আমার সংগীত সাধনা - ২


আমি তখন শাহজাদপুর সরকারি কলেজে স্নাতক অধ্যায়ন করছি। তখন প্রতিদিন সন্ধ্যায় ইটিভিতে ''বন্ধন'' নামে একটা ধারাবাহিক নাটক দেখাতো। পুরো নাটকটা  খুব কম-ই দেখা হতো, তবে অর্ণবের কণ্ঠে শীর্ষ সংগীত ''ব্যস্ত শহরে'' কখনোই দেখা বাদ দিতাম না, গানটা আমার ভীষণ প্রিয় ছিল শুধু এই কারণে দেখতাম প্রতিবার। শীর্ষ সংগীত শুনতে শুনতে একদিন আমার-ও গান গাইতে ইচ্ছে জাগলো মনে। টিভি পর্দায় চোখ রেখে অর্ণবের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে যেই না গাইতে শুরু করেছি, ''ব্যস্ত শহরে, ঠাস বুনোটের ভিড়ে, আজও কিছু মানুষ স্বপ্ন খুঁজে ফেরে। ব্যস্ত শহরে ....'' 
অমনি, পিছন থেকে এক অনুজা আমাকে ধমক দিয়ে থামিয়ে দিলো এই বলে, ''ব্যাস, অনেক হয়েছে, ভাঙা গলায় কুকুরের মত আর ঘেউ ঘেউ করতে হবে না, এবার থামো।'' সঙ্গে সঙ্গে আমি সম্বিৎ ফিরে পেলাম।  ধমকে ব্যবহৃত শব্দ সমূহ খুবই অপ্রত্যাশিত ছিল। 
অনুজা নিয়মিত সংগীত চর্চা করেন, ওস্তাদের কাছ থেকে রবীন্দ্র-নজরুল ও অন্যান্য সংগীতের বিষয়ে তালিম নিতেন। তাই হয়তো আমার কর্কশ কণ্ঠে গান গাওয়ার চেষ্টাকে তিনি গানের অপমান মনে করে কুকুরের ঘেউ ঘেউ এর সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এইরূপ তুচ্ছ তাচ্ছিল্যতা আমার অন্তরে ভীষণ পীড়া দিয়েছিলো।
সেই সময় তার ঐ কথাগুলোকে অপমান ছাড়া আর কিছুই মনে করতে পারি নি, তার ঐ রূঢ় কথা গুলো আমার মনে ভীষণ দাগ কেটেছিল। 
তবে একদিন আমিও তাকে দেখিয়ে দিয়েছিলাম যে, ''আমিও গান গাইতে পাড়ি।'' 

Comments

Popular posts from this blog

শিশু দিবস

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর

আপডেট: টুনস ম্যাগ প্রথম আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা