Posts

আমার জীবনযাপন

আমার জীবনযাপন সাধারণত আর আর দশ জন মানুষের থেকে একটু আলাদা, বিশেষ করে আমার ছুটির দিন গুলোতে। কারণ- সবাই যখন ঘুমোয় আমি তখন জাগি, আর আমি যখন ঘুমোই সবাই তখন জাগে। এটা আমি আসলে ইচ্ছে করে যে করি তা কিন্তু নয়। এর কারণ- আমি এক সাথে একাধিক প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত, আর সেই কারণে আমাকে সব কিছুতেই সময় দিতে হয়। অনেকে মনে আমি শুধু কাটুন-ই আঁকি এর বাইরে আমি আর কোনো কাজ পারি না বা করি না এই ধারণা কিন্তু ঠিক না। আমি এখানকার বেশ কয়েকটা সংবাদপত্রে ফ্রিল্যান্স কার্টুনিস্ট হিসাবে কাজ করি, লেখাপড়া করি, একটা রাষ্ট্রীয় মন্ত্রণালয়ে বাংলা ভাষার শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত আছি, একটা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ডেভলপার হিসাবে কাজ করি, টুনস ম্যাগ নিয়ে সময় দিতে হয়। যেমন, টুনস ম্যাগের অন্যান্য কার্টুনিস্ট দের কার্টুন ছাপানো, তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। এছাড়া FnF.fm নামে আমার একটা রেডিও চ্যানেল আছে সেখানে অনেক সঙ্গীত শিল্পীরা গান পাঠায়, সেগুলো শুনে শুনে প্রচার যোগ্য গান গুলো প্রচার করতে হয়, তাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। কাজের তালিকায় দিন দিন নতুন নতুন কাজ যোগ হচ্ছে। এরপর আমার একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে, সেখানে রান্নাবান্না, খাওয়া

'যুদ্ধের শিশু' আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী, নরওয়ে - ২০১৫

Image
১২ সেপ্টেম্বর নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, 'যুদ্ধের শিশু' শীর্ষক আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী। উক্ত প্রদর্শনীতে ৫১ টি দেশের ১২৮ জন কার্টুনিস্ট অংশ নিয়েছেন। সর্বমোট কার্টুন জমা পরেছিল ৫৫৮ টি, এর মধ্য থেকে ৭০ টি কার্টুন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে। নরওয়ের বেশ কয়েকটি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে এছাড়া সুইডেন,  স্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ড,অর্মেজিয়া, তুরস্ক, জর্দান ও দক্ষিন আফ্রিকায় প্রদর্শিত হবে। উক্ত  আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজক হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান এবং  সিরিয়ান কার্টুনিস্ট ফাদি আবু হাসান।  সার্বিক সহযোগিতায় নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট হাউজ এবং টুনস ম্যাগ। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন

ছবি আঁকতে দ্বীপে

Image
আমাদের ড্রইং গ্রুপের পক্ষ থেকে ছবি আঁকতে আজ আমরা একটা দ্বীপে গিয়েছিলাম। সুইডেনের সাবেক রাজা অস্কারের নাম অনুসারে দ্বীপের  নাম করণ করা হয়েছে ''অস্কারসবর্গ'' বা অস্কারের দ্বীপ। দ্বীপটা অনেক বিখ্যাত।  দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় ওই দ্বীপটা থেকেই হিটলারের পাঠানো যুদ্ধ জাহাজে গোলা বর্ষণ করে ধ্বংশ করে, নরওয়েকে রক্ষা করা হয়েছিল হিটলারের আগ্রাসন থেকে। দ্বীপটার দুইটি অংশে বিভক্ত যা মাঝখানে ছোট্ট  একটা কাঠের সেতু দিয়ে জোড়া দেয়া। সেতুটার নিচ দিয়ে  ছোট ছোট দ্রুতযান নৌকা চলাচল করে থাকে। দ্বীপের  বড় অংশের উপর পুরাতন একটি কেল্লা। যা আকাশ থেকে দেখলে ইংরেজি D অক্ষরের মত দেখায়। যা এখন জাদুঘরে পরিনত করা হয়েছে। দ্বীপের উপরে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধে ব্যবহৃত দানব আকৃতির কামান গুলো এখনো শোভা পাচ্ছে। দ্বীপের বেশ কিছু স্থানে রয়েছে পাঁচ ছয় মিটারের ছোট ছোট ঝিনুক বালুর সৈকত। পানি প্রচন্ড ঠান্ডা আর লবনাক্ত। পাশ দিয়ে যখন  টাইটানিক-আকৃতির বিশাল বিশাল জাহাজ গুলো যাচ্ছিল তখন ঢেউয়ের সঙ্গে ছোট ছোট তারা মাছ আর ঝিনুকেরা তীরে এসে ভীড় জমাচ্ছিল।  আর কিছু গাংচিল আশেপাশে খাবারের সন্ধান করছিল। আমরা দুপুর থে