Posts

আমার আন্তঃজাল বেতার

Image
২০১১ সালে একবার খুব ইচ্ছে হলো আন্তঃজাল ভিত্তিক একটি বেতার মাধ্যম চালু করার। সেই বছরেই জুলাই মাসের মাঝামাঝি আন্তঃজাল বেতার চালুও করেছিলাম। প্রথম দিকে অনুষ্ঠান সম্প্রচার করতাম আমার নিজস্ব পরিগণক থেকে, আর অনুষ্ঠান হিসেবে যা প্রচার করতাম তা ছিল আমার পছন্দের গান। পরিগণকটি প্রায়শঃ যান্ত্রিকত্রুটির কারণে সংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যেতো আর এই কারণে সম্প্রচারেও প্রায়ই বিঘ্ন ঘটতো। এরপর বহু পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও ভেবে-চিন্তে স্থায়ী সমাধান বের করি এবং ফরাসি থেকে মেঘ ঊর্ণ গুদাম ক্রয় করি। সেই থেকে আমার আন্তঃজাল বেতার নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে একযোগে অনুষ্ঠান প্রচার করে আসছে। এরপর শ্রোতাপ্রিয়তা বাড়ার সাথে সাথে ২০১৪ সালে নতুন নামে এবং নতুন ভাবে কার্যক্রম চালু, ইংরেজি ও বাংলা দুটি পৃথক মাধ্যমেও অনুষ্ঠান সম্প্রচার শুরু করি। বর্তমানে ১৫০টির ও বেশি দেশ থেকে মানুষ আমার আন্তঃজাল বেতার শুনে থাকে। গত জুন মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি বার এবং নিম্নদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি সময় ধরে শোনা হয়েছে  FnF.FM ইংরেজি মাধ্যমটি। অন্যদিকে FnF.FM বাংলা বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি বার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে সবচেয়ে বেশি সম

গ্রীষ্মকালীন গৃহউৎসব

প্রতিবছর স্থানীয় নরয়েজিয়দের গ্রীষ্ম, শীত, শরৎ ও বসন্তকালীন বিভিন্ন উৎসবে আমি আমন্ত্রণ পেয়ে থাকি। এবং তাদের সাথে উৎসব উজ্জাপনও করে থাকি।  গতকালকে, একটি নরওয়েজীয় পরিবার ও তাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে গ্রীষ্মকালীন গৃহউৎসব উৎযাপনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছিলাম। বিকেল পাঁচটায় নিমন্ত্রণকারী গাড়ি নিয়ে এসেছিল আমাকে বাসা থেকে নিতে। উৎসবে পানাহার এর সাথে সাথে আমরা মেতে ছিলাম বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ আলোচনায়।  উক্ত অনুষ্ঠানে যে সকল পুরুষগণ এসেছিলো, একমাত্র আমার বাদের সকলের স্ত্রী থাই বংশোদ্ভূত। থাইদেশের লোকজনদের সাথে কথা বলে আমি যেটা বুঝি, তা হল তাঁরাও বাঙালিদের মত আন্তরিক, অতিথি পরায়ণ এবং মিশুক।  আগত পুরুষগণের মধ্যে এক ষাট ঊর্দ্ধ প্রবীণ লোক ছিলেন যিনি চার বছর আগে আমার প্রতিবেশী ছিলেন এবং তিন বছর হলো থাইদেশ থেকে এক যুবতী মহিলাকে বিয়ে করে নরওয়েতে এনেছেন। সাবেক প্রতিবেশীর সাথে করমর্দন করার পর তিনি তার নতুন স্ত্রীর সাথে যখন পরিচয় করিয়ে দিচ্ছিলেন তখন তার স্ত্রী জানালেন যে, তিনি আমাকে চেনেন।  নতুন স্ত্রীর মুখে আমার সম্পর্কে শোনার পর প্রবীণ লোকটি কৌতূহলী হয়ে স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করলেন, ''এনার সাথে তো তোম

