষ্মে ও শীতকালে শিশু দিবস পালন করে।  এই শিশু দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত জাদুঘরে হাজার হাজার শিশুরা আসে তাদের অভিবাবকদের সঙ্গে। শিশুরা পুরাতন আমলের ঘরবাড়ি গুলো ঘুরে ঘুরে দেখে, ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ায়, প্রত্নতত্ত্ব বিষয়াদি ও আঞ্চলিক ইতিহাস এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে।  উল্লেখ্য সেই জাদুঘরের ভিতরে ৩'শ বছর আগের পুরনো একটা বিদ্যালয় আছে।  সেই পুরনো আমলের বেঞ্চিতে বসে শিশুরা ছবি আঁকা শেখে। জাদুঘরটা নরওয়ের হলেও এই  বিদ্যালয়ের শিক্ষক কিন্তু নরওয়েজিয়ান নয়।  সে একজন বাঙালি। ( এখন চিন্তা করতে থাকুন ব্যক্তিটা কে হতে পারে। ) শ্রেণীকক্ষে শিশুরা অনেক কিছু আঁকা শেখে।  যেমন: হাতি, ঘোড়া, বিড়াল, কুকুর, সজারু, পাখি, ফুল, ঘর-বাড়ি, নদী সহ আরো অনেক কিছু। শিশুরা কোনো কিছু আঁকা শিখতে চাইলে তারা তাদের শিক্ষকে জিজ্ঞাসা করে।  আর শিক্ষক খুব তাদের সহজ  ভাবে আঁকার কৌশল তাদের শিখিয়ে দেন। অনেক সময় শিশুদের সঙ্গে শিশুদের বাবা-মা, দাদা-দাদী বা নানা-নানিও ছবি আঁকা শিখে থাকেন। গতকাল সেখানে শিশু দিবস ছিল।  প্রায় হাজার শিশুর সম

স্টকহম আন্তর্জাতিক কমিক উত্সব-২০১৫

Image
আজ আনুষ্ঠানিক ভাবে শেষ হলো স্টকহম আন্তর্জাতিক কমিক উত্সব-২০১৫। সেখানে দেশ-বিদেশের অনেক কার্টুনিস্ট ও কমিক শিল্পীরা যোগদান করতে এসেছিলেন। সুইডেনের রাজধানী স্টকহম-এ অনুষ্ঠিত, আন্তর্জাতিক কমিক উত্সব-এর পক্ষ থেকে আমাকে অফিসিয়াল গেস্ট বা দাপ্তরিক অতিথি হিসাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল।  আমার যাওয়া আসার জন্য তারা আমাকে বিমানের টিকেট, হোটেল, থাকা খাওয়া সহ যাবতীয় সুবিধা প্রদান করেছিলেন। গত শুক্রবার আমি সেখানে গিয়ে ছিলাম। বিমান থেকে নেমেই দেখলাম একজন আমার জন্যে অপেক্ষা করছেন, হাতে তার একটা বোর্ড, তাতে আমার নাম লেখা, আমি তাকে নিশ্চিত করলাম আমিই আরিফুর রহমান।  এরপর হোটেলে গিয়ে ব্যগটা রেখে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গেলাম। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমাদের সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয়া হলো। কার্টুনিস্ট-দের অধিকাংশই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে, এছাড়াও কিছু জাপানি, আর কয়েক জন আমেরিকা ও ব্রাজিল থেকে এসেছিলেন। গত কাল সেখানে মত প্রকাশের স্বাধীনতার উপর একটা আলোচনা অনুষ্ঠান ছিল, অলোচনা অনুষ্ঠানে আমার সঙ্গে অংশ নিয়েছিলেন মধ্য প্রাচ্যের এক কার্টুনিস্ট। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেছিলেন সুইডিশ রেডিও-র সাবেক এক কর্মকর্তা