Posts

Showing posts with the label বাংলা

চড়ুই চলচ্চিত্র

Image
গত পরশু দিন বিকেলে আমি আর আমার এক প্রবীণ বন্ধু শহরের সৌন্দর্য দর্শনের জন্য আলোকচিত্রগ্রহণযন্ত্র সঙ্গে নিয়ে বের হয়েছিলাম। ঘন্টা খানেক হাঁটার পর প্রবীণ বন্ধটি আমাকে মধ্যাহ্ন ভোজের আমন্ত্রণ জানালেন। পথের পাশেই দেখতে পেলাম একটি রেস্তোরাঁ সামনে ছোট্ট একটি বাগান। বাগানটিও রেস্তোরাঁর অংশ, বাগানের চারপাশে ফুল ও সবজির গাছ ভেতরে কিছু সারণী ও কেদারা সাজানো আছে। সেখানে গিয়ে দেখতে পেলাম কিছু চড়ুই পাখি আনাগোনা করছে। আমার সঙ্গে থাকা  আলোকচিত্রগ্রহণযন্ত্র দিয়ে চিত্র ধারণ করতে লাগলাম আর খাবারের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলাম। রেস্তোরাঁর পরিবেশক খাবার দিয়ে যাওয়া মাত্রই বনরুটি ছিঁড়ে ছিঁড়ে চড়ুই গুলোকে খাওয়াতে লাগলাম আর চিত্র ধারণ করলাম। অনেকদিন চলচ্চিত্র সম্পাদনার কাজ করা হয়না তাই ভাবলাম পরশুদিনের ধারণ করা চলচ্চিত্র অংশ সম্পাদনা করে কিছু একটা করা উচিত। তাই আজ  সারা সন্ধ্যা বসে বসে পনেরো মিনিটের খসড়া চলচ্চিত্র কে কেঁটে-ছেঁটে তিন মিনিটের চূড়ান্ত চলচ্চিত্রে রূপ দিলাম। চলচ্চিত্রের রং সংশোধন করার সাথে সামান্য একটু দৃশ্যমান প্রভাবও প্রয়োগ করেছি। পুনশ্চ: চেষ্টা করে যাচ্ছি আমার লেখায় শত ভাগ বাংলা শ...

আমার আন্তঃজাল বেতার

Image
২০১১ সালে একবার খুব ইচ্ছে হলো আন্তঃজাল ভিত্তিক একটি বেতার মাধ্যম চালু করার। সেই বছরেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি আন্তঃজাল বেতার চালুও করেছিলাম। প্রথম দিকে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতাম আমার নিজস্ব পরিগণক থেকে, আর অনুষ্ঠান হিসেবে যা প্রচার করতাম তা ছিল আমার পছন্দের গান। পরিগণকটি প্রায়শঃ যান্ত্রিকত্রুটির কারণে সংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যেতো আর এই কারণে সম্প্রচারেও প্রায়ই বিঘ্ন ঘটতো। এরপর বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ভেবে-চিন্তে স্থায়ী সমাধান বের করি এবং ফরাসি থেকে মেঘ ঊর্ণ গুদাম ক্রয় করি। সেই থেকে আমার আন্তঃজাল বেতার নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে একযোগে অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। এরপর শ্রোতাপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ২০১৪ সালে নতুন নামে এবং নতুন ভাবে কার্যক্রম চালু, ইংরেজি ও বাংলা দুটি পৃথক মাধ্যমেও অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করি। বর্তমানে ১৫০টির ও বেশি দেশ থেকে মানুষ আমার আন্তঃজাল বেতার শুনে থাকে। গত জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি বার এবং নিম্নদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে শোনা হয়েছে  FnF.FM ইংরেজি মাধ্যমটি। অন্যদিকে FnF.FM বাংলা বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি বার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশ...

