Posts

আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস

Image
আজ ২১ ফেব্রুয়ারী, আমার মাতৃ ভাষা দিবস। আজ আমি একা নই, আমার সাথে সারা বিশ্ব পালন করছে। গতকাল নরওয়ের রাজধানী অসলোতে 'আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস' উপলক্ষ্যে, নরওয়ের সাহিত্য পরিষদ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেয়ার জন্য আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল। ফটো ক্রেডিট: সোফিয়া ভেগা উলব্রাতেন সেখানে আমি আমার দেশ ও মাতৃ ভাষার উপরে ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রাখি। কিভাবে আমার সোনার বাংলা, বাংলা থেকে পাকিস্থানে পরিনত হয়েছিল এবং  পাকিস্থানের ছোবল মুক্ত হয়ে বাংলাদেশে রুপান্তরিত হলো। কিভাবে আমার ভাইয়েরা তাদের জীবনের বিনিময়ে আমাদের বাংলা ভাষায় কথা বলার অধিকার এনে দিয়েছিল ১৯৫২ সালের ২১ শে ফেব্রুয়ারী। কিভাবে ২১ ফেব্রুয়ারী আমার মাতৃ ভাষা দিবস থেকে আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসে পরিনত হলো সেই গল্প। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবস পৃথিবীময় পালিত হয়, কিন্ত বিদেশী অনেকেই জানেন না, কেন তারা দিবসটি পালন করছেন, কি হয়েছিল এই দিবসে। বাঙালি হিসাবে এটা আমার, আপনার, সকল বাঙালির দায়িত্ব আন্তর্জাতিক মাতৃ ভাষা দিবসের ইতিহাস সবাইকে জানিয়ে দেয়া। নয়তো বিশ্ব বাসীর কাছে চিরকাল অজানা থেকে যাবে আমাদের গৌরবময় ইতিহাস।

ফেক বন্ধু

একটা সময় ছিল, যখন আমি নব্য ইন্টারনেট ব্যবহারকারী। নতুন নতুন ফেসবুক ব্যবহার করতে শিখেছি। তখন যাকে তাকে ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট পাঠাতাম, আবার যে কেউ ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠালে এক্সেপ্ট করতাম, আসল নকল বুঝতাম না, সে আমার প্রকৃত বন্ধু নাকি শত্রু এত কিছুও ভাবতাম না। এর পর বন্ধুর তালিকা যখন লম্বা হতে হতে, ৫০০০ এ পৌছালো।  তখন বুঝতে পারলাম এই ৫০০০ এর মধ্যে  প্রায় অর্ধেকের বেশি ফেক বন্ধু। তাই বেছে বেছে ফেক বন্ধুদের রিমুভ করা শুরু করলাম। ৫০০০ বন্ধুর মধ্যে বেছে বেছে ফেক বুন্ধু খুঁজে খুঁজে রিমুভ করা অনেক কঠিন একটা কাজ। যা, আমার পক্ষে অসম্ভব, আর অতো সময়ও নাই। তাই জন্মদিন অনুসারে রিমুভ করি। আমি প্রতিদিন, আমার ফেসবুক বন্ধুদের জন্মদিন চেক করি। আজ ২৭ জনের জন্মদিন ছিল এর মধ্যে ৫ জনের প্রফাইল ফেক সন্দেহ হলো। যেমন ৩ বছরের মধ্যে ফেসবুকে কোনো পোস্ট দেন নাই, ফটো পরিবর্তন নাই বা কোনো রকম কার্যক্রম নাই। এই ধরনের প্রফাইলের মালিক হয় মৃত নয় ফেক। এভাবেই আমি প্রতিদিন গড়ে ৩/৪ জন ফেক বন্ধু রিমুভ করি। 

সন্ত্রাসী আক্রমন ও আমার প্রতিক্রিয়া

Image
৭/১/২০১৫ প্যারিসের চার্লি হেব্দ ব্যঙ্গ পত্রিকা অফিসে আক্রমন ও কার্টুনিস্টদের গুলিকরে হত্যা ও আক্রমনটা ছিল প্রকৃত পক্ষে বাক-স্বাধীনতায় আক্রমন।  এটি ছিল পৃথিবীর সকল কার্টুনিস্টদের বিরুদ্ধে আক্রমন। ঠিক গতকালের (১৪/২/২০১৫) কোপেনহেগেনের সন্ত্রাসী আক্রমনটা ছিল প্যারিসের চার্লি হেব্দ ব্যঙ্গ পত্রিকা অফিসে আক্রমন-এর ধারাবাহিকতার ফল।  সন্ত্রাসীরা বোঝাতে চাচ্ছে তারা অনেক শক্তিশালী।  তাদের অনেক ক্ষমতা, ঈশ্বরের মত তারাও সর্ব ক্ষেত্রে বিদ্যমান। আমার হাত সন্ত্রাসীদের ভয় পায়না, তাই আঁকছি নির্ভিক ভাবে। আমি আঁকতেই থাকব যতদিন বেচে থাকব।