Posts

Showing posts with the label বাংলাদেশ

ঠাকুর বাড়ির ধূলি

Image
১৯৯৩ সাল, শাহজাদপুর শহরে আমি নবাগত। ক্লাস ফাইভে সদ্য ভর্তি হয়েছি স্থানীয় একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। বিদ্যালয়ের পাশেই মামার বাসা ছিল। এর কিছুদিন পর গ্রাম থেকে আমার প্রাণপ্রিয়া নানী আসলেন আমাকে দেখতে। আমি যখন গ্রামে নানীর বাড়িতে থাকতাম তখন নানীর আঁচল ছিল আমার সব কিছু। সে যেখানে যেতো, আমিও তার আঁচল ধরে সেখানেই যেতাম। তো যাই হোক নানী এসেছেন আমাকে শাহজাদপুর শহর ঘুরে দেখতে। সবার প্রথমে তিনি আমাকে রবি ঠাকুরের কাচারী বাড়ি দেখবেন। তো আমি আর নানী রওনা হয়েছি, নানীর আঁচল ধরে হাটছি। নানী বলছিলেন, ''সেই অনেক আগের কথা, ঠাকুরেরা ছিল এই এলাকার জমিদার। একবার রবি ঠাকুর এর নৌকো আমার নানা বাড়ির ঘাটে ভিড়িয়ে ছিলো। আমার মা তখন ছোট্ট বালিকা। তিনি নিজ হাতে বকুল ফুলের মালা গেঁথে রবি ঠাকুরকে উপহার দিয়েছিলেন।''  তিনি আরো বলছিলেন, ''রবি ঠাকুর এই শাজাদপুরের মাটিতে বসে অনেক গান, কবিতা, গল্প রচনা করেছেন। যেমন, আমাদের ছোট নদী, তাল গাছ একপায়ে দাঁড়িয়ে, পোস্টমাস্টার, কীর্তি, ছুটি, সমাপ্তি, ইত্যাদি। রবি ঠাকুর আমাদের বিশ্ব কবি। আমাদের জাতীয় সংগীত তাঁর লেখা। সারা বিশ্ব চেনে তাঁকে এক নামে।''

বাংলাদেশি চিংড়ি

Image
আমি প্রায়ই বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিংড়ি মাছ কিনতাম। কিন্তু ঠিক কখনোই বুঝতে পারিনি মাছ গুলো কোন দেশি। সেদিন রান্না করার পর নরওয়েজিয়ান এক অতিথি এসেছিলো। তিনি খেতে খেতে বললেন এই চিংড়ি মাছ গুলো নরওয়েজিয়ান চিংড়ি  মাছ থেকে ভিন্ন, কোথা থেকে কিনেছো,  এ গুলো কোন দেশি?  প্যাকেট হাতে নিয়ে হাতড়াতে হাতড়াতে দেখতে পেলাম এক জায়গায় ডাচ ভাষায় লেখা আছে ''Product uit Bangladesh'' অর্থাৎ বাংলাদেশের পণ্য। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি হিসেবে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো।  হতচকিত আমি সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছল কণ্ঠে অতিথিকে জবাব দিলাম, কোন দেশি মানে? এটা তো আমার দেশের চিংড়ি, বাংলাদেশি চিংড়ি।  অতিথির পাতে আরো কিছু চিংড়ি তুলে দিয়ে বললাম, খান, মজা করে খান। অতিথি মজা করে খেতে লাগলো।  খাওয়া দাওয়া শেষে অতিথিকে ঐ চিংড়ির দোকানের ঠিকানা জানিয়ে বললাম বাংলাদেশি চিংড়ি লাগলে ঐ দোকান থেকে কিনে নিবেন। আর সবাইকে বলবেন বাংলাদেশি চিংড়ি অনেক সুস্বাদু।    আমার দেশের পণ্য সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে যাক বিশ্বময় আর অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী হোক আমার মাতৃভূমি। 

