Posts

'যুদ্ধের শিশু' আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী, নরওয়ে - ২০১৫

Image
১২ সেপ্টেম্বর নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, 'যুদ্ধের শিশু' শীর্ষক আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী। উক্ত প্রদর্শনীতে ৫১ টি দেশের ১২৮ জন কার্টুনিস্ট অংশ নিয়েছেন। সর্বমোট কার্টুন জমা পরেছিল ৫৫৮ টি, এর মধ্য থেকে ৭০ টি কার্টুন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে। নরওয়ের বেশ কয়েকটি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে এছাড়া সুইডেন,  স্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ড,অর্মেজিয়া, তুরস্ক, জর্দান ও দক্ষিন আফ্রিকায় প্রদর্শিত হবে। উক্ত  আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজক হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান এবং  সিরিয়ান কার্টুনিস্ট ফাদি আবু হাসান।  সার্বিক সহযোগিতায় নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট হাউজ এবং টুনস ম্যাগ। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ছবি আঁকতে দ্বীপে

Image
আমাদের ড্রইং গ্রুপের পক্ষ থেকে ছবি আঁকতে আজ আমরা একটা দ্বীপে গিয়েছিলাম। সুইডেনের সাবেক রাজা অস্কারের নাম অনুসারে দ্বীপের  নাম করণ করা হয়েছে ''অস্কারসবর্গ'' বা অস্কারের দ্বীপ। দ্বীপটা অনেক বিখ্যাত।  দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ওই দ্বীপটা থেকেই হিটলারের পাঠানো যুদ্ধ জাহাজে গোলা বর্ষণ করে ধ্বংশ করে, নরওয়েকে রক্ষা করা হয়েছিল হিটলারের আগ্রাসন থেকে। দ্বীপটার দুইটি অংশে বিভক্ত যা মাঝখানে ছোট্ট  একটা কাঠের সেতু দিয়ে জোড়া দেয়া। সেতুটার নিচ দিয়ে  ছোট ছোট দ্রুতযান নৌকা চলাচল করে থাকে। দ্বীপের  বড় অংশের উপর পুরাতন একটি কেল্লা। যা আকাশ থেকে দেখলে ইংরেজি D অক্ষরের মত দেখায়। যা এখন জাদুঘরে পরিনত করা হয়েছে। দ্বীপের উপরে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ব্যবহৃত দানব আকৃতির কামান গুলো এখনো শোভা পাচ্ছে। দ্বীপের বেশ কিছু স্থানে রয়েছে পাঁচ ছয় মিটারের ছোট ছোট ঝিনুক বালুর সৈকত। পানি প্রচন্ড ঠান্ডা আর লবনাক্ত। পাশ দিয়ে যখন  টাইটানিক-আকৃতির বিশাল বিশাল জাহাজ গুলো যাচ্ছিল তখন ঢেউয়ের সঙ্গে ছোট ছোট তারা মাছ আর ঝিনুকেরা তীরে এসে ভীড় জমাচ্ছিল।  আর কিছু গাংচিল আশেপাশে খাবারের সন্ধান করছিল। আমরা দুপুর থে

একটা কার্টুন আর পাঁচ অংকের সম্মানী

Image
সম্প্রতি নরওয়ের একটি সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত আমার একটি রাজনৈতিক কার্টুন।   কার্টুনের বিষয়: রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে নরওয়ে ২০১৫।    মাস দুয়েক আগে এক সাময়িক পত্রিকার সম্পাদকের নিকট হতে একখানা ই-পত্র পেয়েছিলাম। আমার ই-পত্রের ঠিকানা তিনি  কোথায় পেয়েছিলেন তা আমার অজানা। কারণ- তিনি আমার পূর্ব পরিচিত ছিলেন না। সম্পাদক সাহেব পত্রটি লিখেছিলেন ''নতুন নরওয়েজিয়ান ভাষায়।'' নতুন নরওয়েজিয়ান ভাষা জানা না থাকলেও, বার্তা পড়ের সারমর্ম অনুমান করতে পেরেছিলাম বিশেষ করে সম্মানীর ঘরে পাঁচ অংকের সংখ্যাটা দেখে। বিশ্বাসও  করতে ভালো লাগছিল আবার দ্বিধায়ও ভুগছিলাম, কারণ এই অংকের সম্মানী একটা কার্টুনের জন্য এই দেশে কেউ আমাকে প্রস্তাব করে নাই। আবার ভাবছিলাম অনুমান ভুলও হতে পারে, কারণ অনুমান সব সময় সঠিক হয় না। দ্বিধা দূরকরা প্রয়োজন, তাই আমার অন্যতম ঘনিষ্ট বান্ধবীর সহায়তা নিলাম। তাকে জিজ্ঞাসা করার লক্ষ্যে একটা রেস্তোরাঁয় আমন্ত্রণ জানালাম। এরপর জিজ্ঞাসা করলাম, সম্পাদক সাহেব কি বলতে চেয়েছেন, আমি তো এই সংখ্যাটা ছাড়া আর কিছু তেমন বুঝি নাই।  তুমি কি আমাকে ই-বার্তাটা বুঝিয়ে বলবে।  তো, তার ব