আজ চিঠির বাকসোটা খুলতেই মোটা কাগজের একটা বড় একটা খাম পেলাম। খামটা খুলে দেখতে পেলাম একটা ম্যাগাজিন, যারা বেশ কয়েক মাস আগে আমার আঁকা ২ টি কার্টুন কিনেছিল। সেই কার্টুন দুইটা তারা প্রকাশ করেছে আর সৌজন্য সংখ্যা পাঠিয়েছে।
১২ সেপ্টেম্বর নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, 'যুদ্ধের শিশু' শীর্ষক আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী। উক্ত প্রদর্শনীতে ৫১ টি দেশের ১২৮ জন কার্টুনিস্ট অংশ নিয়েছেন। সর্বমোট কার্টুন জমা পরেছিল ৫৫৮ টি, এর মধ্য থেকে ৭০ টি কার্টুন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে। নরওয়ের বেশ কয়েকটি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে এছাড়া সুইডেন, স্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ড,অর্মেজিয়া, তুরস্ক, জর্দান ও দক্ষিন আফ্রিকায় প্রদর্শিত হবে। উক্ত আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজক হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান এবং সিরিয়ান কার্টুনিস্ট ফাদি আবু হাসান। সার্বিক সহযোগিতায় নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট হাউজ এবং টুনস ম্যাগ। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
এক প্রেমিক বালক তার প্রেমিকা বালিকাকে আমার আঁকা একটা ছবি বড় দিনের উপহার হিসাবে দিতে চান। আজ থেকে ১৩ দিন আগে নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে এসে আমাকে খুঁজে গেছে, আমাকে না পায়ে গ্যালারির এক কর্মকর্তার কাছে তার এবং তাদের একটি জুগল ফটো রেখে গেছে সেই থাকে ১৫ হাজার বাংলাদেশী টাকার সমতুল্যের নরওয়েজিয়ান ক্রোনার আমার জন্য সম্মানী হিসাবে রেখে গেছেন। গ্যালারির কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতি একে দেয়ার জন্য বলেছিলেন। আমার পরীক্ষা এবং আনুসঙ্গিক ব্যস্ততা থাকার কারণে বিষয়টা একরকম ভুলেই গেছিলাম। কাল সারা রাত জেগে পরীক্ষার উপকরণ প্রস্তুত করে আর সকাল ভোরে জমা দিয়ে বাসায় এসে যেই না ঘুমোতে গেছি। অমনি ফোন, ওপর প্রান্ত থেকে জিজ্ঞাসা করলো; প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতির কি খবর? আঁকা হয়েছে? আমি হাই তুলতে তুলতে জবাব দিলাম, না এখনো শুরুই করি নাই, ভুলে গেছিলাম। তাই একটু ঘুমিয়ে মুখ হাত না ধুয়েই বসে পরলাম ড্রইং করতে। ড্রইং করতাছি আর ভাবতাছি, আহারে পিরীতি, ভীষণ পিরীতি।
Comments
Post a Comment