Posts

Showing posts with the label বাংলা

স্ভালবার Svalbard

Image
স্ভালবার Svalbard  স্ভালবার (Svalbard) নামে নরওয়ের একটি দ্বীপপুঞ্জ আছে। যা নরওয়ের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে এবং উত্তর মেরুর সন্নিকটে উত্তর মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত। এখানে যেমন মানুষের বসবাস আছে, অনুরূপ আছে শ্বেত ভাল্লুকের বসবাস। দ্বীপটি সারা বছর বরফ আচ্ছাদিত থাকে, শীতকালে বেশি আর গ্রীষ্মকালে তুলনা মূলক কম। শীতকালে ২৪ ঘন্টা এখানে রাত থাকে আর গ্রীষ্মকালে ২৪ ঘন্টা দিন থাকে। নরওয়ের আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার দ্বারা দ্বীপটি পরিচালিত হয়। এখানে কিছু বিশেষ আইন বলবৎ আছে যা আপনার কাছে কিছুটা অদ্ভুত মনে হবে। ১. বিড়াল নিষিদ্ধ এই দ্বীপে যত্রতত্র বিশাল শ্বেত ভাল্লুকের বিচরণ থাকলেও এই দ্বীপে বিড়াল নিষিদ্ধ। বিরল প্রজাতির মেরু অঞ্চলের পাখীদের রক্ষা করার জন্য ১৯৯২ সালে আইন করে এই দ্বীপে বিড়াল নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করার পূর্বে এই দ্বীপে বিড়াল ছিল, বর্তমানে “কেশা” নামে একটি বিড়াল আছে যেটিকে শিয়াল হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে। ২. বন্দুক বাধ্যতামূলক নরওয়ের মূল ভূখন্ডে বন্দুক ধারী কাউকে দেখা যাওয়ার কথা কল্পনাতীত, এমন কি আইন রক্ষাকারী বাহ

ফোনালাপ

Image
আমার জীবনের প্রথম ফোনটা ছিলো নকিয়া ১৬০০ আর এটি ছিলো ২০০৫ সালে। সে সময় ফোনটি ব্যবহার করে ফোন কল এবং ক্ষুদ্র বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি গেম খেলা যেতো। সে সময় ফোনটি আমার প্রিয় ছিলো। এরপর ফোনটি   হারানোর পর নতুন একটি নকিয়া ফোন কিনেছিলাম যেটাতে ক্যামেরা ছিলো, ছবি তোলা এবং ভিডিও করা যেতো, আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিলো যে এটি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতো, কম্পিউটারের সাথে ফোনটিকে যুক্ত করলেই ইন্টারনেট মোডেম হিসেবে কাজ করতো। যাই হোক দেশ ত্যাগের পর ২০১০ সালে ছোট একটা স্যামসং ফোন কিনে ছিলাম ক্ষণস্থায়ী ব্যবহার করার জন্য। তবে ২০১১ সালে আইফোন কেনার পর স্যামসং ফোন সেট তো দূরের কথা নম্বরটিও ব্যবহার করিনি। আইফোন ফোর এস একটানা ছয় বছর ব্যবহার করেছি, বেশ ভালো সেবা দিয়েছিলো ফোনটি। শেষের দিকে ২০১৭ সালে মনে হলো ফোনটি বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, অনেকটা ধীর গতিতে কাজ করছে, কোন একটা বাটনে ক্লিক করলে সময় নিত প্রায় পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ড। পরিশেষে বিরক্ত হয়ে নতুন ফোন কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সে সময় আইফোনের সর্ব শেষ সংস্করণটি ছিলো আইফোন সেভেন প্লাস। বড় পর্দার শতাধিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত ফোন, তথ্য ধারণ ক্ষমত

