Posts

Showing posts with the label নরওয়ে

ব্যাঙ্কিং সেবা

Image
সময়ের সাথে সব কিছু বদলে যাচ্ছে, বদলে যাচ্ছে জীবন যাত্রার মানএবং ধরণ। একটা সময় বিদ্যুৎ বা টেলিফোন দেয়ার জন্য লোকজন ব্যাংকে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়াতো। এরপর যখন অনলাইন ব্যাংকিংয়ের যুগ শুরু হলো তখন লোকজন ব্যাংকে গিয়ে লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে বিল পরিশোধ করার বদলে ঘরে বসেই কম্পিউটারে করতে লাগলো। এখন সবার হাতে হাতে ইন্টারনেট সংযুক্ত স্মার্ট ফোন। বর্তমানে ডেস্কটপ থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর তুলনায় মোবাইল থেকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেশি আর এই কারণেই ব্যাংকগুলো অনলাইন ব্যাঙ্ক থেকে স্মার্টব্যাংকে রূপ নিয়েছে। ব্যাংকের মোবাইল এপপ্স চালু করে মোবাইলের ক্যামেরায় বিলপেপারের ছবি তুললেই প্রাপকের ব্যাঙ্ক নম্বর এবং টাকার পরিমান সহ বিস্তারিত তথ্য এপপ্সটি আপনা আপনি পূরণ করে নেয়। আমার কাজ শুধু পাসওয়ার্ড প্রবেশ করিয়ে ওকে বাটনে ক্লিক করা। ব্যাস বিদ্যুৎ বা টেলিফোন বিল পরিশোধ  করার কাজ শেষ। আজ প্রথম বারের মত স্মার্ট ব্যাঙ্কিং সেবার অভিজ্ঞতা অর্জন করলাম। 

প্রকৃতি ভ্রমণে একদিন

Image
তখন গ্রীষ্মকাল ছিল। আজ থেকে পাঁচ বছর আগে মধ্য-দক্ষিণ নরওয়ের পর্বত ঘেরা প্রকৃতি ভ্রমণে গিয়েছিলাম আমার এক বন্ধুর নিমন্ত্রনে। সেদিনের শেষ বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে নিজেকে স্বর্গলোকে আবিষ্কার করেছিলাম এই দেখে যে, সেখানে সময় অসময়ে মেঘেরা আসে পর্বতকে আলিঙ্গন করতে। আমি মেঘের মাঝে হেটে ছিলাম পর্বতের গা বেয়ে। চারিদিকে ঝর্ণার কলকলে ধ্বনি, পাখিদের কিচিরমিচির আর ভূপৃষ্ঠের সবুজ লতা-গুল্মে পুষ্পরাজিরা মেতেছিলো আপন রূপ প্রদর্শনের প্রতিযোগিতায়। সে এক অপরূপ দৃশ্য। নরওয়েজীয় বন্ধুর বাংলো থেকে গাড়ি চালিয়ে প্রায় এক ঘন্টার পথ পেরিয়ে আমরা গিয়েছিলাম মালভূমি পরিভ্রমনে। মালভূমির উপরেই রয়েছে এক পর্বতমালা। এই অঞ্চলটিকে ঘিরে একাধিক পৌরাণিক গল্পকাহিনী প্রচলিত আছে। এই স্থানকে নরওয়েজিয়ান ভাষা বলা হয় ''Jotunheimen'' বাংলায় ভাবার্থ দাঁড়ায় ''দৈত্যদের নিবাস''। ভূপৃষ্ঠে ছোট বড় অসংখ্য পাথর, পানির কলকল ধ্বনি শুনতে পাচ্ছিলাম, পর্বতের গা বেয়ে ছোট বড় অসংখ্য পানির ধারাও চোখে পড়ছিলো। কোথাও পানি জমে ছোট্ট ডোবা বা পুকুরের মত সৃষ্টি হয়েছে আর সেই পানিকে কেন্দ্র করে একধরণের পাখির আনাগোনা চোখে পড়ার