গ্রীষ্মকালীন গৃহউৎসব

প্রতিবছর স্থানীয় নরয়েজিয়দের গ্রীষ্ম, শীত, শরৎ ও বসন্তকালীন বিভিন্ন উৎসবে আমি আমন্ত্রণ পেয়ে থাকি। এবং তাদের সাথে উৎসব উজ্জাপনও করে থাকি।  গতকালকে, একটি নরওয়েজীয় পরিবার ও তাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে গ্রীষ্মকালীন গৃহউৎসব উৎযাপনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলাম। বিকেল পাঁচটায় নিমন্ত্রণকারী গাড়ি নিয়ে এসেছিল আমাকে বাসা থেকে নিতে। উৎসবে পানাহার এর সাথে সাথে আমরা মেতে ছিলাম বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনায়।  উক্ত অনুষ্ঠানে যে সকল পুরুষগণ এসেছিলো, একমাত্র আমার বাদের সকলের স্ত্রী থাই বংশোদ্ভূত। থাইদেশের লোকজনদের সাথে কথা বলে আমি যেটা বুঝি, তা হল তাঁরাও বাঙালিদের মত আন্তরিক, অতিথি পরায়ণ এবং মিশুক।  আগত পুরুষগণের মধ্যে এক ষাট ঊর্দ্ধ প্রবীণ লোক ছিলেন যিনি চার বছর আগে আমার প্রতিবেশী ছিলেন এবং তিন বছর হলো থাইদেশ থেকে এক যুবতী মহিলাকে বিয়ে করে নরওয়েতে এনেছেন। সাবেক প্রতিবেশীর সাথে করমর্দন করার পর তিনি তার নতুন স্ত্রীর সাথে যখন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তার স্ত্রী জানালেন যে, তিনি আমাকে চেনেন।  নতুন স্ত্রীর মুখে আমার সম্পর্কে শোনার পর প্রবীণ লোকটি কৌতূহলী হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ''এনার ...

বাংলাদেশি চিংড়ি

Image
আমি প্রায়ই বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিংড়ি মাছ কিনতাম। কিন্তু ঠিক কখনোই বুঝতে পারিনি মাছ গুলো কোন দেশি। সেদিন রান্না করার পর নরওয়েজিয়ান এক অতিথি এসেছিলো। তিনি খেতে খেতে বললেন এই চিংড়ি মাছ গুলো নরওয়েজিয়ান চিংড়ি  মাছ থেকে ভিন্ন, কোথা থেকে কিনেছো,  এ গুলো কোন দেশি?  প্যাকেট হাতে নিয়ে হাতড়াতে হাতড়াতে দেখতে পেলাম এক জায়গায় ডাচ ভাষায় লেখা আছে ''Product uit Bangladesh'' অর্থাৎ বাংলাদেশের পণ্য। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি হিসেবে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো।  হতচকিত আমি সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছল কণ্ঠে অতিথিকে জবাব দিলাম, কোন দেশি মানে? এটা তো আমার দেশের চিংড়ি, বাংলাদেশি চিংড়ি।  অতিথির পাতে আরো কিছু চিংড়ি তুলে দিয়ে বললাম, খান, মজা করে খান। অতিথি মজা করে খেতে লাগলো।  খাওয়া দাওয়া শেষে অতিথিকে ঐ চিংড়ির দোকানের ঠিকানা জানিয়ে বললাম বাংলাদেশি চিংড়ি লাগলে ঐ দোকান থেকে কিনে নিবেন। আর সবাইকে বলবেন বাংলাদেশি চিংড়ি অনেক সুস্বাদু।    আমার দেশের পণ্য সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে যাক বিশ্বময় আর অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী হোক আমার মাতৃভূমি। 

আমার দুইটি কথা - ২

গতরাতে দেখলাম আরব দেশ থেকে কিছু জঙ্গি বাংলা ভাষায় আমাদের হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর কেউ কেউ কোনো কিছু না ভেবেই হুজুকে সর্বসমক্ষে শেয়ার করে যাচ্ছে।  আমরা বাঙালিরা যে হুজুকে  বাঙালি সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না এর প্রমান আমরা বহুবার দিয়েছি অতীতে।  সর্বসমক্ষে ভিডিওটা শেয়ার করায় লাভটা কার হচ্ছে? ১. জঙ্গিরা ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর আপনি (তাদের হয়ে) তাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন সবার কাছে।   ২. সর্বসমক্ষে শেয়ারের মাধ্যমে আপনি কিন্তু জঙ্গিদের প্রচারক হিসেবে কাজ করছেন, আর আপনার কারণেই জঙ্গিরা সর্বব্যাপী প্রচারণা ও পরিচিতি পাচ্ছে। মনে রাখবেন প্রচারেই কিন্তু প্রসার। ৩. আপনার প্রচার করা ঐ জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসী নীতি আদর্শের বাণী কারো কারো মনে ভয়ের সৃষ্টি করছে। আর জঙ্গিরা কিন্তু এটাই চায়।    তাই অনুগ্রহ করে জঙ্গিদের হুমকি বার্তা সর্বসমক্ষে প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন।   আসুন দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে নিজ দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। আর বেশি বেশি করে প্রচার করি আমরা বাঙালিরা বীরের জাতি, আমরা সন্ত্রাসের নিকট মাথা নত করি না। যে কোন...