এই মানুষ বনে গেলে বন মানুষ হয়

Image
আমার নানী প্রায়শ বলতেন “এই মানুষ বনে গেলে বন মানুষ হয়।” যদিও কথাটির মাঝে যুক্তি এবং দর্শন আছে, তথাপিও সে সময় এই কথার অর্থ বুঝতাম না, তবে এখন উক্ত কথাটির মর্মার্থ বুঝতে পারি। প্রকৃতপক্ষে আমি স্বয়ং উক্ত কথাটির একটি বাস্তব উদাহরণ।  উদাহরণ ১: শৈশবে (আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে) যখন গ্রামে থাকতাম তখন ডোবায় বা পুকুরে ডুব দিয়ে হাতরিয়ে হাতরিয়ে মাছ ধরে আনতাম। সময়ের বিবর্তনে ডুব দিয়ে এখন ২ মিটার পানির নিচের বস্তু তুলে আনতে ব্যর্থ হয়েছি সম্প্রতি এক পরিক্ষায়। উদাহরণ ২: দেশে থাকতে শীতকালে একসাথে ৫-৬ টা গরম কাপর পরে শীতের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করতাম এক সময়। বর্তমানে শীত প্রধান দেশে, মাইনাস ১০ ডিগ্রি ঠান্ডায় টি শার্ট গায়ে দিয়ে একটানা ৩০ মিনিট হাটাহাটি করার রেকর্ড করেছি। শুধু তাই নয় ২০১৩ সালে একবার এক নদের উপর ৩ ফিট পুরু জমে যাওয়া বরফ কেঁটে নদের পানির উপর ভাস্কর্য বানিয়েছিলাম একটানা ৭ দিন পরিশ্রম করে।  সারকথা: সময় পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে ব্যক্তি বা বস্তুর প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়।

শৈশবের গল্প এবং মুক্তা ভাই

বর্ষাকাল। আমরা তখন গাড়াদহ গ্রামে থাকি, নতুন বাড়িতে। আমি তখন খুব ছোট, ছোট ওয়ানে পড়ি সম্ভবত। আমার চেয়ে বেশ কয়েক বছরের বড় এক ফুপাতো ভাই ছিলেন, নাম মুক্তা। তিনি তখন ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়েন। আমি এবং চাচাতো ভাই জুয়েল তার ভীষণ রকমের ভক্ত ছিলাম। তিনি নতুন কিছু কিনলেই সেটা আমাদের দেখাতেন এবং গল্প করতেন। একবার মুক্তা ভাই জিজ্ঞাসা করলেন, বলতো এক কলমে কয় শীষ? আমি বললাম এক কলমে এক শীষ। তিনি তখন বললেন এক কলমে দুই শিষ দেখেছিস কখনো? এক কলম দিয়ে দুই রঙের লেখা যায়, লাল এবং নীল। এই রকম কলম আমরা আগে কখনো দেখিনি, তাই বিষয়টা আমাদের অজানা ছিলো। আমি আর জুয়েল একে অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম, তাই কখনো হয় নাকি? আমাদের তিনি অবাক করে দিয়ে তার পকেট থেকে একটা কলম বের করলেন, যেটাতে দুই রঙের কালি ছিলো। তিনি আমাদের হাতে দাগ টেনে এক কলমে যে দুই রঙের লেখা যায় তার প্রমাণ দিলেন। তখন ইকোনো বলপেনের ব্যাপক প্রচলন ছিলো, মুক্তা ভাই দুইটা বলপেন বের করে বললেন, দুই কলম জোড়া লাগাতে পারবি? যমজ কলম বানাতে পারবি? ছোট মাথায় তখন অত কিছু খেলতো না। তাই বললাম সেটা কি করে সম্ভব? জুয়েল বলল কলম কখনো যমজ হয় নাকি

