একটা কার্টুন আর পাঁচ অংকের সম্মানী

সম্প্রতি নরওয়ের একটি সাময়িক পত্রিকায় প্রকাশিত আমার একটি রাজনৈতিক কার্টুন।  
কার্টুনের বিষয়: রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটে নরওয়ে ২০১৫। 
 
মাস দুয়েক আগে এক সাময়িক পত্রিকার সম্পাদকের নিকট হতে একখানা ই-পত্র পেয়েছিলাম। আমার ই-পত্রের ঠিকানা তিনি  কোথায় পেয়েছিলেন তা আমার অজানা। কারণ- তিনি আমার পূর্ব পরিচিত ছিলেন না।
সম্পাদক সাহেব পত্রটি লিখেছিলেন ''নতুন নরওয়েজিয়ান ভাষায়।'' নতুন নরওয়েজিয়ান ভাষা জানা না থাকলেও, বার্তা পড়ের সারমর্ম অনুমান করতে পেরেছিলাম বিশেষ করে সম্মানীর ঘরে পাঁচ অংকের সংখ্যাটা দেখে।
বিশ্বাসও  করতে ভালো লাগছিল আবার দ্বিধায়ও ভুগছিলাম, কারণ এই অংকের সম্মানী একটা কার্টুনের জন্য এই দেশে কেউ আমাকে প্রস্তাব করে নাই। আবার ভাবছিলাম অনুমান ভুলও হতে পারে, কারণ অনুমান সব সময় সঠিক হয় না।
দ্বিধা দূরকরা প্রয়োজন, তাই আমার অন্যতম ঘনিষ্ট বান্ধবীর সহায়তা নিলাম। তাকে জিজ্ঞাসা করার লক্ষ্যে একটা রেস্তোরাঁয় আমন্ত্রণ জানালাম। এরপর জিজ্ঞাসা করলাম, সম্পাদক সাহেব কি বলতে চেয়েছেন, আমি তো এই সংখ্যাটা ছাড়া আর কিছু তেমন বুঝি নাই।  তুমি কি আমাকে ই-বার্তাটা বুঝিয়ে বলবে।  তো, তার ব্যাখ্যা শোনার পর আমি পরোপুরি নিশ্চিত হলাম, যে ''সম্পাদক সাহেব আমার একটা কার্টুন তার পত্রিকায় প্রকাশ করতে চান আর সেই কার্টুনের সম্মানী বাবদ আমাকে পাঁচ অংকের সংখ্যাটা'র নরওয়েজিয়ান ক্রোনার প্রস্তাব করেছেন। 
আমি তখন খুশিতে গদগদ, বান্ধবীকে বললাম ''আজ রেস্তোরাঁয় যা খুশি পানাহার করতে পারো, পাওনা আমি পরিশোধ করব।''
আমার এইরূপ প্রস্তাবে আমার বান্ধবীও খুব খুশি। সেও খুশি মনে বলল ''আমি চাই তুমি প্রতিদিন এইরকম ভালো ভালো কাজের প্রস্তাব পাও, তাহলে তোমার সাথে রেস্তোরাঁয় গেলে পাওনা পরিশোধ করা নিয়ে আমাকে আর চিন্তা করতে হবে না।''

আমি জানি শকুনের দোয়ায় কখনো গরু মরে না।  কিন্তু হঠাত্করে অন্য আর একটা  সাময়িক পত্রিকার সম্পাদিকা  আমাকে ই-বার্তা পাঠিয়েছিলেন দুই সপ্তাহ আগে। যথারীতি তিনিও আমাকে পাঁচ অংকের সংখ্যার নরওয়েজিয়ান ক্রোনার সম্মানী দিবেন বলে জানিয়েছেন। 

Comments

Popular posts from this blog

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর

শিশু দিবস

From Procrastination to Action: Redefining My Priorities