আমাদের সমস্যাটা অজ্ঞানতা, ধর্মান্ধতা আর অসচেতনতা।
(প্রথমে ভিডিও দেখুন, এরপর আমার ব্লগ পড়ুন)
একজন বাঙালি হিসাবে আমি মনে করি বাংলাদেশের দেয়ালে ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ, ১০০ গজ সামনেই মসজিদ'' শব্দটা আরবিতে লিখে মানুষকে জোড় করে মসজিদ মুখী করে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা মাত্র।
সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে এমন কাজ আমি সমর্থন করি না। আমি মনে করি এটি ধুরন্ধপনা, প্রতারণা। কারণ আরবি অন্ধ বাঙালি মুসলমান ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ'' শব্দটাকে কোরানের আয়াত বা আল্লাহর কথা হিসাবে মান্য করছে, নগর পরিস্কার করার উদ্যেশে নয়। এভাবে ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে, আরবি শব্দের প্রচার আর মসজিদের প্রসার-এর অপপ্রচার থেকে সরকারকে বিরত থাকা উচিত।
১৯৫২ সালে আমরা প্রাণ দিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছিলাম। আমার ভাষা বিশ্বের অন্যতম কথিত ও লিখিত ভাষা। আসুন আমরা সর্ব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যাবহার করি। আরবি ভাষা আমাদের জন্য সমাধান নয়।
ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পরিমান পাবলিক টয়লেট নাই, আর যেগুলো আছে সে গুলো যথেষ্ট নয়, তার পর আবার সেগুলো নোংরা, নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন করা হয় না।
প্রয়োজনে আরো অধিক সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হোক, এবং নিয়মিত সেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন করা এবং সেগুলো ব্যবহারে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করা হোক। সে লক্ষ্যে বেশি বেশি প্রচারণা আর সচেতনতা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনে পাবলিক টয়লেট ব্যাবহার প্রতি যদি ৫০ পয়সা বা ১ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেয়, তাহলে জনগণ টাকার লোভেই নিজ দায়িত্বে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করা শুরু করবে।
তবে এই বিজ্ঞাপনে একটা শিক্ষায়ানীয় বিষয় উপলব্ধি করার মত, সেটা হলো সকল ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র গুলো কিন্তু ঠিক এইভাবেই সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে। অজ্ঞানতা আর ধর্মান্ধতার কারণে ধর্মভীরু মানুষ এভাবেই মানুষের হাতে লেখা আরবি শব্দ গুলোকে আল্লাহর কালাম হিসাবে বিশ্বাস ও সম্মান প্রদর্শন করছে আর ধর্মের ধারক বাহকেরা অবস্থা বুঝে সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে ধর্মকে প্রয়োগ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে।
আসুন আমরা শিক্ষার আলোয় শিক্ষিত হয়ে সচেতন নাগরিক হই, মসজিদের উপর চাপ কমাই।
একজন বাঙালি হিসাবে আমি মনে করি বাংলাদেশের দেয়ালে ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ, ১০০ গজ সামনেই মসজিদ'' শব্দটা আরবিতে লিখে মানুষকে জোড় করে মসজিদ মুখী করে ইসলামিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার অপচেষ্টা মাত্র।
সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে এমন কাজ আমি সমর্থন করি না। আমি মনে করি এটি ধুরন্ধপনা, প্রতারণা। কারণ আরবি অন্ধ বাঙালি মুসলমান ''এখানে প্রস্রাব করা নিষেধ'' শব্দটাকে কোরানের আয়াত বা আল্লাহর কথা হিসাবে মান্য করছে, নগর পরিস্কার করার উদ্যেশে নয়। এভাবে ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে ধোকা দিয়ে বোকা বানিয়ে, আরবি শব্দের প্রচার আর মসজিদের প্রসার-এর অপপ্রচার থেকে সরকারকে বিরত থাকা উচিত।
১৯৫২ সালে আমরা প্রাণ দিয়ে বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার অর্জন করেছিলাম। আমার ভাষা বিশ্বের অন্যতম কথিত ও লিখিত ভাষা। আসুন আমরা সর্ব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষা ব্যাবহার করি। আরবি ভাষা আমাদের জন্য সমাধান নয়।
ঢাকা শহরে পর্যাপ্ত পরিমান পাবলিক টয়লেট নাই, আর যেগুলো আছে সে গুলো যথেষ্ট নয়, তার পর আবার সেগুলো নোংরা, নিয়মিত পরিস্কার পরিচ্ছন করা হয় না।
প্রয়োজনে আরো অধিক সংখ্যক পাবলিক টয়লেট স্থাপন করা হোক, এবং নিয়মিত সেগুলো পরিস্কার পরিচ্ছন করা এবং সেগুলো ব্যবহারে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করা হোক। সে লক্ষ্যে বেশি বেশি প্রচারণা আর সচেতনতা প্রয়োজন। সিটি কর্পোরেশন পাবলিক টয়লেট ব্যবহারে জনগনকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রয়োজনে পাবলিক টয়লেট ব্যাবহার প্রতি যদি ৫০ পয়সা বা ১ টাকা করে দেয়ার ঘোষণা দেয়, তাহলে জনগণ টাকার লোভেই নিজ দায়িত্বে পাবলিক টয়লেট ব্যবহার করা শুরু করবে।
তবে এই বিজ্ঞাপনে একটা শিক্ষায়ানীয় বিষয় উপলব্ধি করার মত, সেটা হলো সকল ধর্ম ভিত্তিক রাষ্ট্র গুলো কিন্তু ঠিক এইভাবেই সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে। অজ্ঞানতা আর ধর্মান্ধতার কারণে ধর্মভীরু মানুষ এভাবেই মানুষের হাতে লেখা আরবি শব্দ গুলোকে আল্লাহর কালাম হিসাবে বিশ্বাস ও সম্মান প্রদর্শন করছে আর ধর্মের ধারক বাহকেরা অবস্থা বুঝে সহজ সরল মানুষদের ধর্মীয় দুর্বলতাটাকে পুঁজি করে ধর্মকে প্রয়োগ করে তাদের নিয়ন্ত্রণ করছে।
আসুন আমরা শিক্ষার আলোয় শিক্ষিত হয়ে সচেতন নাগরিক হই, মসজিদের উপর চাপ কমাই।
Comments
Post a Comment