ব্যাঙ্কিং সেবা

Image
সময়ের সাথে সব কিছু বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে জীবন যাত্রার মানএবং ধরণ। একটা সময় বিদ্যুৎ বা টেলিফোন দেয়ার জন্য লোকজন ব্যাংকে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতো। এরপর যখন অনলাইন ব্যাংকিংয়ের যুগ শুরু হলো তখন লোকজন ব্যাংকে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বিল পরিশোধ করার বদলে ঘরে বসেই কম্পিউটারে করতে লাগলো। এখন সবার হাতে হাতে ইন্টারনেট সংযুক্ত স্মার্ট ফোন। বর্তমানে ডেস্কটপ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তুলনায় মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি আর এই কারণেই ব্যাংকগুলো অনলাইন ব্যাঙ্ক থেকে স্মার্টব্যাংকে রূপ নিয়েছে। ব্যাংকের মোবাইল এপপ্স চালু করে মোবাইলের ক্যামেরায় বিলপেপারের ছবি তুললেই প্রাপকের ব্যাঙ্ক নম্বর এবং টাকার পরিমান সহ বিস্তারিত তথ্য এপপ্সটি আপনা আপনি পূরণ করে নেয়। আমার কাজ শুধু পাসওয়ার্ড প্রবেশ করিয়ে ওকে বাটনে ক্লিক করা। ব্যাস বিদ্যুৎ বা টেলিফোন বিল পরিশোধ  করার কাজ শেষ। আজ প্রথম বারের মত স্মার্ট ব্যাঙ্কিং সেবার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। 

টুনস ম্যাগে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি

Image
টুনস ম্যাগের নবম বর্ষপূর্তিকে উপলক্ষ্যে নতুন সংস্করণের কাজ চলছে। লোগো পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সাইটের ফিচারে নতুনত্ব থাকছে, সেই সাথে থাকছে তথ্যের গভীরতা।  নতুন বছরে সংক্ষিপ্ত নীতিবাক্য; it's time to change.  বিভিন্ন CMS নিয়ে কাজ করেছেন, HTML, CSS-এ পারদর্শী, ইংরেজী ভাষা শুদ্ধভাবে লিখতে পড়তে পাড়েন এমন এক জনকে খন্ডকালীন Content Managmant কাজের জন্য নিয়োগ দেয়া হবে। যোগ্য এবং আগ্রহীরা ইনবক্সে যোগাযোগ করতে পারেন, কোন প্রশ্ন থেকে থাকলে সেটাও জানাতে পারেন। ইমেইল করতে পারেন এই ঠিকানায়: post@toonsmag.com বেতন আলোচনা সাপেক্ষ্য।  উল্লেখ্য; টুনস ম্যাগ একটি অনলাইন কার্টুন ম্যাগাজিন। বর্তমানে পাঁচটি ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে। বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান টুনস ম্যাগের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রকাশক। প্রতি বছর বিভিন্ন বিষয়ে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগীতা ও প্রদর্শনীর আয়োজন করে আসছে, সেই সাথে বিভিন্ন দেশের আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগীতা এবং প্রদর্শনীর পৃষ্ঠপোষকতা করে চলছে। “কার্টুনিস্ট অফ দ্যা ইয়ার” পদক প্রতি বছর টুনস ম্যাগ প্রদান করে থাকে। প্রতি মাসে ১৪০+ দেশ থেকে টুনস ম্যাগ পড়া হয়ে

শৈশবের নীতি কথা

পরিশ্রমে ধন আনে পূন্যে আনে সুখ। আলস্য দারিদ্র্য আনে পাপে আনে দুঃখ। উপরের কথা গুলো আমার নয়, আমার নানী প্রায়ই কথা গুলো বলতেন এবং নানীর ঘরের দেয়ালে লিখে বাঁধানো ছিলো। কথা গুলোর রচয়িতা আমার অজ্ঞাত। তবে কথাগুলো যারই রচিত হোক না কেন, কথা গুলো সার্বজনীন অর্থবহ চিরন্তন সত্য কথা। আমার শৈশবে নানীর মুখে ছন্দময় আরো অনেক কথাই শুনেছি। তাঁর সকল কথার অর্থ আমি তখন বুঝতাম না তবে এখন সব কিছুই বুঝতে পারি। নানীর মুখে শোনা উপরের কথা গুলোকে আমি জীবন দর্শন মনে করি।