আমার দুইটি কথা - ২

গতরাতে দেখলাম আরব দেশ থেকে কিছু জঙ্গি বাংলা ভাষায় আমাদের হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর কেউ কেউ কোনো কিছু না ভেবেই হুজুকে সর্বসমক্ষে শেয়ার করে যাচ্ছে।  আমরা বাঙালিরা যে হুজুকে  বাঙালি সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না এর প্রমান আমরা বহুবার দিয়েছি অতীতে।  সর্বসমক্ষে ভিডিওটা শেয়ার করায় লাভটা কার হচ্ছে? ১. জঙ্গিরা ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর আপনি (তাদের হয়ে) তাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন সবার কাছে।   ২. সর্বসমক্ষে শেয়ারের মাধ্যমে আপনি কিন্তু জঙ্গিদের প্রচারক হিসেবে কাজ করছেন, আর আপনার কারণেই জঙ্গিরা সর্বব্যাপী প্রচারণা ও পরিচিতি পাচ্ছে। মনে রাখবেন প্রচারেই কিন্তু প্রসার। ৩. আপনার প্রচার করা ঐ জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসী নীতি আদর্শের বাণী কারো কারো মনে ভয়ের সৃষ্টি করছে। আর জঙ্গিরা কিন্তু এটাই চায়।    তাই অনুগ্রহ করে জঙ্গিদের হুমকি বার্তা সর্বসমক্ষে প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন।   আসুন দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে নিজ দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। আর বেশি বেশি করে প্রচার করি আমরা বাঙালিরা বীরের জাতি, আমরা সন্ত্রাসের নিকট মাথা নত করি না। যে কোনো মুহূর্তে সন্ত্রাস কে মোকাবেলা কর

আমার দুইটি কথা - ১

বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে ''মাছের তেলে মাছ ভাজা'', একটু চিন্তা করলে সহজেই বোঝা যায় জঙ্গি গোষ্ঠীরা গুলশানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে ঠিক সেই কাজটা করেই বিশ্বকে দেখালো এবং প্রতিনিয়ত সেটাই করে চলছে। সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নিতে তারা কিন্তু আরব বিশ্বের কোনো জঙ্গি দলকে পাঠায় নি, আমাদের জবাই করার জন্য আমার দেশে জন্ম নেয়া কুলাঙ্গারদেরকেই মগজধোলাই করে পাঠিয়েছিল। এতে লাভটা কার হলো? ১. আরব দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীরা বিশ্বকে দেখালো তারা অনেক শক্তিশালী এবং পৃথিবীর সব প্রান্তেই আরবি ভাষায় ধ্বনি দিয়ে হামলা চালাতে তাদের যথেষ্ট গেলমান আছে। ২. বাংলাদেশ সম্পর্কে বহিঃ বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হলো, ভাবমূর্তি নষ্ট হলো, দেশের বাজার মন্দা হলো, ক্ষতি যা হওয়ার তার সব কিন্তু আমাদেরই হলো। বাংলায় আরো একটা প্রবাদ আছে, ''সময়ে এক ফোঁড়, অসময়ে দশ ফোঁড়।'' সরকারের উচিত ছিল অবহেলা না করে, দেশে শরীরে জঙ্গি উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। তাহলে আজ আমাদের এই রূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। এখনো সময় আছে দেশের শরীরে যত্রতত্র ফোঁড় দেখা দেয়ার আগেই সরকারের

হিরো আলম / Hero Alom

Image
গতকাল থেকে আমার ফেসবুকের সংবাদপ্রবাহে ''হিরো আলম / Hero Alom'' এর নামে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকের ফেসবুক বক্তব্য পড়ে এমন মনে হয়েছে যেন, হিরো আলমের মতো গেঁয়ো, কালো, বেঁটে এবং অশিক্ষিত ছেলের নায়ক হিসেবে স্বপ্ন দেখা এবং নায়ক হওয়ার চেষ্টা করাটা ঘোরতর অন্যায়। আমরা বাঙালিরা যেন অন্যকে উৎসাহ বা অনুপ্রেণা দেয়ার চাইতে ঠাট্টা - বিদ্রুপ করে মজা নিতেই বেশি পছন্দ করি। আমরা নিজেরা তো কিছু করি না বরং কেউ কিছু করতে গেলে তাকে এক কদম এগিয়ে যেতে সাহায্য করার পরিবর্তে টেনে হিচঁতে অপদস্থ করে নিচে নামাতে বা থামিয়ে দিতেই বেশি ব্যস্ত। আমি হিরো আলমের ভিডিও গুলো দেখে বুঝলাম তার মধ্যে যা আছে তা আমাদের সমাজের অনেক হিরোমার্কা, সুদর্শন, স্বাস্থ্যবান, ধনীর দুলালের মাঝেও নেই, আর তা হলো প্রতিভা আর  নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সৎসাহস। এইজন্য আমি তার প্রশংসা করি এবং এটি তার প্রাপ্য বলেই বিশ্বাস করি। আমি মনেকরি আমরা জাতি হিসেবে আরো উন্নত হতে পারবো যদি আমরা মানুষকে তার উচ্চতা, চেহারা বা গায়ের রঙের পরিবর্তে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে শিখি। মানুষকে তার কাজের জন্য প্রশংসা করতে শিখি। আমাদের জেনে রাখা উচি