একটু ফিরে দেখা

Image
আমি প্রথম কার্টুন একে পুরস্কার পাই ২০০৬ সালে টি আই বি আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতায়। তৃতীয় হয়েছিলাম খ বিভাগে। ২০০৭ সালে দ্যা ডেইলি স্টার আয়োজিত কার্টুন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পাই। এরপর কার্টুন একে আমি অনেক কিছু পেয়েছি, আবার অনেক কিছু হারিয়েছি।  এমনকি কার্টুন একে ৬ মাস দুই দিন  জেল খেটেছি, মুরতাদ ফতোয়া পেয়েছি, দেশ ছেড়েছি সেই সাথে আরো অনেক কিছু পাওয়া বা হারানোর তালিকায় আছে। ২০০৭ সালের পর বাংলাদেশের কোনো পত্রিকা আমার কার্টুন ছাপত না, আবার কেউ ছাপলেও কার্টুনে আমার নাম সেন্সরড করা হত, আমার নামের স্থলে অন্য একটা নাম দিয়ে ছাপা হত। ২০০৮ সালে ২০ মার্চ হাইকোর্ট আমাকে মুক্তিদেন কিন্তু ,২০০৯ সালে যশোরের একটি নিম্ন আদালত আমাকে ওই একই কার্টুনের জন্য ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে  দন্ডিত করে সেই সাথে পাঁচ শত টাকা জরিমানা করে। তো যাই হোক, আমি থামিনি থেমে থাকিনি, কারণ আমি হারতে শিখিনি। কার্টুন দিয়ে আমি বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই, নিজের কথা নিজের নামে নিজের মত করে বলতে চাই।  এবং অন্য কার্টুনিস্টদের স্বাধীন মত প্রকাশের একটা জায়গা করে দিতে চাই। ২০০৯ সালে আমি একটা অনলাইন

নরওয়েতে পাঁচ বছর

Image
আমি নরওয়েতে অবস্থান করছি আজ পাঁচ বছর ও পাঁচ দিন। ২০১০ সালের ৩০ শে নভেম্বর সকাল ৬ টায় নরওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম ঢাকা থেকে।  ঢাকা থেকে দুবাই, দুবাই থেকে ফ্রাঙ্কফুট এবং  ফ্রাঙ্কফুট থেকে নরওয়ে, সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ ঘন্টার ভ্রমন। আর ১ লা ডিসেম্বর ছিল নরওয়েতে আমার প্রথম দিন। চারিদিকে প্রচুর তুষার, মাইনাস ২০ ডিগ্রী ঠান্ডা। সব কিছু তুষারে মোড়ানো রূপকথার রাজ্যের মত লাগছিল। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতাম, কখনো বা পত্রিকা, রেডিও বা টিভিতে ইন্টারভিউ কখনো কখনো টিভিতে গিয়ে স্বশরীরে গিয়ে সংবাদের মাঝে সাক্ষাত্কার দিতে হয়েছে। বিষয় গুলো আমি খুব উপভোগ করেছি। ১ লা ডিসেম্বর এখানে পরিচিত হলাম স্থানীয় মেয়রের সাথে। মেয়রের নাম থোরে ভেস্তবি, খুব আন্তরিক একজন মানুষ। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি আমাকে দাপ্তরিক ভাবে অভ্যর্থনা জানালেন, মেয়রের সঙ্গে একটা পত্রিকায় একটা ইন্টারভিউ দিলাম এবং মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। মধ্যাহ্ন ভোজের সময় তিনি আমাকে জানালেন আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০১০ নরওয়ের রাজা এবং রানী দ্রবাক শহর ভ্রমনে আসছেন। এই উপলক্ষ্যে তিনি বিশেষ কিছু কর

আরিফুর রহমান

Image
এই বছরের জানুয়ারি মাস, একটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের ফোন। ৪/৫ জনের একটা দল, তারা একটা স্বল্প দৈঘ্য চলচ্চিত্র বানাবে তাতে আমাকে সহায়তা করতে হবে। আমি থ্রিডি এনিমেশনের ছাত্র, তাছাড়া ফিল্ম নিয়ে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। আমি হ্যা জবাব দিলাম। বিষয়বস্তু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর বলল, তারা আমার উপরে স্বল্প দৈঘ্য চলচ্চিত্র-টি বানাতে চান।  এর পর দুইদিন আমার বাসায় এবং নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে চিত্র ধারণ করলো। ইউটুবে-তারা আপলোড করার অনুমতি চেয়ে কয়েক দিন পর আবার ফোন দিল।  আমি বলাম ঠিক আছে। তারা স্বল্প দৈঘ্য চলচ্চিত্র-তীর নাম দিয়েছে Arifur Rahman - En helt for ytringsfriheten, যার বঙ্গানুবাদ''আরিফুর রহমান - একজন বাকস্বাধীনতার নায়ক'' ।  

সমতিদেন

Image
আজ চিঠির বাকসোটা  খুলতেই মোটা কাগজের একটা বড় একটা খাম পেলাম। খামটা খুলে  দেখতে পেলাম একটা ম্যাগাজিন, যারা বেশ কয়েক মাস আগে আমার আঁকা ২ টি কার্টুন কিনেছিল। সেই কার্টুন দুইটা তারা প্রকাশ করেছে আর সৌজন্য সংখ্যা পাঠিয়েছে।