গোঁফ ভ্রম

Image
কিছু দিন আগে হঠাৎ করে গোঁফ রেখেছিলাম। গোঁফের কারনে প্রথম দেখাতেই অনেকে আমাকে দক্ষিণ ভারতীয় তামিল নয়তো শ্রীলঙ্কান ভেবে বসে থাকতো। এমনটাই হয়েছিলো বেশ কদিন আগে নরওয়েজিয়ান শিল্পীদের সাথে বড় দিনের মধ্যাহ্ন ভোজের অনুষ্ঠানে। আমার পাশে বসা এক শিল্পী আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোথায় থাকেন? জবাবে বললাম দ্রবাক। তিনি বললেন দ্রবাক সুন্দর শহর, কার্টুনিষ্টদের শহর, কার্টুনিষ্ট গ্যালারী আছে, বাংলাদেশী এক কার্টুনিষ্ট আছে যিনি নিজ দেশে কার্টুন এঁকে জেল খেটেছিলেন, নির্যাতিত হয়েছিলেন তিনিও আপনার মত দ্রবাকেই থাকেন। আমি মুচকি হেসে জিজ্ঞাসা করলাম, আপনি ঐ কার্টুনিষ্টকে চেনেন? তিনি জবাবে বললেন, না কখনো দেখা হয়নি তবে তার সম্পর্কে পত্রিকায় পড়েছি। আমি মুচকি হেসে বললাম, আচ্ছা। আমাকে মুচকি মুচকি হাসতে দেখে, তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, আপনি কি তাকে চেনেন? মানে, ঐ বাংলাদেশি কার্টুনিষ্ট কি আপনার বন্ধু? আমি বললাম, জ্বি না, তিনি আমার বন্ধু নন, আমিই তিনি। আমার জবাব শুনে তিনি নড়েচড়ে বসলেন এবং উচ্চ স্বরে হাসতে হাসতে বললেন, সত্ত্যি! আপনিই সেই কার্টুনিষ্ট? উনার অট্ট হাসির কারনে পাশে যারা বসেছিলেন তারা

পরোপকার - ১

গতকাল অসলো থেকে বাসায় ফিরছিলাম। বাসে একজন সত্তুরর্ধো এরিত্রিয়ীন মহিলাকে দেখলাম কুড়ি বা পঁচিশ কেজি ওজনের একটা বস্তা ভর্তি চাউল কিনে বাসে উঠেছেন। বস্তাটি কোথায় রাখবেন তা নিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। আমি তাকে বস্তাটি এক জায়গায় রাখতে সাহায্য করলাম। তিনি আমার পাশের সিটে এসে বসলেন।  এরপর তিনি যখন গন্তব্যস্থলে এসে বাস থেকে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তখন আমার কাছে চাউলের বস্তাটি নামিয়ে দেওয়ার জন্য বিনীতভাবে সাহায্য চাইলেন।  আমি তাকে বস্তাটি নামিয়ে দিলাম।  তিনি আমাকে সাহায্য করার জন্য ধন্যবাদ, আপনি অনেক দয়ালু।  আমি নিয়মিত চেষ্টা করি মানুষের সামান্যতম উপকার হলেও করতে।  মানুষের মুখে হাসিমাখা প্রসংশা আমার জন্য বড় পাওয়া। 