আমার দুইটি কথা - ১

বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে ''মাছের তেলে মাছ ভাজা'', একটু চিন্তা করলে সহজেই বোঝা যায় জঙ্গি গোষ্ঠীরা গুলশানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে ঠিক সেই কাজটা করেই বিশ্বকে দেখালো এবং প্রতিনিয়ত সেটাই করে চলছে। সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নিতে তারা কিন্তু আরব বিশ্বের কোনো জঙ্গি দলকে পাঠায় নি, আমাদের জবাই করার জন্য আমার দেশে জন্ম নেয়া কুলাঙ্গারদেরকেই মগজধোলাই করে পাঠিয়েছিল। এতে লাভটা কার হলো? ১. আরব দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীরা বিশ্বকে দেখালো তারা অনেক শক্তিশালী এবং পৃথিবীর সব প্রান্তেই আরবি ভাষায় ধ্বনি দিয়ে হামলা চালাতে তাদের যথেষ্ট গেলমান আছে। ২. বাংলাদেশ সম্পর্কে বহিঃ বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হলো, ভাবমূর্তি নষ্ট হলো, দেশের বাজার মন্দা হলো, ক্ষতি যা হওয়ার তার সব কিন্তু আমাদেরই হলো। বাংলায় আরো একটা প্রবাদ আছে, ''সময়ে এক ফোঁড়, অসময়ে দশ ফোঁড়।'' সরকারের উচিত ছিল অবহেলা না করে, দেশে শরীরে জঙ্গি উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। তাহলে আজ আমাদের এই রূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। এখনো সময় আছে দেশের শরীরে যত্রতত্র ফোঁড় দেখা দেয়ার আগেই সরকারের...

হিরো আলম / Hero Alom

Image
গতকাল থেকে আমার ফেসবুকের সংবাদপ্রবাহে ''হিরো আলম / Hero Alom'' এর নামে ঝড় বয়ে যাচ্ছে। অনেকের ফেসবুক বক্তব্য পড়ে এমন মনে হয়েছে যেন, হিরো আলমের মতো গেঁয়ো, কালো, বেঁটে এবং অশিক্ষিত ছেলের নায়ক হিসেবে স্বপ্ন দেখা এবং নায়ক হওয়ার চেষ্টা করাটা ঘোরতর অন্যায়। আমরা বাঙালিরা যেন অন্যকে উৎসাহ বা অনুপ্রেণা দেয়ার চাইতে ঠাট্টা - বিদ্রুপ করে মজা নিতেই বেশি পছন্দ করি। আমরা নিজেরা তো কিছু করি না বরং কেউ কিছু করতে গেলে তাকে এক কদম এগিয়ে যেতে সাহায্য করার পরিবর্তে টেনে হিচঁতে অপদস্থ করে নিচে নামাতে বা থামিয়ে দিতেই বেশি ব্যস্ত। আমি হিরো আলমের ভিডিও গুলো দেখে বুঝলাম তার মধ্যে যা আছে তা আমাদের সমাজের অনেক হিরোমার্কা, সুদর্শন, স্বাস্থ্যবান, ধনীর দুলালের মাঝেও নেই, আর তা হলো প্রতিভা আর  নিজের স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার সৎসাহস। এইজন্য আমি তার প্রশংসা করি এবং এটি তার প্রাপ্য বলেই বিশ্বাস করি। আমি মনেকরি আমরা জাতি হিসেবে আরো উন্নত হতে পারবো যদি আমরা মানুষকে তার উচ্চতা, চেহারা বা গায়ের রঙের পরিবর্তে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে শিখি। মানুষকে তার কাজের জন্য প্রশংসা করতে শিখি। আমাদের জেনে রাখা উচি...

