Posts

পাছে লোকে কিছু বলে তাই আমিও বলি

সেদিন এক শুভাকাংখী আমাকে অবহিত করলেন যে, অনেক বাংলাদেশীরাই আছেন যারা মনে করে থাকেন আমি নাকি নরওয়েতে এসে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন যাপন করে থাকি। প্রথম কথা: আমি মনে করি: ভিক্ষা, চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাই বাদে সৎ পথে অর্থ অর্জনের সকল পেশাই সম্মানের, সেটা যত ছোট কাজই হোক না কেন। দ্বিতীয় কথা: আমি বাইসাইকেল  চালানোটাও ঠিক মত জানি না। দেশে থাকতে আমার এক আত্মীয়ের বাইসাইকেল ধার করে চালানো শেখার চেষ্টা করেছিলাম বেশ কয়েকবার। শিখতে গিয়ে বেশ কয়েকটা ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলাম। তাই সাইকেল চালানোর ইচ্ছেটা ছিকেয় তুলেছি বহু আগে। এখানে আসার পর আমার এখানকার কথিত নানা-নানী জন্মদিনের উপহার হিসাবে আমাকে একটা বাইসাইকেল কিনে দিয়েছিল সেই ২০১১ সালে। এরপর সাইকেলটাকে সেই যে গ্যারেজে বন্দী করেছি, এরপর আর সাইকেলটাকে নিয়ে কখনো বের হই নাই, চালাতে গিয়ে যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, এই ভয়ে। তৃতীয় কথা: আমার দেশের সমান্তরাল ভূমিতে দুই চাকার সাইকেল চালানোর অযোগ্য আমি, আর বিদেশের এই উচু নীচু ভূমিতে চার চাকার গাড়ি চালাতে গিয়ে যে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? তাই আমি মনের ভুলেও ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার কথা কখনো ভ

ঘুমে বিঘ্ন

যথারীতি আজ আমি বিলম্ব করে ঘুমোতে গিয়েছিলাম। ভোর পাঁচটার দিকে সম্ভবত। সকাল দশটার দিকে আচমকা কলিং বেল বেজে উঠলো। অসময়ে ঘুমে বিঘ্ন ঘটানোয় আমি কিঞ্চিত বিরক্ত। উল্লেখ্য আমার ঘরটা  দোতলায় অবস্থিত আর সদর দরজা নিচতলায়। তবে, কেউ কলিং বেল চাপলে আমাকে নীচতলায় না গেলেও চলে। কারণ- দোতলায় সুইচ লাগানো আছে, তাই আমি সুইচ চাপার সঙ্গে সঙ্গে নীচতলার সদর দরজা খুলে যায়। আর সুইচের পাশে একটা ফোন লাগানো আছে, যা দিয়ে দর্শন প্রাথীর সাথে যোগাযোগ করা যায়, তাই গেট না খুলে আগে জিজ্ঞাসা করলাম ''কে ?'' ওপাশ থেকে অজ্ঞাত এক নারী কন্ঠে জবাব এলো ''আমি একটা প্রচারনায় এসেছি, আপনার সাথে কথা বলতে চাই।'' আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ''কি বিষয়ে ?'' ওপাশ থেকে উত্তর এলো, ''আমি যিশু খ্রিস্টের বিষয়ে কথা বলতে চাই, আপনি কি যিশু খ্রিস্টের পৃথিবীতে আগমনের কারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ?'' আমি হাই তুলতে তুলতে জবাব দিলাম, ''জী না, ধন্যবাদ।'' বিছানায় ফিরে গেলাম, কিন্তু ঘুম ততক্ষণে বিদায় নিয়েছে। তাই কম্পিউটার নিয়ে বসে পরলাম।

আমার জীবনযাপন

আমার জীবনযাপন সাধারণত আর আর দশ জন মানুষের থেকে একটু আলাদা, বিশেষ করে আমার ছুটির দিন গুলোতে। কারণ- সবাই যখন ঘুমোয় আমি তখন জাগি, আর আমি যখন ঘুমোই সবাই তখন জাগে। এটা আমি আসলে ইচ্ছে করে যে করি তা কিন্তু নয়। এর কারণ- আমি এক সাথে একাধিক প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত, আর সেই কারণে আমাকে সব কিছুতেই সময় দিতে হয়। অনেকে মনে আমি শুধু কাটুন-ই আঁকি এর বাইরে আমি আর কোনো কাজ পারি না বা করি না এই ধারণা কিন্তু ঠিক না। আমি এখানকার বেশ কয়েকটা সংবাদপত্রে ফ্রিল্যান্স কার্টুনিস্ট হিসাবে কাজ করি, লেখাপড়া করি, একটা রাষ্ট্রীয় মন্ত্রণালয়ে বাংলা ভাষার শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত আছি, একটা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ডেভলপার হিসাবে কাজ করি, টুনস ম্যাগ নিয়ে সময় দিতে হয়। যেমন, টুনস ম্যাগের অন্যান্য কার্টুনিস্ট দের কার্টুন ছাপানো, তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। এছাড়া FnF.fm নামে আমার একটা রেডিও চ্যানেল আছে সেখানে অনেক সঙ্গীত শিল্পীরা গান পাঠায়, সেগুলো শুনে শুনে প্রচার যোগ্য গান গুলো প্রচার করতে হয়, তাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। কাজের তালিকায় দিন দিন নতুন নতুন কাজ যোগ হচ্ছে। এরপর আমার একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে, সেখানে রান্নাবান্না, খাওয়া