কার্টুনিস্টস শপ নির্মাণ কাজ চলিতেছে।

Image
গত বছর অর্থাৎ ২০১৬ সালের ১লা অক্টবর একটা প্রকল্প শুরু করেছি, নাম কার্টুনিস্টস শপ বা কার্টুনিস্টদের দোকান। প্রকল্পটি বর্তমানে নির্মাণাধীন রয়েছে। জনসাধারণের জন্য এখনো উন্মুক্ত করা হয়নি। আশাকরছি চলতি বছর জুন-জুলাই প্রকল্পটির কাজ শেষ হবে। কার্টুনিস্টস শপ হলো কার্টুনিস্টদের একটি ইন্টারনেট ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস যেখানে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের দেশের কার্টুনিস্ট/আর্টিস্ট, তাদের শিল্পকর্ম বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শন করতে পারবে এবং বিক্রয় করতে পারবে। কার্টুনিস্টস শপ থেকে ক্রেতা শিল্পকর্মের ডিজিটাল কপি বা কাগজে মুদ্রিত কপি উভয় সংস্করণ কিনতে পারবে। ডিজিটাল কপি ক্রেতা ক্রয় এবং মূল্য পরিশোধ করার সঙ্গে সঙ্গেই তা ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারবে। কাগজে মুদ্রিত কপির ক্ষেত্রে ২ সাপ্তাহের মধ্যে তা ডাকযোগে প্রেরণ করা হবে। শিল্পকর্ম ক্রয়ের পাশাপাশি ক্রেতা তার প্রকল্পের কাজের জন্য শিল্পীর সেবা ক্রয় করতে পারবে। ক্রেতা প্যেপাল এবং ক্রেডিটকার্ড ব্যবহার করে মূল্য পরিশোধ করতে পারবে। শিল্পকর্মের মধ্যে থাকবে কার্টুন, কমিক স্ট্রিপ, ক্যারিকেচার, ইলাস্ট্রেশন, পেইন্টিংস এবং অন্যান্য। সেবার মধ্যে থাকবে ক্যারিকেচার অঙ

আমিও যাবো

আমিও যাবো ।। আমিও যাবো চলে..... দূর অজানায় সেখানে মেঘেরা মেশে আকাশের নীল রঙে।। তুমি সাথে আসবে কি, আমার সাথে যাবে কি মেঘের ভেলায় করে যাবো নীল পাহাড়ে। আমার আগে গেছে সেথা আরো অনেকে। দিন শেষে খেলা ফেলে সকলেই যাবে চলে। হাসবো আমিও রাতের আকাশের তারা হয়ে। 

প্রেম ভাবনা

একটা সময় ছিলো যখন তোমায় আমি অনেক ভালোবেসে ছিলাম, দুচোখ বুজলে শুধু তোমার হাসি মুখ দেখতে পেতাম। আমার বর্তমান বা ভবিষ্যৎ সবখানেই আমি ফুলদানির মতো তোমাকে সাজাতাম। তোমার কথা ভাবতেই হৃদয় আমার শীতল হতো ভালোবাসার পবিত্র অনুভূতিতে। দিনরাত শুধু তোমার হাসি মুখ দেখতে ইচ্ছে করতো, ভালো লাগতো শুনতে তোমার কথা। তোমার প্রতি অনুভব করতাম হৃদয় ভরা ভালোবাসা। আমার সে ভালোবাসায় কোন খাদ ছিল না, ছিল পবিত্রতা, বিশুদ্ধতা। তখন আমার হৃদয় ভরা ভালোবাসা ছিল সত্যি, কিন্তু আমার পায়ের তলায় মাটি ছিল না, ছিলো না মাথা গোজার ঠাঁই, আমি ছিলাম ভিটেমাটিহীন যাযাবর। আচমকা একদিন, আবিষ্কার করেছিলাম, তুমি অন্য কারো। জানার পর কষ্ট পেয়েছিলাম, কিন্তু তোমাকে আমি দোষ দেয়নি কখনো, কারণ তোমাকে পাওয়ার মতো বাস্তবতা আমার ছিল না। আয়নায় দাঁড়িয়ে নিজেকে সান্তনা দিতাম, এই বলে - "তুমি ঠিকই করেছো, যে পৃথিবীতে আমার নিজেরই মাথা গোঁজার ঠাঁই নাই, সে পৃথিবীতে তুমি এলে তোমায় রাখতাম কোথায়, বলো?" এরপর ধীরে ধীরে আমার কাদামাটির গড়া হৃদয় আগুনে পুড়ে শক্ত হয়ে যায়। পোড়ামাটির বাসন যেমন পানিতে ভিজিয়ে রাখলেও পূর্বের কাদা মাটির রূপে ফিরে আসে না, তেমনি চ