আদিবাসীদের জন্য

Image
একটি নরোয়েজিয় দাতব্য সংস্থা'র পক্ষ থেকে তাদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এবং আমি তাদের আমন্ত্রণে সারা দিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম গতকাল। তাদের আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ-অবিভূত। সেখানে তারা শিশু-কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের দৌড়ের আয়োজন করেছিল। দৌড়ে যারা অংশগ্রহন করেছিলেন তাদের সকলের-ই পৃষ্ঠপোষক আছেন। এই দৌড়ের বিশেষত্ব হলো যে যত দৌড়াবে তাদের পৃষ্ঠপোষকগনের কাছ থেকে সে তত টাকা পাবে। আর তাদের অর্জিত সকল টাকা একত্র করে বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠির শিক্ষা ও চিকিত্সাখাতে ব্যয় করবে। অনেক লোক সমাগম হয়েছিল, অনুষ্ঠানে আমি একটি বক্তৃতা দিয়েছিলাম। আমি মনে করি আমাদের দেশের আদিবাসীদের জন্য এটি একটি মহতি উদ্যোগ। আমি তাদের এইরূপ উদ্যোগ ও আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ, আর এই কারণেই একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সহ প্রসংসা করেছি। একই সাথে আমিও আমার অবস্থান থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠির উন্নয়নে অর্থ সংগ্রহের জন্য আমার আঁকা কার্টুনের ৩৪ টি কপি দান করেছি। প্রতিটি কার্টুন ৫০০ ক্রোনার বা প্রায় পাঁচ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় মেয়র সহ গন

একটু ফিরে দেখা

Image
আমি প্রথম কার্টুন একে পুরস্কার পাই ২০০৬ সালে টি আই বি আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতায়। তৃতীয় হয়েছিলাম খ বিভাগে। ২০০৭ সালে দ্যা ডেইলি স্টার আয়োজিত কার্টুন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পাই। এরপর কার্টুন একে আমি অনেক কিছু পেয়েছি, আবার অনেক কিছু হারিয়েছি।  এমনকি কার্টুন একে ৬ মাস দুই দিন  জেল খেটেছি, মুরতাদ ফতোয়া পেয়েছি, দেশ ছেড়েছি সেই সাথে আরো অনেক কিছু পাওয়া বা হারানোর তালিকায় আছে। ২০০৭ সালের পর বাংলাদেশের কোনো পত্রিকা আমার কার্টুন ছাপত না, আবার কেউ ছাপলেও কার্টুনে আমার নাম সেন্সরড করা হত, আমার নামের স্থলে অন্য একটা নাম দিয়ে ছাপা হত। ২০০৮ সালে ২০ মার্চ হাইকোর্ট আমাকে মুক্তিদেন কিন্তু ,২০০৯ সালে যশোরের একটি নিম্ন আদালত আমাকে ওই একই কার্টুনের জন্য ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে  দন্ডিত করে সেই সাথে পাঁচ শত টাকা জরিমানা করে। তো যাই হোক, আমি থামিনি থেমে থাকিনি, কারণ আমি হারতে শিখিনি। কার্টুন দিয়ে আমি বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই, নিজের কথা নিজের নামে নিজের মত করে বলতে চাই।  এবং অন্য কার্টুনিস্টদের স্বাধীন মত প্রকাশের একটা জায়গা করে দিতে চাই। ২০০৯ সালে আমি একটা অনলাইন