পুরাণ কথা - ২

শৈশবে গ্রামে থাকতে জোছনা রাতে নানার বাড়ির উঠোনে খেজুর পাতার পাটিতে শুয়ে শুয়ে নানীদের কাছ থেকে বিভিন্ন পৌরাণিক গল্প, রূপকথা, উপকথা, বাংলার লোকজ গল্প শুনতাম, যা আমাকে ভীষণভাবে আকৃষ্ট করতো। একই গল্প  প্রায় প্রতিদিনই শুনতাম তবুও সেগুলোকে কখনোই পুরাতন মনে হতো না, যতই শুনতাম ততই ভালো লাগতো। এই গল্পগুলোই ছিল সেই সময়ের বিনোদনের একমাত্র উৎস। এরপর শহরে আসার পর মামার টেলিভিশনের কল্যানে ভারতীয় টিভি চ্যানেলে রামায়ণ এবং মহাভারত নামক সিরিয়াল দেখার মাধ্যমে রামায়ণ এবং মহাভারত নামক পৌরাণিক কাহিনী দুটির সাথে পরিচিতি লাভ করি। ক্লাসের বন্ধুদের মুখেও ভারতীয় পুরাণের অনেক গল্পই শুনেছি।  এছাড়া আমার বন্ধুবান্ধব ও প্রতিবেশীদের বাড়িতে পৌষ-পার্বণে পারিবারিক ও ধর্মীয় উৎসবে কীর্তন শুনতাম। সেখান থেকেও অনেক পৌরাণিক কাহিনীর সাথে পরিচিত হই। এভাবেই পুরাণিক গল্প কাহিনী শৈশবে আমার মনে স্থান করে নিয়েছিল। এর পর ইউরোপে আসার পর গ্রিক ও স্ক্যান্ডিনেভিয়ান পৌরাণিক গল্প কাহিনীর সাথে পরিচিতি ঘটে। এদের পৌরাণিক গল্পকাহিনী ভারতীয় গল্পকাহিনী থেকে ভিন্ন হওয়া সত্ত্বেও কিছু কিছু চরিত্রে ও ঘটনায় কিছু সাদৃশ্য লক্ষ্য করা যায়, ...

পুরাণ কথা - ১

Image
ভারতীয় পুরাণে বর্ণিত দেবী সরস্বতীর ন্যায় একটি চটিত্র গ্রিক পুরাণেও খুঁজে পাওয়া যায় নাম লেডা (Leda). লেডা ছিলেন রাজা থেস্তিউস-এর কন্যা এবং হেলেন-এর মাতা। সরস্বতীর সাথে লেডার সাদৃশ্য: রাজহংস উভয়েরই সঙ্গী ছিল, তাই রাজহংসের সাথে উভয়েরই চিত্র বা মূর্তি দেখা যায়। আমাদের দেশে পূজায় যেমন সরস্বতীর প্রতিমার সাথে রাজহংসকে গড়া হয়। অন্য দিকে ইউরোপীয় চিত্রশিল্পী লিওনার্দো দা ভিঞ্চি এবং মাইকেলেঞ্জেলো সহ অনেকের চিত্রকর্মেই উঠে এসেছে গ্রিক পুরানের লেডার সাথে রাজহংস। সরস্বতীর সাথে লেডার পার্থক্য: ভারতীয় পুরাণে সরস্বতীর বাহন ছিল রাজহংস, এখানে রাজহংসের ভূমিকা ''বাহন'' স্বরূপ। অন্য দিকে গ্রিক পুরাণে লেডার সাথে রাজহংসের সম্পর্ক  ছিল ''শারীরিক''। গ্রিক পুরাণের বর্ণনা অনুযায়ী দেবতা জিউস রাজহংসের রূপ ধারণ করে লেডার সাথে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতেন। পুনশ্চ: ১. দক্ষিণ ভারতে সাধারণত ময়ূরবাহনা চতুর্ভূজা সরস্বতী এবং বাংলায় সরস্বতী দ্বিভূজা ও রাজহংসের পৃষ্ঠে আসীন। ২. গ্রিক দেবতা জিউস অনেক রূপেই নারীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতেন আর লেডা ছিল সেই সব নারীদেরই একজন।

