Posts

আদিবাসীদের জন্য

Image
একটি নরোয়েজিয় দাতব্য সংস্থা'র পক্ষ থেকে তাদের আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। এবং আমি তাদের আমন্ত্রণে সারা দিয়ে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম গতকাল। তাদের আয়োজন দেখে আমি মুগ্ধ-অবিভূত। সেখানে তারা শিশু-কিশোর থেকে প্রাপ্তবয়স্কদের দৌড়ের আয়োজন করেছিল। দৌড়ে যারা অংশগ্রহন করেছিলেন তাদের সকলের-ই পৃষ্ঠপোষক আছেন। এই দৌড়ের বিশেষত্ব হলো যে যত দৌড়াবে তাদের পৃষ্ঠপোষকগনের কাছ থেকে সে তত টাকা পাবে। আর তাদের অর্জিত সকল টাকা একত্র করে বাংলাদেশের আদিবাসী জনগোষ্ঠির শিক্ষা ও চিকিত্সাখাতে ব্যয় করবে। অনেক লোক সমাগম হয়েছিল, অনুষ্ঠানে আমি একটি বক্তৃতা দিয়েছিলাম। আমি মনে করি আমাদের দেশের আদিবাসীদের জন্য এটি একটি মহতি উদ্যোগ। আমি তাদের এইরূপ উদ্যোগ ও আন্তরিকতা দেখে আমি মুগ্ধ, আর এই কারণেই একজন বাংলাদেশী হিসেবে আমি তাদেরকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন সহ প্রসংসা করেছি। একই সাথে আমিও আমার অবস্থান থেকে আদিবাসী জনগোষ্ঠির উন্নয়নে অর্থ সংগ্রহের জন্য আমার আঁকা কার্টুনের ৩৪ টি কপি দান করেছি। প্রতিটি কার্টুন ৫০০ ক্রোনার বা প্রায় পাঁচ হাজার টাকা হিসেবে বিক্রি হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় মেয়র সহ গন

৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে দুই দেশের তিনটি স্থানে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী

Image
গত ৮ মার্চ নারী দিবস উপলক্ষ্যে টুনস ম্যাগ আয়োজিত একই সাথে দুই টি দেশের তিনটি স্থানে উদ্বোধন হলো ' নারী অধিকার শীর্ষক'' আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতার প্রদর্শনী।  বিশ্বব্যাপী নারী অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রচারণা এবং নারী অধিকার বাস্তবায়নে সবাইকে সচেতন করাই এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। নরওয়ে প্রবাসী বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান টুনস ম্যাগের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক। তিনি এই আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজক। কার্টুন বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি এই বছর নারী দিবস উপলক্ষে আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীর আয়োজনের মধ্য দিয়ে পৃথিবীর সকল মায়ের প্রতি সম্মান প্রদর্শন এবং সকল নারীর অধিকারের প্রতি সমর্থন জানানোর সাথে সাথে বিশ্বের কাছে নারী অধিকারের এবং বিভিন্ন দেশের এবং সমাজের নারীর অবস্থানের বাস্তব চিত্র তুলে ধরা হয়েছে।   আরব ও মধ্যপ্রাচ্য-এর কার্টুনে উঠে এসেছে শিশু বিবাহ, নারী নির্যাতন, পুরুষের বহুবিবাহ, নারী পুরুষের বৈষম্য এবং ধর্মীয় কুসংস্কার। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কার্টুনে উঠে এসেছে নারী পাচারও পতিতা বৃত্তির বিষয় গুলি। দক্ষিণ এশিয়ার কার্টুনে উঠে