My thought - 3

Winter begins and ends, and begins Spring. Spring ends and begins Summer, Summer ends and begins Autumn. Everything has a beginning and an end, this is the eternal rule of the universe. Bangla: শীতের শুরু হয় এবং শেষ হয়, এবং বসন্তের শুরু হয়  বসন্ত শেষে গ্রীষ্মের শুরু, গ্রীষ্মের শেষে শরতের শুরু।  যার শুরু আছে তার শেষ আছে, এটি মহাবিশ্বের শাশ্বত নিয়ম।  Norwegian: Vinteren begynner og slutter, og begynner våren. Våren slutter og begynner sommer, sommeren slutter og begynner høsten. Alt har en begynnelse og en slutt, er dette den evige regelen i universet. - Arifur Rahman (03.01.2017)

My thought - 2

The ceiling depends on the wall wall is dependent on the ground. Everything in this world is sustained depends on something. Bangla: ছাউনি দেয়ালের উপর নির্ভরশীল  দেয়াল ভূমির উপর উপর নির্ভরশীল।  পৃথিবীর সবকিছুই কিছু না কিছুর উপর নির্ভর করে টিকে থাকে।  Norwegian: Taket er avhengig av veggen veggen er avhengig av bakken. Alt i denne verden er vedvarende avhenger noe. - Arifur Rahman (02.01.2017)

My thought - 1

Everything that happens, and everything we observe, all have one or more reasons, Back of all reasons have one or more main reasons. Bangla: যা কিছু ঘটে, এবং আমরা যা কিছু প্রত্যক্ষ করি, তার সব কিছুরই এক বা একাধিক কারণ রয়েছে।  আর সব কারণের পিছনে থাকে এক বা একাধিক মূল কারণ। Norwegian: Alt som skjer, og alt vi observerer, alt har en eller flere grunner, Til bak av alle grunner har en eller flere hovedårsak. - Arifur Rahman (01.01.2017)

প্রকৃতি ভ্রমণে একদিন

Image
তখন গ্রীষ্মকাল ছিল। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে মধ্য-দক্ষিণ নরওয়ের পর্বত ঘেরা প্রকৃতি ভ্রমণে গিয়েছিলাম আমার এক বন্ধুর নিমন্ত্রনে। সেদিনের শেষ বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিজেকে স্বর্গলোকে আবিষ্কার করেছিলাম এই দেখে যে, সেখানে সময় অসময়ে মেঘেরা আসে পর্বতকে আলিঙ্গন করতে। আমি মেঘের মাঝে হেটে ছিলাম পর্বতের গা বেয়ে। চারিদিকে ঝর্ণার কলকলে ধ্বনি, পাখিদের কিচিরমিচির আর ভূপৃষ্ঠের সবুজ লতা-গুল্মে পুষ্পরাজিরা মেতেছিলো আপন রূপ প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায়। সে এক অপরূপ দৃশ্য। নরওয়েজীয় বন্ধুর বাংলো থেকে গাড়ি চালিয়ে প্রায় এক ঘন্টার পথ পেরিয়ে আমরা গিয়েছিলাম মালভূমি পরিভ্রমনে। মালভূমির উপরেই রয়েছে এক পর্বতমালা। এই অঞ্চলটিকে ঘিরে একাধিক পৌরাণিক গল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। এই স্থানকে নরওয়েজিয়ান ভাষা বলা হয় ''Jotunheimen'' বাংলায় ভাবার্থ দাঁড়ায় ''দৈত্যদের নিবাস''। ভূপৃষ্ঠে ছোট বড় অসংখ্য পাথর, পানির কলকল ধ্বনি শুনতে পাচ্ছিলাম, পর্বতের গা বেয়ে ছোট বড় অসংখ্য পানির ধারাও চোখে পড়ছিলো। কোথাও পানি জমে ছোট্ট ডোবা বা পুকুরের মত সৃষ্টি হয়েছে আর সেই পানিকে কেন্দ্র করে একধরণের পাখির আনাগোনা চোখে পড়ার