আদিবাসীদের জন্য

Image
একটি নরোয়েজিয় দাতব্য সংস্থা'র পক্ষ থেকে তাদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এবং আমি তাদের আমন্ত্রণে সারা দিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম গতকাল। তাদের আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ-অবিভূত। সেখানে তারা শিশু-কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের দৌড়ের আয়োজন করেছিল। দৌড়ে যারা অংশগ্রহন করেছিলেন তাদের সকলের-ই পৃষ্ঠপোষক আছেন। এই দৌড়ের বিশেষত্ব হলো যে যত দৌড়াবে তাদের পৃষ্ঠপোষকগনের কাছ থেকে সে তত টাকা পাবে। আর তাদের অর্জিত সকল টাকা একত্র করে বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠির শিক্ষা ও চিকিত্সাখাতে ব্যয় করবে। অনেক লোক সমাগম হয়েছিল, অনুষ্ঠানে আমি একটি বক্তৃতা দিয়েছিলাম। আমি মনে করি আমাদের দেশের আদিবাসীদের জন্য এটি একটি মহতি উদ্যোগ। আমি তাদের এইরূপ উদ্যোগ ও আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ, আর এই কারণেই একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সহ প্রসংসা করেছি। একই সাথে আমিও আমার অবস্থান থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠির উন্নয়নে অর্থ সংগ্রহের জন্য আমার আঁকা কার্টুনের ৩৪ টি কপি দান করেছি। প্রতিটি কার্টুন ৫০০ ক্রোনার বা প্রায় পাঁচ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় মেয়র সহ গন...

টুনস ম্যাগ আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৬

Image
৮ মার্চ ২০১৬ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে টুনস ম্যাগ আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার বিষয় নারী অধিকার, উক্ত প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত, যে কেউ অংশগ্রহন করতে পারবে। পুরস্কার বিজয়ী কার্টুন সমূহ দিয়ে ৮ মার্চ ২০১৬ নারী দিবস উপলক্ষ্যে একই সাথে নরওয়ে এবং ভারতে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। আপনাকে উক্ত প্রতিযোগিতায় এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় বিচারক মন্ডলী হিসাবে রয়েছেন ৮ দেশের ৮ জন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট: সিরি দক্কেন কার্টুনিস্ট, নরওয়ে সাবিনে ভিগ্ত কার্টুনিস্ট, জার্মানি সাদাত দেমির ইঅল্সিন কার্টুনিস্ট, তুরস্ক নিগার নজর কার্টুনিস্ট, পাকিস্তান আহসান হাবিব কার্টুনিস্ট এবং উন্মাদ ম্যাগাজিন সম্পাদক, বাংলাদেশ বরিস্লাভ স্তান্কভিক স্তাবর কার্টুনিস্ট , সার্বিয়া জন-এরিক  আন্দের কার্টুনিস্ট , সুইডেন ম্যাট বুইর্কের কার্টুনিস্ট, আমেরিকা প্রতিযোগীদের নাম সমূহ দেখতে : http://my.fnf.fm/1mfaxGN প্রতিযোগিতার ঘোষণা ও পুরস্কার সংক্রান্ত তথ্যের জন্য  : http://my.fnf.fm/1QCM2jZ প্রতিযোগিতায় বিচার...

বড় দিনের উপহার

এক প্রেমিক বালক তার প্রেমিকা বালিকাকে আমার আঁকা একটা ছবি বড় দিনের উপহার হিসাবে দিতে চান। আজ থেকে ১৩ দিন আগে নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে এসে আমাকে খুঁজে গেছে, আমাকে না পায়ে গ্যালারির এক কর্মকর্তার কাছে তার এবং তাদের একটি জুগল ফটো রেখে গেছে সেই থাকে ১৫ হাজার বাংলাদেশী টাকার সমতুল্যের নরওয়েজিয়ান ক্রোনার আমার জন্য সম্মানী হিসাবে রেখে গেছেন। গ্যালারির কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতি একে দেয়ার জন্য বলেছিলেন। আমার পরীক্ষা এবং আনুসঙ্গিক ব্যস্ততা থাকার কারণে বিষয়টা একরকম ভুলেই গেছিলাম। কাল সারা রাত জেগে পরীক্ষার উপকরণ প্রস্তুত করে আর সকাল ভোরে জমা দিয়ে বাসায় এসে যেই না ঘুমোতে গেছি। অমনি ফোন, ওপর প্রান্ত থেকে জিজ্ঞাসা করলো; প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতির কি খবর? আঁকা হয়েছে? আমি হাই তুলতে তুলতে জবাব দিলাম, না এখনো শুরুই করি নাই, ভুলে গেছিলাম। তাই একটু ঘুমিয়ে মুখ হাত না ধুয়েই বসে পরলাম ড্রইং করতে। ড্রইং করতাছি আর ভাবতাছি, আহারে পিরীতি, ভীষণ পিরীতি।