আপডেট: টুনস ম্যাগ প্রথম আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা

Image
টুনস ম্যাগের প্রথম আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতায় ৭৪ টি দেশ থেকে মোট ৫৫৪ জন কার্টুনিস্ট অংশ গ্রহণ করেছিলেন। সব মিলিয়ে ১৫৭৪ টি কার্টুন জমা পরেছে। পুরস্কার বিজয়ী এবং নির্বাচিত মোট ১০০টি কার্টুন দিয়ে ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে একই সাথে ভারতের বেঙ্গালোরে এবং নরওয়ের দ্রবক শহরে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। নরওয়েতে উদ্বোধন ৮ মার্চ বিকেল ৬ টা https://www.facebook.com/events/183734395327757/ ভারতে উদ্বোধন ৫ মার্চ সকাল ১১ টা https://www.facebook.com/events/1561024437547195/ প্রতিযোগীদের নামের তালিকা দেখুন : http://www.toonsmag.com/2015/12/participants.html প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে রয়েছেন ৮ দেশের ৮ জন কার্টুনিস্ট। প্রতিযোগিতার ফলাফল ৮ মার্চ ঘোষণা করা হবে। অংশগ্রহনকারী সকল কার্টুনিস্ট দের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শুভেচ্ছান্তে- আরিফুর রহমান প্রতিষ্ঠাতা ও প্রকাশক, টুনস ম্যাগ, নরওয়ে

টুনস ম্যাগ আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৬

Image
৮ মার্চ ২০১৬ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষ্যে টুনস ম্যাগ আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছে। প্রতিযোগিতার বিষয় নারী অধিকার, উক্ত প্রতিযোগিতা সবার জন্য উন্মুক্ত, যে কেউ অংশগ্রহন করতে পারবে। পুরস্কার বিজয়ী কার্টুন সমূহ দিয়ে ৮ মার্চ ২০১৬ নারী দিবস উপলক্ষ্যে একই সাথে নরওয়ে এবং ভারতে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে। আপনাকে উক্ত প্রতিযোগিতায় এবং প্রদর্শনীতে অংশগ্রহন করার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। প্রতিযোগিতায় বিচারক মন্ডলী হিসাবে রয়েছেন ৮ দেশের ৮ জন বিখ্যাত কার্টুনিস্ট: সিরি দক্কেন কার্টুনিস্ট, নরওয়ে সাবিনে ভিগ্ত কার্টুনিস্ট, জার্মানি সাদাত দেমির ইঅল্সিন কার্টুনিস্ট, তুরস্ক নিগার নজর কার্টুনিস্ট, পাকিস্তান আহসান হাবিব কার্টুনিস্ট এবং উন্মাদ ম্যাগাজিন সম্পাদক, বাংলাদেশ বরিস্লাভ স্তান্কভিক স্তাবর কার্টুনিস্ট , সার্বিয়া জন-এরিক  আন্দের কার্টুনিস্ট , সুইডেন ম্যাট বুইর্কের কার্টুনিস্ট, আমেরিকা প্রতিযোগীদের নাম সমূহ দেখতে : http://my.fnf.fm/1mfaxGN প্রতিযোগিতার ঘোষণা ও পুরস্কার সংক্রান্ত তথ্যের জন্য  : http://my.fnf.fm/1QCM2jZ প্রতিযোগিতায় বিচারক মন্ডলীদ

একটু ফিরে দেখা

Image
আমি প্রথম কার্টুন একে পুরস্কার পাই ২০০৬ সালে টি আই বি আয়োজিত দুর্নীতি বিরোধী কার্টুন প্রতিযোগিতায়। তৃতীয় হয়েছিলাম খ বিভাগে। ২০০৭ সালে দ্যা ডেইলি স্টার আয়োজিত কার্টুন প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার পাই। এরপর কার্টুন একে আমি অনেক কিছু পেয়েছি, আবার অনেক কিছু হারিয়েছি।  এমনকি কার্টুন একে ৬ মাস দুই দিন  জেল খেটেছি, মুরতাদ ফতোয়া পেয়েছি, দেশ ছেড়েছি সেই সাথে আরো অনেক কিছু পাওয়া বা হারানোর তালিকায় আছে। ২০০৭ সালের পর বাংলাদেশের কোনো পত্রিকা আমার কার্টুন ছাপত না, আবার কেউ ছাপলেও কার্টুনে আমার নাম সেন্সরড করা হত, আমার নামের স্থলে অন্য একটা নাম দিয়ে ছাপা হত। ২০০৮ সালে ২০ মার্চ হাইকোর্ট আমাকে মুক্তিদেন কিন্তু ,২০০৯ সালে যশোরের একটি নিম্ন আদালত আমাকে ওই একই কার্টুনের জন্য ২ মাসের সশ্রম কারাদন্ডে  দন্ডিত করে সেই সাথে পাঁচ শত টাকা জরিমানা করে। তো যাই হোক, আমি থামিনি থেমে থাকিনি, কারণ আমি হারতে শিখিনি। কার্টুন দিয়ে আমি বিশ্বের মাঝে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে চাই, নিজের কথা নিজের নামে নিজের মত করে বলতে চাই।  এবং অন্য কার্টুনিস্টদের স্বাধীন মত প্রকাশের একটা জায়গা করে দিতে চাই। ২০০৯ সালে আমি একটা অনলাইন

