স্ভালবার Svalbard

স্ভালবার Svalbard 


স্ভালবার (Svalbard) নামে নরওয়ের একটি দ্বীপপুঞ্জ আছে। যা নরওয়ের মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ১ হাজার কিলোমিটার দূরত্বে এবং উত্তর মেরুর সন্নিকটে উত্তর মহাসাগরের মাঝে অবস্থিত। এখানে যেমন মানুষের বসবাস আছে, অনুরূপ আছে শ্বেত ভাল্লুকের বসবাস। দ্বীপটি সারা বছর বরফ আচ্ছাদিত থাকে, শীতকালে বেশি আর গ্রীষ্মকালে তুলনা মূলক কম। শীতকালে ২৪ ঘন্টা এখানে রাত থাকে আর গ্রীষ্মকালে ২৪ ঘন্টা দিন থাকে। নরওয়ের আইন অনুযায়ী স্থানীয় সরকার দ্বারা দ্বীপটি পরিচালিত হয়। এখানে কিছু বিশেষ আইন বলবৎ আছে যা আপনার কাছে কিছুটা অদ্ভুত মনে হবে।

১. বিড়াল নিষিদ্ধ
এই দ্বীপে যত্রতত্র বিশাল শ্বেত ভাল্লুকের বিচরণ থাকলেও এই দ্বীপে বিড়াল নিষিদ্ধ। বিরল প্রজাতির মেরু অঞ্চলের পাখীদের রক্ষা করার জন্য ১৯৯২ সালে আইন করে এই দ্বীপে বিড়াল নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এই আইন প্রণয়ন এবং বাস্তবায়ন করার পূর্বে এই দ্বীপে বিড়াল ছিল, বর্তমানে “কেশা” নামে একটি বিড়াল আছে যেটিকে শিয়াল হিসেবে নিবন্ধিত করা হয়েছে।

২. বন্দুক বাধ্যতামূলক
নরওয়ের মূল ভূখন্ডে বন্দুক ধারী কাউকে দেখা যাওয়ার কথা কল্পনাতীত, এমন কি আইন রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরকেও সাধারণত অস্ত্র নিয়ে চলাচল করতে দেখা যায় না, তবে এই দ্বীপে কোথাও বেড়াতে বের হলে বন্দুক সঙ্গে নিয়ে বের হওয়া বাধ্যতা মূলক। কেউ কেউ আগ্নেয়াস্ত্র সহ দেহরক্ষী নিয়েও এই দ্বীপে ভ্রমণ করে।

৩. কবরাস্থ মূল ভূখন্ডে
মাত্রাতিরিক্ত ঠান্ডা থাকার কারনে এখানে কোন কিছুতে সহজে পচন ধরে না। প্রায ৭০ বছর আগে এখানে কবরস্থান বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কেউ এখানে মৃত্যু বরণ করলে শব দেহকে নরওয়ের মূল ভূখণ্ডে কবরাস্থ করা হয়।


Comments

Popular posts from this blog

Do Cartoonists Make Comics? Understanding the Roles and Overlaps in Comic Art

Is It Too Late to Become a Cartoonist?

How Do I Find a Cartoonist? A Comprehensive Guide for Businesses, Publishers, and Creators