নরওয়েতে পাঁচ বছর

Image
আমি নরওয়েতে অবস্থান করছি আজ পাঁচ বছর ও পাঁচ দিন। ২০১০ সালের ৩০ শে নভেম্বর সকাল ৬ টায় নরওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম ঢাকা থেকে।  ঢাকা থেকে দুবাই, দুবাই থেকে ফ্রাঙ্কফুট এবং  ফ্রাঙ্কফুট থেকে নরওয়ে, সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ ঘন্টার ভ্রমন। আর ১ লা ডিসেম্বর ছিল নরওয়েতে আমার প্রথম দিন। চারিদিকে প্রচুর তুষার, মাইনাস ২০ ডিগ্রী ঠান্ডা। সব কিছু তুষারে মোড়ানো রূপকথার রাজ্যের মত লাগছিল। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতাম, কখনো বা পত্রিকা, রেডিও বা টিভিতে ইন্টারভিউ কখনো কখনো টিভিতে গিয়ে স্বশরীরে গিয়ে সংবাদের মাঝে সাক্ষাত্কার দিতে হয়েছে। বিষয় গুলো আমি খুব উপভোগ করেছি। ১ লা ডিসেম্বর এখানে পরিচিত হলাম স্থানীয় মেয়রের সাথে। মেয়রের নাম থোরে ভেস্তবি, খুব আন্তরিক একজন মানুষ। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি আমাকে দাপ্তরিক ভাবে অভ্যর্থনা জানালেন, মেয়রের সঙ্গে একটা পত্রিকায় একটা ইন্টারভিউ দিলাম এবং মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। মধ্যাহ্ন ভোজের সময় তিনি আমাকে জানালেন আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০১০ নরওয়ের রাজা এবং রানী দ্রবাক শহর ভ্রমনে আসছেন। এই উপলক...

ফেসবুক সেলিব্রেটি

ফেসবুকে অনেক উঠতি সেলিব্রেটি আছেন, যারা ফেসবুকে নিজের নামে ফ্যান পেজ খুলে লাইক দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, এরপর ফ্যান পেজে লাইক পাওয়ার পর আলগোছে ফ্রেন্ড লিস্ট থেকে রিমুভ করে দিয়ে থাকেন। নিজেকে ফ্যান হিসাবে আবিষ্কার করার  পর, আমি উক্ত সেলিব্রেটিকে ধন্যবাদ স্বরূপ একটা বার্তা পাঠিয়ে থাকি; যেমন: ''ধন্যবাদ, আপনার ফ্যান হিসাবে ঝুলে থাকার মত যোগত্যা এখনো অর্জন করতে সক্ষম হই নাই, তাই  আপনার ফ্যান পেজ থেকে আমার লাইক টা তুলে নিলাম। আপনার ফ্যান হিসাবে ঝুলে থাকার মত যোগত্যা অর্জন করা মাত্র নিজ দায়িত্বে এসে লাইক দেব, দুঃচিন্তা করবেন না। ভালো থাকবেন।'' ফেসবুকে অনেক উঠতি সেলিব্রেটি আছেন, যারা ফেসবুকে নিজের নামে ফ্যান পেজ খুলে ...

টুনস ম্যাগ প্রথম আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৬

Image
আমরা অতি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে টুনস ম্যাগ-এর পক্ষ থেকে একটি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছি। প্রতিযোগিতার বিষয়ঃ  নারী অধিকার কার্টুন পাঠানোর শেষ সময়ঃ  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পরিমাপঃ  A4, ৩০০ DPI. পুরস্কার সমূহঃ  প্রথম পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen & Touch Medium এবং সনদ পত্র । দ্বিতীয় পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen & Touch Small এবং সনদ পত্র । তৃতীয় পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen Small এবং সনদ পত্র । এছাড়াও অতিরিক্ত ৭ জন কার্টুনিস্ট পাবেন বিশেষ পুরস্কার, সনদ পত্র। নীতিমালাঃ ১। যে কোন দেশের ও বয়সের কার্টুনিস্ট এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২। কার্টুন মৌলিক এবং অপ্রকাশিত হতে হবে। নকল কাজ গ্রহন যোগ্য নয়। ৩। প্রতিযোগী সর্ব সাকুল্যে ৫ টি কার্টুন জমা দিতে পারবে। কার্টুন সাদাকালো বা রঙ্গিন হতে পারে। সংলাপ ব্যতিত হওয়া উত্তম, সংলাপ ব্যবহার করলে তা ইংরেজিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। ৪। প্রাথমিক ভাবে জমা হওয়া কার্টুন গুলোর মধ্য থেকে আন্তর্জাতিক বিচারক মণ্ডলী প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য কার্টুন সমূহ নির্বাচন করবেন যা  http://bd.toonsm...

