পাছে লোকে কিছু বলে তাই আমিও বলি

সেদিন এক শুভাকাংখী আমাকে অবহিত করলেন যে, অনেক বাংলাদেশীরাই আছেন যারা মনে করে থাকেন আমি নাকি নরওয়েতে এসে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন যাপন করে থাকি।

প্রথম কথা: আমি মনে করি: ভিক্ষা, চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাই বাদে সৎ পথে অর্থ অর্জনের সকল পেশাই সম্মানের, সেটা যত ছোট কাজই হোক না কেন।

দ্বিতীয় কথা: আমি বাইসাইকেল  চালানোটাও ঠিক মত জানি না। দেশে থাকতে আমার এক আত্মীয়ের বাইসাইকেল ধার করে চালানো শেখার চেষ্টা করেছিলাম বেশ কয়েকবার। শিখতে গিয়ে বেশ কয়েকটা ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলাম। তাই সাইকেল চালানোর ইচ্ছেটা ছিকেয় তুলেছি বহু আগে। এখানে আসার পর আমার এখানকার কথিত নানা-নানী জন্মদিনের উপহার হিসাবে আমাকে একটা বাইসাইকেল কিনে দিয়েছিল সেই ২০১১ সালে। এরপর সাইকেলটাকে সেই যে গ্যারেজে বন্দী করেছি, এরপর আর সাইকেলটাকে নিয়ে কখনো বের হই নাই, চালাতে গিয়ে যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, এই ভয়ে।

তৃতীয় কথা: আমার দেশের সমান্তরাল ভূমিতে দুই চাকার সাইকেল চালানোর অযোগ্য আমি, আর বিদেশের এই উচু নীচু ভূমিতে চার চাকার গাড়ি চালাতে গিয়ে যে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? তাই আমি মনের ভুলেও ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার কথা কখনো ভাবিনা।

শেষ কথা: মানুষ দূর থেকে অনেক কিছু-ই কল্পনা করে থাকে অপরপ্রান্তের মানুষ সম্পর্কে, যার সাথে বাস্তবতার কোনো সাদৃশ্য নাই। 

Comments

Popular posts from this blog

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর

শিশু দিবস

From Procrastination to Action: Redefining My Priorities