ঠাকুর বাড়ির ধূলি

Image
১৯৯৩ সাল, শাহজাদপুর শহরে আমি নবাগত। ক্লাস ফাইভে সদ্য ভর্তি হয়েছি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের পাশেই মামার বাসা ছিল। এর কিছুদিন পর গ্রাম থেকে আমার প্রাণপ্রিয়া নানী আসলেন আমাকে দেখতে। আমি যখন গ্রামে নানীর বাড়িতে থাকতাম তখন নানীর আঁচল ছিল আমার সব কিছু। সে যেখানে যেতো, আমিও তার আঁচল ধরে সেখানেই যেতাম। তো যাই হোক নানী এসেছেন আমাকে শাহজাদপুর শহর ঘুরে দেখতে। সবার প্রথমে তিনি আমাকে রবি ঠাকুরের কাচারী বাড়ি দেখবেন। তো আমি আর নানী রওনা হয়েছি, নানীর আঁচল ধরে হাটছি। নানী বলছিলেন, ''সেই অনেক আগের কথা, ঠাকুরেরা ছিল এই এলাকার জমিদার। একবার রবি ঠাকুর এর নৌকো আমার নানা বাড়ির ঘাটে ভিড়িয়ে ছিলো। আমার মা তখন ছোট্ট বালিকা। তিনি নিজ হাতে বকুল ফুলের মালা গেঁথে রবি ঠাকুরকে উপহার দিয়েছিলেন।''  তিনি আরো বলছিলেন, ''রবি ঠাকুর এই শাজাদপুরের মাটিতে বসে অনেক গান, কবিতা, গল্প রচনা করেছেন। যেমন, আমাদের ছোট নদী, তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে, পোস্টমাস্টার, কীর্তি, ছুটি, সমাপ্তি, ইত্যাদি। রবি ঠাকুর আমাদের বিশ্ব কবি। আমাদের জাতীয় সংগীত তাঁর লেখা। সারা বিশ্ব চেনে তাঁকে এক নামে।''

সুলতান - Sultan (2016 film)

Image
এক কথায় মন্তব্য: অসাধারণ একটি প্রেম-ক্রীড়া বিষয়ক কাহিনীচিত্র।  এক কথায় কাহিনী: সুলতান, যে তার লক্ষ্যার্জনের জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সে সর্বদা সফলকাম হয়।  আমার সমালোচনা: বাংলাদেশি রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী যেমন তার রান্নায় নুডুলসের ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার দেখিয়ে থাকেন। তেমনি এই চলচ্চিত্রে ভিডিওকনের ডিস এন্টেনার ভিন্ন ভিন্ন ব্যবহার এবং এর উপস্থিতি বেশ লক্ষ্যণীয়। যেমন: হোন্ডার পিছনে  ভিডিওকনের ডিস এন্টেনা । এমনকি এই চলচ্চিত্রে ডিশ এন্টিনা বিষয়ক একটি গানও আছে।  তাই এটিকে ভারতীয় দূরদর্শন প্রতিষ্ঠান ভিডিওকনের পূর্ণদর্ঘ্য বিজ্ঞাপন এবং আনুসাঙ্গিক ঘটনা প্রবাহের সমন্বয়ে নির্মিত একটি কাহিনীচিত্র বলা যেতে পারে। 