বর্তমানে ৫ টি ভাষায় টুনস ম্যাগ

অনেকেই হয়ত জানেন টুনস ম্যাগ বর্তমানে ৫ টি ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে, যথাক্রমে: ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, আরবি এবং স্প্যানিশ। প্রতিটি ভাষার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা লেখক এবং সম্পাদনা পর্ষদ । টুনস ম্যাগ কে সর্বাধিক ব্যাবহৃত ভাষা সমূহে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে টুনস ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন ভাষার ১০০ উপরে সেচ্ছাসেবক কার্টুনিস্ট, লেখক ও কর্মী। আগামী ১ লা নভেম্বর টুনস ম্যাগ সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। আপনি টুনস ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত হতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বাংলা:  http://bd.toonsmag.com ইংরেজি:  http://www.toonsmag.com হিন্দি:  http://hi.toonsmag.com আরবি: http://ar.toonsmag.com স্প্যানিশ: http://es.toonsmag.com

পাছে লোকে কিছু বলে তাই আমিও বলি

সেদিন এক শুভাকাংখী আমাকে অবহিত করলেন যে, অনেক বাংলাদেশীরাই আছেন যারা মনে করে থাকেন আমি নাকি নরওয়েতে এসে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন যাপন করে থাকি। প্রথম কথা: আমি মনে করি: ভিক্ষা, চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাই বাদে সৎ পথে অর্থ অর্জনের সকল পেশাই সম্মানের, সেটা যত ছোট কাজই হোক না কেন। দ্বিতীয় কথা: আমি বাইসাইকেল  চালানোটাও ঠিক মত জানি না। দেশে থাকতে আমার এক আত্মীয়ের বাইসাইকেল ধার করে চালানো শেখার চেষ্টা করেছিলাম বেশ কয়েকবার। শিখতে গিয়ে বেশ কয়েকটা ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলাম। তাই সাইকেল চালানোর ইচ্ছেটা ছিকেয় তুলেছি বহু আগে। এখানে আসার পর আমার এখানকার কথিত নানা-নানী জন্মদিনের উপহার হিসাবে আমাকে একটা বাইসাইকেল কিনে দিয়েছিল সেই ২০১১ সালে। এরপর সাইকেলটাকে সেই যে গ্যারেজে বন্দী করেছি, এরপর আর সাইকেলটাকে নিয়ে কখনো বের হই নাই, চালাতে গিয়ে যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, এই ভয়ে। তৃতীয় কথা: আমার দেশের সমান্তরাল ভূমিতে দুই চাকার সাইকেল চালানোর অযোগ্য আমি, আর বিদেশের এই উচু নীচু ভূমিতে চার চাকার গাড়ি চালাতে গিয়ে যে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? তাই আমি মনের ভুলেও ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার ক...

ঘুমে বিঘ্ন

যথারীতি আজ আমি বিলম্ব করে ঘুমোতে গিয়েছিলাম। ভোর পাঁচটার দিকে সম্ভবত। সকাল দশটার দিকে আচমকা কলিং বেল বেজে উঠলো। অসময়ে ঘুমে বিঘ্ন ঘটানোয় আমি কিঞ্চিত বিরক্ত। উল্লেখ্য আমার ঘরটা  দোতলায় অবস্থিত আর সদর দরজা নিচতলায়। তবে, কেউ কলিং বেল চাপলে আমাকে নীচতলায় না গেলেও চলে। কারণ- দোতলায় সুইচ লাগানো আছে, তাই আমি সুইচ চাপার সঙ্গে সঙ্গে নীচতলার সদর দরজা খুলে যায়। আর সুইচের পাশে একটা ফোন লাগানো আছে, যা দিয়ে দর্শন প্রাথীর সাথে যোগাযোগ করা যায়, তাই গেট না খুলে আগে জিজ্ঞাসা করলাম ''কে ?'' ওপাশ থেকে অজ্ঞাত এক নারী কন্ঠে জবাব এলো ''আমি একটা প্রচারনায় এসেছি, আপনার সাথে কথা বলতে চাই।'' আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ''কি বিষয়ে ?'' ওপাশ থেকে উত্তর এলো, ''আমি যিশু খ্রিস্টের বিষয়ে কথা বলতে চাই, আপনি কি যিশু খ্রিস্টের পৃথিবীতে আগমনের কারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ?'' আমি হাই তুলতে তুলতে জবাব দিলাম, ''জী না, ধন্যবাদ।'' বিছানায় ফিরে গেলাম, কিন্তু ঘুম ততক্ষণে বিদায় নিয়েছে। তাই কম্পিউটার নিয়ে বসে পরলাম।