বাংলাদেশি চিংড়ি

Image
আমি প্রায়ই বাজার থেকে প্যাকেটজাত চিংড়ি মাছ কিনতাম। কিন্তু ঠিক কখনোই বুঝতে পারিনি মাছ গুলো কোন দেশি। সেদিন রান্না করার পর নরওয়েজিয়ান এক অতিথি এসেছিলো। তিনি খেতে খেতে বললেন এই চিংড়ি মাছ গুলো নরওয়েজিয়ান চিংড়ি  মাছ থেকে ভিন্ন, কোথা থেকে কিনেছো,  এ গুলো কোন দেশি?  প্যাকেট হাতে নিয়ে হাতড়াতে হাতড়াতে দেখতে পেলাম এক জায়গায় ডাচ ভাষায় লেখা আছে ''Product uit Bangladesh'' অর্থাৎ বাংলাদেশের পণ্য। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশি হিসেবে গর্বে বুকটা ভরে উঠলো।  হতচকিত আমি সঙ্গে সঙ্গে উচ্ছল কণ্ঠে অতিথিকে জবাব দিলাম, কোন দেশি মানে? এটা তো আমার দেশের চিংড়ি, বাংলাদেশি চিংড়ি।  অতিথির পাতে আরো কিছু চিংড়ি তুলে দিয়ে বললাম, খান, মজা করে খান। অতিথি মজা করে খেতে লাগলো।  খাওয়া দাওয়া শেষে অতিথিকে ঐ চিংড়ির দোকানের ঠিকানা জানিয়ে বললাম বাংলাদেশি চিংড়ি লাগলে ঐ দোকান থেকে কিনে নিবেন। আর সবাইকে বলবেন বাংলাদেশি চিংড়ি অনেক সুস্বাদু।    আমার দেশের পণ্য সীমানা পেরিয়ে ছড়িয়ে যাক বিশ্বময় আর অর্থনীতিতে স্বাবলম্বী হোক আমার মাতৃভূমি। 

আমার দুইটি কথা - ২

গতরাতে দেখলাম আরব দেশ থেকে কিছু জঙ্গি বাংলা ভাষায় আমাদের হুমকি দিয়ে ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর কেউ কেউ কোনো কিছু না ভেবেই হুজুকে সর্বসমক্ষে শেয়ার করে যাচ্ছে।  আমরা বাঙালিরা যে হুজুকে  বাঙালি সেটা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না এর প্রমান আমরা বহুবার দিয়েছি অতীতে।  সর্বসমক্ষে ভিডিওটা শেয়ার করায় লাভটা কার হচ্ছে? ১. জঙ্গিরা ভিডিও বার্তা ছেড়েছে আর আপনি (তাদের হয়ে) তাদের বার্তা পৌঁছে দিচ্ছেন সবার কাছে।   ২. সর্বসমক্ষে শেয়ারের মাধ্যমে আপনি কিন্তু জঙ্গিদের প্রচারক হিসেবে কাজ করছেন, আর আপনার কারণেই জঙ্গিরা সর্বব্যাপী প্রচারণা ও পরিচিতি পাচ্ছে। মনে রাখবেন প্রচারেই কিন্তু প্রসার। ৩. আপনার প্রচার করা ঐ জঙ্গি সংগঠনের সন্ত্রাসী নীতি আদর্শের বাণী কারো কারো মনে ভয়ের সৃষ্টি করছে। আর জঙ্গিরা কিন্তু এটাই চায়।    তাই অনুগ্রহ করে জঙ্গিদের হুমকি বার্তা সর্বসমক্ষে প্রচার করা থেকে বিরত থাকুন।   আসুন দেশের এই সংকটময় মুহূর্তে নিজ দেশ ও জাতির প্রতি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেই। আর বেশি বেশি করে প্রচার করি আমরা বাঙালিরা বীরের জাতি, আমরা সন্ত্রাসের নিকট মাথা নত করি না। যে কোনো মুহূর্তে সন্ত্রাস কে মোকাবেলা কর

