Posts

Showing posts from December, 2015

টুনস ম্যাগ আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৬

Image
৮ মার্চ ২০১৬ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে টুনস ম্যাগ আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার বিষয় নারী অধিকার, উক্ত প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত, যে কেউ অংশগ্রহন করতে পারবে। পুরস্কার বিজয়ী কার্টুন সমূহ দিয়ে ৮ মার্চ ২০১৬ নারী দিবস উপলক্ষ্যে একই সাথে নরওয়ে এবং ভারতে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। আপনাকে উক্ত প্রতিযোগিতায় এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় বিচারক মন্ডলী হিসাবে রয়েছেন ৮ দেশের ৮ জন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট: সিরি দক্কেন কার্টুনিস্ট, নরওয়ে সাবিনে ভিগ্ত কার্টুনিস্ট, জার্মানি সাদাত দেমির ইঅল্সিন কার্টুনিস্ট, তুরস্ক নিগার নজর কার্টুনিস্ট, পাকিস্তান আহসান হাবিব কার্টুনিস্ট এবং উন্মাদ ম্যাগাজিন সম্পাদক, বাংলাদেশ বরিস্লাভ স্তান্কভিক স্তাবর কার্টুনিস্ট , সার্বিয়া জন-এরিক  আন্দের কার্টুনিস্ট , সুইডেন ম্যাট বুইর্কের কার্টুনিস্ট, আমেরিকা প্রতিযোগীদের নাম সমূহ দেখতে : http://my.fnf.fm/1mfaxGN প্রতিযোগিতার ঘোষণা ও পুরস্কার সংক্রান্ত তথ্যের জন্য  : http://my.fnf.fm/1QCM2jZ প্রতিযোগিতায় বিচারক মন্ডলীদ

একটু ফিরে দেখা

Image
আমি প্রথম কার্টুন একে পুরস্কার পাই ২০০৬ সালে টি আই বি আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতায়। তৃতীয় হয়েছিলাম খ বিভাগে। ২০০৭ সালে দ্যা ডেইলি স্টার আয়োজিত কার্টুন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পাই। এরপর কার্টুন একে আমি অনেক কিছু পেয়েছি, আবার অনেক কিছু হারিয়েছি।  এমনকি কার্টুন একে ৬ মাস দুই দিন  জেল খেটেছি, মুরতাদ ফতোয়া পেয়েছি, দেশ ছেড়েছি সেই সাথে আরো অনেক কিছু পাওয়া বা হারানোর তালিকায় আছে। ২০০৭ সালের পর বাংলাদেশের কোনো পত্রিকা আমার কার্টুন ছাপত না, আবার কেউ ছাপলেও কার্টুনে আমার নাম সেন্সরড করা হত, আমার নামের স্থলে অন্য একটা নাম দিয়ে ছাপা হত। ২০০৮ সালে ২০ মার্চ হাইকোর্ট আমাকে মুক্তিদেন কিন্তু ,২০০৯ সালে যশোরের একটি নিম্ন আদালত আমাকে ওই একই কার্টুনের জন্য ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে  দন্ডিত করে সেই সাথে পাঁচ শত টাকা জরিমানা করে। তো যাই হোক, আমি থামিনি থেমে থাকিনি, কারণ আমি হারতে শিখিনি। কার্টুন দিয়ে আমি বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই, নিজের কথা নিজের নামে নিজের মত করে বলতে চাই।  এবং অন্য কার্টুনিস্টদের স্বাধীন মত প্রকাশের একটা জায়গা করে দিতে চাই। ২০০৯ সালে আমি একটা অনলাইন

বড় দিনের উপহার

এক প্রেমিক বালক তার প্রেমিকা বালিকাকে আমার আঁকা একটা ছবি বড় দিনের উপহার হিসাবে দিতে চান। আজ থেকে ১৩ দিন আগে নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে এসে আমাকে খুঁজে গেছে, আমাকে না পায়ে গ্যালারির এক কর্মকর্তার কাছে তার এবং তাদের একটি জুগল ফটো রেখে গেছে সেই থাকে ১৫ হাজার বাংলাদেশী টাকার সমতুল্যের নরওয়েজিয়ান ক্রোনার আমার জন্য সম্মানী হিসাবে রেখে গেছেন। গ্যালারির কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতি একে দেয়ার জন্য বলেছিলেন। আমার পরীক্ষা এবং আনুসঙ্গিক ব্যস্ততা থাকার কারণে বিষয়টা একরকম ভুলেই গেছিলাম। কাল সারা রাত জেগে পরীক্ষার উপকরণ প্রস্তুত করে আর সকাল ভোরে জমা দিয়ে বাসায় এসে যেই না ঘুমোতে গেছি। অমনি ফোন, ওপর প্রান্ত থেকে জিজ্ঞাসা করলো; প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতির কি খবর? আঁকা হয়েছে? আমি হাই তুলতে তুলতে জবাব দিলাম, না এখনো শুরুই করি নাই, ভুলে গেছিলাম। তাই একটু ঘুমিয়ে মুখ হাত না ধুয়েই বসে পরলাম ড্রইং করতে। ড্রইং করতাছি আর ভাবতাছি, আহারে পিরীতি, ভীষণ পিরীতি।

নরওয়েতে পাঁচ বছর

Image
আমি নরওয়েতে অবস্থান করছি আজ পাঁচ বছর ও পাঁচ দিন। ২০১০ সালের ৩০ শে নভেম্বর সকাল ৬ টায় নরওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম ঢাকা থেকে।  ঢাকা থেকে দুবাই, দুবাই থেকে ফ্রাঙ্কফুট এবং  ফ্রাঙ্কফুট থেকে নরওয়ে, সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ ঘন্টার ভ্রমন। আর ১ লা ডিসেম্বর ছিল নরওয়েতে আমার প্রথম দিন। চারিদিকে প্রচুর তুষার, মাইনাস ২০ ডিগ্রী ঠান্ডা। সব কিছু তুষারে মোড়ানো রূপকথার রাজ্যের মত লাগছিল। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতাম, কখনো বা পত্রিকা, রেডিও বা টিভিতে ইন্টারভিউ কখনো কখনো টিভিতে গিয়ে স্বশরীরে গিয়ে সংবাদের মাঝে সাক্ষাত্কার দিতে হয়েছে। বিষয় গুলো আমি খুব উপভোগ করেছি। ১ লা ডিসেম্বর এখানে পরিচিত হলাম স্থানীয় মেয়রের সাথে। মেয়রের নাম থোরে ভেস্তবি, খুব আন্তরিক একজন মানুষ। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি আমাকে দাপ্তরিক ভাবে অভ্যর্থনা জানালেন, মেয়রের সঙ্গে একটা পত্রিকায় একটা ইন্টারভিউ দিলাম এবং মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। মধ্যাহ্ন ভোজের সময় তিনি আমাকে জানালেন আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০১০ নরওয়ের রাজা এবং রানী দ্রবাক শহর ভ্রমনে আসছেন। এই উপলক্ষ্যে তিনি বিশেষ কিছু কর