Posts

আন্তঃডাকাতি

Image
চিত্র: প্রতীকী আন্তঃজালে নাটক বা চলচ্চিত্র দেখার একটি আন্তঃনাট্যশালা আছে, সেখানে যে কেউ সদস্য হতে পারে, এবং মাসিক অর্থ প্রদানের ভিত্তিতে আত্মবিনোদিত হতে পারে অর্থাৎ, নাটক বা চলচ্চিত্র উপভোগ করতে পারে। গতপরশু রাতে গতানুগতিক একটি চলচ্চিত্র দেখছিলাম। হঠাৎ খাতাযন্ত্রের পর্দায় পরপর দুটি বার্তা প্রাপ্তির প্রজ্ঞাপন ভেসে উঠলো। বার্তা দুটি পড়ার পর বুঝতে পারলাম কেউ একজন অবৈধ অনুপ্রবেশ করে আমার আন্তঃনাট্যশালয় যোগ করা আমার আন্তঃবার্তা ঠিকানা এবং মুঠোফোনের সংখ্যা পরিবর্তন করেছেন। সোজা বাংলায় বলতে গেলে কেউ এক জন উক্ত আন্তঃনাট্যশালায় আমার প্রবেশাধিকার ডাকাতি করে ছিনিয়ে নিয়েছেন।  দূরদর্শনের পর্দায় আমার আন্তঃবার্তা ঠিকানার স্থলে অজানা একটি ঠিকানা দেখতে পেয়ে হতচকিত হলাম। এরপর আমি কোলযন্ত্র দিয়ে উক্ত আন্তঃনাট্যশালয় আমার তথ্য দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করতেই, পর্দায় ভেসে উঠলো "আপনি ভুল তথ্য প্রবেশ করিয়েছেন", নিরুপায় হয়ে আমি যথাযথ কতৃপক্ষের সঙ্গে বার্তা পাঠিয়ে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হলাম। সর্ব শেষ চেষ্টা হিসেবে আমি তাদের সাথে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিলাম এবং তাদের যোগাযোগে

দুপুরের ঘটনা

Image
চিত্র: প্রতীকী আজ দুপুরে রাজধানীতে, আমি একটা বিপণন বিতানের মধ্যবর্তী পথ ধরে আমার গন্তব্যের দিকে যাচ্ছিলাম, দূর থেকে স্বচ্ছ কাঁচের দরজা দিয়ে দেখতে পেলাম এক লোককে জন নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা জোড় করে গাড়িতে তুলছে, পাশে কিছু লোকজন ছিলো যাঁরা ঐ স্থান দ্রুত ত্যাগ করে দূরে সরে যাচ্ছে। আমি আর একটু নিকটে অগ্রসর হতেই, অর্থাৎ বিপণন বিতানের সদর দরজা দিয়ে বের হতেই ঘটনা সমূহের কারণ আমার কাছে পরিস্কার হতে লাগলো। নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা যে ব্যক্তিকে জোড় করে গাড়িতে তুলেছে, তিনি গাড়ীর ভিতর থেকেই খেজুরে ভাষায়, স্বর্গ দেবের স্বর্গীয় পুস্তকের প্রথম বাক্য চিৎকারের সহিত বারংবার উচ্চারণ করছে। নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মীরা গাড়ীর ভিতরে আটক ব্যক্তিকে উক্ত বাক্য সমূহ উচ্চারণ করতে নিষেধ করে যাচ্ছেন, কিন্তু ভিতরে আটক ব্যক্তি তাতে কর্ণপাত করছেন না। আর দশ জন পথচারীর ন্যায় আমিও সেদিকে দৃষ্টিপাত না করে আমার গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হতে লাগলাম।

ফোনালাপ

Image
আমার জীবনের প্রথম ফোনটা ছিলো নকিয়া ১৬০০ আর এটি ছিলো ২০০৫ সালে। সে সময় ফোনটি ব্যবহার করে ফোন কল এবং ক্ষুদ্র বার্তা পাঠানোর পাশাপাশি গেম খেলা যেতো। সে সময় ফোনটি আমার প্রিয় ছিলো। এরপর ফোনটি   হারানোর পর নতুন একটি নকিয়া ফোন কিনেছিলাম যেটাতে ক্যামেরা ছিলো, ছবি তোলা এবং ভিডিও করা যেতো, আমার কাছে সবচেয়ে বড় বিষয় ছিলো যে এটি দিয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করা যেতো, কম্পিউটারের সাথে ফোনটিকে যুক্ত করলেই ইন্টারনেট মোডেম হিসেবে কাজ করতো। যাই হোক দেশ ত্যাগের পর ২০১০ সালে ছোট একটা স্যামসং ফোন কিনে ছিলাম ক্ষণস্থায়ী ব্যবহার করার জন্য। তবে ২০১১ সালে আইফোন কেনার পর স্যামসং ফোন সেট তো দূরের কথা নম্বরটিও ব্যবহার করিনি। আইফোন ফোর এস একটানা ছয় বছর ব্যবহার করেছি, বেশ ভালো সেবা দিয়েছিলো ফোনটি। শেষের দিকে ২০১৭ সালে মনে হলো ফোনটি বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছে, অনেকটা ধীর গতিতে কাজ করছে, কোন একটা বাটনে ক্লিক করলে সময় নিত প্রায় পাঁচ থেকে দশ সেকেন্ড। পরিশেষে বিরক্ত হয়ে নতুন ফোন কেনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। সে সময় আইফোনের সর্ব শেষ সংস্করণটি ছিলো আইফোন সেভেন প্লাস। বড় পর্দার শতাধিক বৈশিষ্ট্য যুক্ত ফোন, তথ্য ধারণ ক্ষমত