আমার দুইটি কথা - ১

বাংলায় একটা প্রবাদ বাক্য আছে ''মাছের তেলে মাছ ভাজা'', একটু চিন্তা করলে সহজেই বোঝা যায় জঙ্গি গোষ্ঠীরা গুলশানে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মধ্য দিয়ে ঠিক সেই কাজটা করেই বিশ্বকে দেখালো এবং প্রতিনিয়ত সেটাই করে চলছে। সন্ত্রাসী হামলায় অংশ নিতে তারা কিন্তু আরব বিশ্বের কোনো জঙ্গি দলকে পাঠায় নি, আমাদের জবাই করার জন্য আমার দেশে জন্ম নেয়া কুলাঙ্গারদেরকেই মগজধোলাই করে পাঠিয়েছিল। এতে লাভটা কার হলো? ১. আরব দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীরা বিশ্বকে দেখালো তারা অনেক শক্তিশালী এবং পৃথিবীর সব প্রান্তেই আরবি ভাষায় ধ্বনি দিয়ে হামলা চালাতে তাদের যথেষ্ট গেলমান আছে। ২. বাংলাদেশ সম্পর্কে বহিঃ বিশ্বে নেতিবাচক ধারণা সৃষ্টি হলো, ভাবমূর্তি নষ্ট হলো, দেশের বাজার মন্দা হলো, ক্ষতি যা হওয়ার তার সব কিন্তু আমাদেরই হলো। বাংলায় আরো একটা প্রবাদ আছে, ''সময়ে এক ফোঁড়, অসময়ে দশ ফোঁড়।'' সরকারের উচিত ছিল অবহেলা না করে, দেশে শরীরে জঙ্গি উপসর্গ দেখা দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা দমনে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া। তাহলে আজ আমাদের এই রূপ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হতো না। এখনো সময় আছে দেশের শরীরে যত্রতত্র ফোঁড় দেখা দেয়ার আগেই সরকারের

আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর

Image
 এই গানটির গায়ক: মনোময় ভট্টাচার্য্য ''আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর'' আমার অন্যতম পছন্দের একটি রবীন্দ্র সংগীত, আমি সাধারণত উচ্চস্বরে কখনো গান করি না, তবে এই গানটি আমি প্রায়ই গেয়ে থাকি সে লোকালয়েই হোক আর জনশূন্য প্রাঙ্গণেই হোক। নিচে গানটির কথা ও বিস্তারিত তথ্য দেয়া হলো। আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্যসুন্দর ॥ মহিমা তব উদ্ভাসিত মহাগগনমাঝে, বিশ্বজগত মণিভূষণ বেষ্টিত চরণে ॥ গ্রহতারক চন্দ্রতপন ব্যাকুল দ্রুত বেগে করিছে পান, করিছে স্নান, অক্ষয় কিরণে ॥ ধরণী'পরে ঝরে নির্ঝর, মোহন মধু শোভা ফুলপল্লব-গীতবন্ধ-সুন্দর-বরনে ॥ বহে জীবন রজনীদিন চিরনূতনধারা, করুণা তব অবিশ্রাম জনমে মরণে ॥ স্নেহ প্রেম দয়া ভক্তি কোমল করে প্রাণ, কত সান্ত্বন করো বর্ষণ সন্তাপহরণে ॥ জগতে তব কী মহোৎসব, বন্দন করে বিশ্ব শ্রীসম্পদ ভূমাস্পদ নির্ভয়শরণে ॥ কথা ও সুর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রাগ: ঝিঁঝিট তাল: একতাল রচনাকাল (বঙ্গাব্দ): ১২৯৯ রচনাকাল (খৃষ্টাব্দ): 1892 স্বরলিপিকার: কাঙ্গালীচরণ সেন You are honourably present with the halo at the blissful world. Your majestic appearance gor

টুনস ম্যাগ স্পেশাল ম্যানসন

Image
ক্রোয়েশিয়ার সিসাক শহরে ''রক এন্ড রোল'' নামে দ্বিতীয় বারের মত হয়ে গেল একটি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা। উক্ত আয়োজনে মিডিয়া পার্টনার হিসেবে থাকে আপনাদের টুনস ম্যাগ। এখানেই শেষ নয় ''টুনস ম্যাগ স্পেশাল ম্যানসন/ tOOns MaG Special Mention '' বা টুনস ম্যাগ-এর নামে একটি বিশেষ পুরস্কার দেয়া হয়ে থাকে। বিস্তারিত দেখুন  http://www.toonsmag.com/2016/06/winner-of-2th-miks-2016-all-about-rock.html