বড় দিনের উপহার

এক প্রেমিক বালক তার প্রেমিকা বালিকাকে আমার আঁকা একটা ছবি বড় দিনের উপহার হিসাবে দিতে চান। আজ থেকে ১৩ দিন আগে নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে এসে আমাকে খুঁজে গেছে, আমাকে না পায়ে গ্যালারির এক কর্মকর্তার কাছে তার এবং তাদের একটি জুগল ফটো রেখে গেছে সেই থাকে ১৫ হাজার বাংলাদেশী টাকার সমতুল্যের নরওয়েজিয়ান ক্রোনার আমার জন্য সম্মানী হিসাবে রেখে গেছেন। গ্যালারির কর্মকর্তা আমাকে ফোন করে প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতি একে দেয়ার জন্য বলেছিলেন। আমার পরীক্ষা এবং আনুসঙ্গিক ব্যস্ততা থাকার কারণে বিষয়টা একরকম ভুলেই গেছিলাম। কাল সারা রাত জেগে পরীক্ষার উপকরণ প্রস্তুত করে আর সকাল ভোরে জমা দিয়ে বাসায় এসে যেই না ঘুমোতে গেছি। অমনি ফোন, ওপর প্রান্ত থেকে জিজ্ঞাসা করলো; প্রেমিক দ্বয়ের প্রতিকৃতির কি খবর? আঁকা হয়েছে? আমি হাই তুলতে তুলতে জবাব দিলাম, না এখনো শুরুই করি নাই, ভুলে গেছিলাম। তাই একটু ঘুমিয়ে মুখ হাত না ধুয়েই বসে পরলাম ড্রইং করতে। ড্রইং করতাছি আর ভাবতাছি, আহারে পিরীতি, ভীষণ পিরীতি।

নরওয়েতে পাঁচ বছর

Image
আমি নরওয়েতে অবস্থান করছি আজ পাঁচ বছর ও পাঁচ দিন। ২০১০ সালের ৩০ শে নভেম্বর সকাল ৬ টায় নরওয়ের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছিলাম ঢাকা থেকে।  ঢাকা থেকে দুবাই, দুবাই থেকে ফ্রাঙ্কফুট এবং  ফ্রাঙ্কফুট থেকে নরওয়ে, সব মিলিয়ে প্রায় ১৮ ঘন্টার ভ্রমন। আর ১ লা ডিসেম্বর ছিল নরওয়েতে আমার প্রথম দিন। চারিদিকে প্রচুর তুষার, মাইনাস ২০ ডিগ্রী ঠান্ডা। সব কিছু তুষারে মোড়ানো রূপকথার রাজ্যের মত লাগছিল। প্রতিদিন নতুন নতুন মানুষের সাথে পরিচিত হতাম, কখনো বা পত্রিকা, রেডিও বা টিভিতে ইন্টারভিউ কখনো কখনো টিভিতে গিয়ে স্বশরীরে গিয়ে সংবাদের মাঝে সাক্ষাত্কার দিতে হয়েছে। বিষয় গুলো আমি খুব উপভোগ করেছি। ১ লা ডিসেম্বর এখানে পরিচিত হলাম স্থানীয় মেয়রের সাথে। মেয়রের নাম থোরে ভেস্তবি, খুব আন্তরিক একজন মানুষ। আমাদের দেশের রাজনীতিবিদের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি আমাকে দাপ্তরিক ভাবে অভ্যর্থনা জানালেন, মেয়রের সঙ্গে একটা পত্রিকায় একটা ইন্টারভিউ দিলাম এবং মধ্যাহ্ন ভোজের জন্য আমন্ত্রণ জানালেন। মধ্যাহ্ন ভোজের সময় তিনি আমাকে জানালেন আগামী ২০ ডিসেম্বর ২০১০ নরওয়ের রাজা এবং রানী দ্রবাক শহর ভ্রমনে আসছেন। এই উপলক্ষ্যে তিনি বিশেষ কিছু কর