আমার সংগীত সাধনা - ২

Image
আমি তখন শাহজাদপুর সরকারি কলেজে স্নাতক অধ্যায়ন করছি। তখন প্রতিদিন সন্ধ্যায় ইটিভিতে ''বন্ধন'' নামে একটা ধারাবাহিক নাটক দেখাতো। পুরো নাটকটা  খুব কম-ই দেখা হতো, তবে অর্ণবের কণ্ঠে শীর্ষ সংগীত ''ব্যস্ত শহরে'' কখনোই দেখা বাদ দিতাম না, গানটা আমার ভীষণ প্রিয় ছিল শুধু এই কারণে দেখতাম প্রতিবার। শীর্ষ সংগীত শুনতে শুনতে একদিন আমার-ও গান গাইতে ইচ্ছে জাগলো মনে। টিভি পর্দায় চোখ রেখে অর্ণবের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে যেই না গাইতে শুরু করেছি, ''ব্যস্ত শহরে, ঠাস বুনোটের ভিড়ে, আজও কিছু মানুষ স্বপ্ন খুঁজে ফেরে। ব্যস্ত শহরে ....''  অমনি, পিছন থেকে এক অনুজা আমাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলো এই বলে, ''ব্যাস, অনেক হয়েছে, ভাঙা গলায় কুকুরের মত আর ঘেউ ঘেউ করতে হবে না, এবার থামো।'' সঙ্গে সঙ্গে আমি সম্বিৎ ফিরে পেলাম।  ধমকে ব্যবহৃত শব্দ সমূহ খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল।  অনুজা নিয়মিত সংগীত চর্চা করেন, ওস্তাদের কাছ থেকে রবীন্দ্র-নজরুল ও অন্যান্য সংগীতের বিষয়ে তালিম নিতেন। তাই হয়তো আমার কর্কশ কণ্ঠে গান গাওয়ার চেষ্টাকে তিনি গানের অপমান মনে করে কুকুরের ঘেউ ঘেউ এর সঙ্গে তুলন

আমার সংগীত সাধনা - ১

আমি তখন নবম-দশম শ্রেণীর ছাত্র। আমার এক অনুজা সংগীত চর্চা করতো, মূলত তাকে তালিম দিতেই বাড়িতে নিয়মিত গানের ওস্তাদ আসতো। মাঝে মধ্যে অনুজাকে সঙ্গে করে সংগীত বিদ্যালয়ে নিয়ে যেতাম, তার গান শেখা অব্দি সেখানে বসে থাকতাম, গান শেখা শেষ হলে তাকে সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে আসতাম। গানের ওস্তাদকে সবাই মামা বলে সম্বোধন করতো তাই সকলের দেখাদেখি আমিও মামা বলে সম্বোধন করতাম। তিনি অনেক আন্তরিক ও স্নেহপরায়ণ মানুষ ছিলেন। অনুজা গানের তাল-লয়-রাগ থেকে শুরু করে রবীন্দ্র-নজরুল-আধুনিক গান শিখতো আর আমি পাশে বসে বসে সংগীত অনুরাগী শ্রোতার মতন একাগ্র চিত্তে শুনতাম। সংগীতের প্রতি আমার মনোযোগ দেখে একদিন গানের ওস্তাদ আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, ''কি গান শিখবে?'' আমি মৃদু হেসে মাথা নেড়ে হ্যাঁ সূচক জবাব দিয়েছিলাম। হারমোনিয়ামে আঙ্গুল রেখে যেই সারেগামা শুরু করেছি অমনি পাশ থেকে একজন বলে উঠলো, এই কর্কশ কন্ঠীকে গান না শিখিয়ে ডুগি-তবলা বাঁজানো শেখান তাও একটা কাজের কাজ হবে, অন্তত (অনুজাকে ইঙ্গিত করে) ওর গানের সাথে বাঁজাতে পারবে। আশাহত আমি হারমোনিয়াম ছেড়ে ডুগি-তবলা বাঁজানো শেখা শুরু করলাম। খুব মনোযোগ দিয়ে শিখতে লাগলাম সে