টুনস ম্যাগ প্রথম আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৬

Image
আমরা অতি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে টুনস ম্যাগ-এর পক্ষ থেকে একটি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছি। প্রতিযোগিতার বিষয়ঃ  নারী অধিকার কার্টুন পাঠানোর শেষ সময়ঃ  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পরিমাপঃ  A4, ৩০০ DPI. পুরস্কার সমূহঃ  প্রথম পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen & Touch Medium এবং সনদ পত্র । দ্বিতীয় পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen & Touch Small এবং সনদ পত্র । তৃতীয় পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen Small এবং সনদ পত্র । এছাড়াও অতিরিক্ত ৭ জন কার্টুনিস্ট পাবেন বিশেষ পুরস্কার, সনদ পত্র। নীতিমালাঃ ১। যে কোন দেশের ও বয়সের কার্টুনিস্ট এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২। কার্টুন মৌলিক এবং অপ্রকাশিত হতে হবে। নকল কাজ গ্রহন যোগ্য নয়। ৩। প্রতিযোগী সর্ব সাকুল্যে ৫ টি কার্টুন জমা দিতে পারবে। কার্টুন সাদাকালো বা রঙ্গিন হতে পারে। সংলাপ ব্যতিত হওয়া উত্তম, সংলাপ ব্যবহার করলে তা ইংরেজিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। ৪। প্রাথমিক ভাবে জমা হওয়া কার্টুন গুলোর মধ্য থেকে আন্তর্জাতিক বিচারক মণ্ডলী প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য কার্টুন সমূহ নির্বাচন করবেন যা  http://bd.toonsmag.com  –এ প্রকাশিত হবে। এবং এই সকল কার্টুনের মধ্য থেক

বর্তমানে ৫ টি ভাষায় টুনস ম্যাগ

অনেকেই হয়ত জানেন টুনস ম্যাগ বর্তমানে ৫ টি ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে, যথাক্রমে: ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, আরবি এবং স্প্যানিশ। প্রতিটি ভাষার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা লেখক এবং সম্পাদনা পর্ষদ । টুনস ম্যাগ কে সর্বাধিক ব্যাবহৃত ভাষা সমূহে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে টুনস ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন ভাষার ১০০ উপরে সেচ্ছাসেবক কার্টুনিস্ট, লেখক ও কর্মী। আগামী ১ লা নভেম্বর টুনস ম্যাগ সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। আপনি টুনস ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত হতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বাংলা:  http://bd.toonsmag.com ইংরেজি:  http://www.toonsmag.com হিন্দি:  http://hi.toonsmag.com আরবি: http://ar.toonsmag.com স্প্যানিশ: http://es.toonsmag.com

'যুদ্ধের শিশু' আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী, নরওয়ে - ২০১৫

Image
১২ সেপ্টেম্বর নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, 'যুদ্ধের শিশু' শীর্ষক আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী। উক্ত প্রদর্শনীতে ৫১ টি দেশের ১২৮ জন কার্টুনিস্ট অংশ নিয়েছেন। সর্বমোট কার্টুন জমা পরেছিল ৫৫৮ টি, এর মধ্য থেকে ৭০ টি কার্টুন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে। নরওয়ের বেশ কয়েকটি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে এছাড়া সুইডেন,  স্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ড,অর্মেজিয়া, তুরস্ক, জর্দান ও দক্ষিন আফ্রিকায় প্রদর্শিত হবে। উক্ত  আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজক হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান এবং  সিরিয়ান কার্টুনিস্ট ফাদি আবু হাসান।  সার্বিক সহযোগিতায় নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট হাউজ এবং টুনস ম্যাগ। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

আমাদের সমস্যাটা অজ্ঞানতা, ধর্মান্ধতা আর অসচেতনতা।

Image
(প্রথমে ভিডিও দেখুন, এরপর আমার ব্লগ পড়ুন) একজন বাঙালি হিসাবে আমি মনে করি বাংলাদেশের দেয়ালে ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ, ১০০ গজ সামনেই মসজিদ'' শব্দটা আরবিতে লিখে মানুষকে জোড় করে মসজিদ মুখী করে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা মাত্র। সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে এমন কাজ আমি সমর্থন করি না। আমি মনে করি এটি ধুরন্ধপনা, প্রতারণা। কারণ আরবি অন্ধ বাঙালি মুসলমান ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ'' শব্দটাকে কোরানের আয়াত বা আল্লাহর কথা হিসাবে মান্য করছে, নগর পরিস্কার করার উদ্যেশে নয়। এভাবে ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে ধোকা  দিয়ে বোকা বানিয়ে, আরবি শব্দের প্রচার আর মসজিদের প্রসার-এর অপপ্রচার থেকে সরকারকে বিরত থাকা উচিত। ১৯৫২ সালে আমরা প্রাণ দিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছিলাম।  আমার ভাষা বিশ্বের অন্যতম কথিত ও লিখিত ভাষা। আসুন আমরা সর্ব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যাবহার করি। আরবি ভাষা আমাদের জন্য সমাধান নয়। ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পরিমান পাবলিক টয়লেট নাই, আর যেগুলো আছে সে গুলো যথেষ্ট নয়, তার পর আবার সেগুলো নোংরা, নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন করা হয় না