Posts

বাংলা ভাষা

Image
বাংলা এমন একটি ভাষা, যে ভাষা বক্তাকে দেয় স্বাধীনতা; ভাব প্রকাশের, ব্যাক্য গঠনের, শব্দ চয়নের। যথা: “ আমি ভাত খাই। আমি খাই ভাত। খাই আমি ভাত। খাই ভাত আমি। ভাত খাই আমি। ভাত আমি খাই ”। সকলই সঠিক বাক্য ভাব প্রকাশে। বাংলা এমন একটি ভাষা, যে ভাষায় লিঙ্গ বৈষ্যম্য বিলীন। নারী ও পুরুষ কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে একই বাক্যে বলতে পারে; আমি তোমায় ভালোবাসি। আমি তোমায় ভালোবাসি। বাংলা এমন একটি ভাষা, যে ভাষায় মানুষ প্রকাশ করে সম্মান, ভালোবাসা, স্নেহ; আপনি, তুমি, তুই আবেগ ও সম্পর্কের অনুপাতে। বাংলা পৃথিবীর সহজতম ভাষা, এ ভাষা বাঙালির ঐতিহ্য, আবেগ প্রকাশের পরিভাষা।

এই মানুষ বনে গেলে বন মানুষ হয়

Image
আমার নানী প্রায়শ বলতেন “এই মানুষ বনে গেলে বন মানুষ হয়।” যদিও কথাটির মাঝে যুক্তি এবং দর্শন আছে, তথাপিও সে সময় এই কথার অর্থ বুঝতাম না, তবে এখন উক্ত কথাটির মর্মার্থ বুঝতে পারি। প্রকৃতপক্ষে আমি স্বয়ং উক্ত কথাটির একটি বাস্তব উদাহরণ।  উদাহরণ ১: শৈশবে (আজ থেকে ২০-২৫ বছর আগে) যখন গ্রামে থাকতাম তখন ডোবায় বা পুকুরে ডুব দিয়ে হাতরিয়ে হাতরিয়ে মাছ ধরে আনতাম। সময়ের বিবর্তনে ডুব দিয়ে এখন ২ মিটার পানির নিচের বস্তু তুলে আনতে ব্যর্থ হয়েছি সম্প্রতি এক পরিক্ষায়। উদাহরণ ২: দেশে থাকতে শীতকালে একসাথে ৫-৬ টা গরম কাপর পরে শীতের হাত থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার চেষ্টা করতাম এক সময়। বর্তমানে শীত প্রধান দেশে, মাইনাস ১০ ডিগ্রি ঠান্ডায় টি শার্ট গায়ে দিয়ে একটানা ৩০ মিনিট হাটাহাটি করার রেকর্ড করেছি। শুধু তাই নয় ২০১৩ সালে একবার এক নদের উপর ৩ ফিট পুরু জমে যাওয়া বরফ কেঁটে নদের পানির উপর ভাস্কর্য বানিয়েছিলাম একটানা ৭ দিন পরিশ্রম করে।  সারকথা: সময় পরিবেশ পরিস্থিতির সাথে ব্যক্তি বা বস্তুর প্রকৃতি পরিবর্তিত হয়।

শৈশবের গল্প এবং মুক্তা ভাই

বর্ষাকাল। আমরা তখন গাড়াদহ গ্রামে থাকি, নতুন বাড়িতে। আমি তখন খুব ছোট, ছোট ওয়ানে পড়ি সম্ভবত। আমার চেয়ে বেশ কয়েক বছরের বড় এক ফুপাতো ভাই ছিলেন, নাম মুক্তা। তিনি তখন ক্লাস থ্রি কি ফোরে পড়েন। আমি এবং চাচাতো ভাই জুয়েল তার ভীষণ রকমের ভক্ত ছিলাম। তিনি নতুন কিছু কিনলেই সেটা আমাদের দেখাতেন এবং গল্প করতেন। একবার মুক্তা ভাই জিজ্ঞাসা করলেন, বলতো এক কলমে কয় শীষ? আমি বললাম এক কলমে এক শীষ। তিনি তখন বললেন এক কলমে দুই শিষ দেখেছিস কখনো? এক কলম দিয়ে দুই রঙের লেখা যায়, লাল এবং নীল। এই রকম কলম আমরা আগে কখনো দেখিনি, তাই বিষয়টা আমাদের অজানা ছিলো। আমি আর জুয়েল একে অন্যের মুখের দিকে তাকিয়ে বললাম, তাই কখনো হয় নাকি? আমাদের তিনি অবাক করে দিয়ে তার পকেট থেকে একটা কলম বের করলেন, যেটাতে দুই রঙের কালি ছিলো। তিনি আমাদের হাতে দাগ টেনে এক কলমে যে দুই রঙের লেখা যায় তার প্রমাণ দিলেন। তখন ইকোনো বলপেনের ব্যাপক প্রচলন ছিলো, মুক্তা ভাই দুইটা বলপেন বের করে বললেন, দুই কলম জোড়া লাগাতে পারবি? যমজ কলম বানাতে পারবি? ছোট মাথায় তখন অত কিছু খেলতো না। তাই বললাম সেটা কি করে সম্ভব? জুয়েল বলল কলম কখনো যমজ হয় নাকি