আমার জীবনযাপন

আমার জীবনযাপন সাধারণত আর আর দশ জন মানুষের থেকে একটু আলাদা, বিশেষ করে আমার ছুটির দিন গুলোতে। কারণ- সবাই যখন ঘুমোয় আমি তখন জাগি, আর আমি যখন ঘুমোই সবাই তখন জাগে। এটা আমি আসলে ইচ্ছে করে যে করি তা কিন্তু নয়। এর কারণ- আমি এক সাথে একাধিক প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত, আর সেই কারণে আমাকে সব কিছুতেই সময় দিতে হয়। অনেকে মনে আমি শুধু কাটুন-ই আঁকি এর বাইরে আমি আর কোনো কাজ পারি না বা করি না এই ধারণা কিন্তু ঠিক না। আমি এখানকার বেশ কয়েকটা সংবাদপত্রে ফ্রিল্যান্স কার্টুনিস্ট হিসাবে কাজ করি, লেখাপড়া করি, একটা রাষ্ট্রীয় মন্ত্রণালয়ে বাংলা ভাষার শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত আছি, একটা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ডেভলপার হিসাবে কাজ করি, টুনস ম্যাগ নিয়ে সময় দিতে হয়। যেমন, টুনস ম্যাগের অন্যান্য কার্টুনিস্ট দের কার্টুন ছাপানো, তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। এছাড়া FnF.fm নামে আমার একটা রেডিও চ্যানেল আছে সেখানে অনেক সঙ্গীত শিল্পীরা গান পাঠায়, সেগুলো শুনে শুনে প্রচার যোগ্য গান গুলো প্রচার করতে হয়, তাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। কাজের তালিকায় দিন দিন নতুন নতুন কাজ যোগ হচ্ছে। এরপর আমার একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে, সেখানে রান্নাবান্না, খাওয়া...

শিশু দিবস

Image
নরওয়ের অকেশুশ প্রদেশে একটা জাদুঘর আছে। নাম ফোলো মিউজিয়াম। জাদুঘর কতৃপক্ষ প্রতি বছর গ্রীষ্মে ও শীতকালে শিশু দিবস পালন করে।  এই শিশু দিবস উপলক্ষ্যে উক্ত জাদুঘরে হাজার হাজার শিশুরা আসে তাদের অভিবাবকদের সঙ্গে। শিশুরা পুরাতন আমলের ঘরবাড়ি গুলো ঘুরে ঘুরে দেখে, ঘোড়ার গাড়িতে চড়ে ঘুরে বেড়ায়, প্রত্নতত্ত্ব বিষয়াদি ও আঞ্চলিক ইতিহাস এবং তাদের সংস্কৃতি সম্পর্কে জানে।  উল্লেখ্য সেই জাদুঘরের ভিতরে ৩'শ বছর আগের পুরনো একটা বিদ্যালয় আছে।  সেই পুরনো আমলের বেঞ্চিতে বসে শিশুরা ছবি আঁকা শেখে। জাদুঘরটা নরওয়ের হলেও এই  বিদ্যালয়ের শিক্ষক কিন্তু নরওয়েজিয়ান নয়।  সে একজন বাঙালি। ( এখন চিন্তা করতে থাকুন ব্যক্তিটা কে হতে পারে। ) শ্রেণীকক্ষে শিশুরা অনেক কিছু আঁকা শেখে।  যেমন: হাতি, ঘোড়া, বিড়াল, কুকুর, সজারু, পাখি, ফুল, ঘর-বাড়ি, নদী সহ আরো অনেক কিছু। শিশুরা কোনো কিছু আঁকা শিখতে চাইলে তারা তাদের শিক্ষকে জিজ্ঞাসা করে।  আর শিক্ষক খুব তাদের সহজ  ভাবে আঁকার কৌশল তাদের শিখিয়ে দেন। অনেক সময় শিশুদের সঙ্গে শিশুদের বাবা-মা, দাদা-দাদী বা নানা-নানিও ছবি আঁকা শিখে থাকেন। গতকাল সেখানে শ...