Posts

আরিফুর রহমান

Image
এই বছরের জানুয়ারি মাস, একটা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক ছাত্রের ফোন। ৪/৫ জনের একটা দল, তারা একটা স্বল্প দৈঘ্য চলচ্চিত্র বানাবে তাতে আমাকে সহায়তা করতে হবে। আমি থ্রিডি এনিমেশনের ছাত্র, তাছাড়া ফিল্ম নিয়ে কাজ করতে আমার ভালো লাগে। আমি হ্যা জবাব দিলাম। বিষয়বস্তু সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করার পর বলল, তারা আমার উপরে স্বল্প দৈঘ্য চলচ্চিত্র-টি বানাতে চান।  এর পর দুইদিন আমার বাসায় এবং নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে চিত্র ধারণ করলো। ইউটুবে-তারা আপলোড করার অনুমতি চেয়ে কয়েক দিন পর আবার ফোন দিল।  আমি বলাম ঠিক আছে। তারা স্বল্প দৈঘ্য চলচ্চিত্র-তীর নাম দিয়েছে Arifur Rahman - En helt for ytringsfriheten, যার বঙ্গানুবাদ''আরিফুর রহমান - একজন বাকস্বাধীনতার নায়ক'' ।  

সমতিদেন

Image
আজ চিঠির বাকসোটা  খুলতেই মোটা কাগজের একটা বড় একটা খাম পেলাম। খামটা খুলে  দেখতে পেলাম একটা ম্যাগাজিন, যারা বেশ কয়েক মাস আগে আমার আঁকা ২ টি কার্টুন কিনেছিল। সেই কার্টুন দুইটা তারা প্রকাশ করেছে আর সৌজন্য সংখ্যা পাঠিয়েছে।

টুনস ম্যাগ প্রথম আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতা ২০১৬

Image
আমরা অতি আনন্দের সাথে জানাচ্ছি যে টুনস ম্যাগ-এর পক্ষ থেকে একটি আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রতিযোগিতার আয়োজন করতে যাচ্ছি। প্রতিযোগিতার বিষয়ঃ  নারী অধিকার কার্টুন পাঠানোর শেষ সময়ঃ  ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ পরিমাপঃ  A4, ৩০০ DPI. পুরস্কার সমূহঃ  প্রথম পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen & Touch Medium এবং সনদ পত্র । দ্বিতীয় পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen & Touch Small এবং সনদ পত্র । তৃতীয় পুরস্কারঃ Wacom Intuos Pen Small এবং সনদ পত্র । এছাড়াও অতিরিক্ত ৭ জন কার্টুনিস্ট পাবেন বিশেষ পুরস্কার, সনদ পত্র। নীতিমালাঃ ১। যে কোন দেশের ও বয়সের কার্টুনিস্ট এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। ২। কার্টুন মৌলিক এবং অপ্রকাশিত হতে হবে। নকল কাজ গ্রহন যোগ্য নয়। ৩। প্রতিযোগী সর্ব সাকুল্যে ৫ টি কার্টুন জমা দিতে পারবে। কার্টুন সাদাকালো বা রঙ্গিন হতে পারে। সংলাপ ব্যতিত হওয়া উত্তম, সংলাপ ব্যবহার করলে তা ইংরেজিতে হওয়া বাঞ্ছনীয়। ৪। প্রাথমিক ভাবে জমা হওয়া কার্টুন গুলোর মধ্য থেকে আন্তর্জাতিক বিচারক মণ্ডলী প্রতিযোগিতার জন্য যোগ্য কার্টুন সমূহ নির্বাচন করবেন যা  http://bd.toonsmag.com  –এ প্রকাশিত হবে। এবং এই সকল কার্টুনের মধ্য থেক

বর্তমানে ৫ টি ভাষায় টুনস ম্যাগ

অনেকেই হয়ত জানেন টুনস ম্যাগ বর্তমানে ৫ টি ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে, যথাক্রমে: ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, আরবি এবং স্প্যানিশ। প্রতিটি ভাষার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা লেখক এবং সম্পাদনা পর্ষদ । টুনস ম্যাগ কে সর্বাধিক ব্যাবহৃত ভাষা সমূহে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে টুনস ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন ভাষার ১০০ উপরে সেচ্ছাসেবক কার্টুনিস্ট, লেখক ও কর্মী। আগামী ১ লা নভেম্বর টুনস ম্যাগ সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। আপনি টুনস ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত হতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বাংলা:  http://bd.toonsmag.com ইংরেজি:  http://www.toonsmag.com হিন্দি:  http://hi.toonsmag.com আরবি: http://ar.toonsmag.com স্প্যানিশ: http://es.toonsmag.com

অরিয়ার্ক -এর মানচিত্র

Image
বহু দিন ধরেই একটা কমিক হইয়ের আইডিয়া মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।  সেই আইডিয়াটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য গল্প লিখছি ''অরিয়ার্ক''-এর প্রেক্ষাপটে।  অরিয়ার্ক একটি কাল্পনিক মহাদেশের নাম।  আরিফ- থেকে আরি এবং আর্ক শব্দ যোগে ''অরিয়ার্ক''  নাম করণ করা হয়েছে।  উল্লেখ্য আর্ক একটি নরওয়েজিয়ান শব্দ যার অর্থ কাগজ। অরিয়ার্ক দেখতে কেমন হবে, তার ভৌগলিক অবস্থান কেমন হবে তার ভিত্তিতে একটা মানচিত্র তৈরী করেছি। অরিয়ার্ক-এর উত্তরে প্রচন্ড ঠান্ডা, মধ্যাংশে নাতিশীতোষ্ণ, দক্ষিণাংশে গরম আবহায়া। পূর্বে কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। পশ্চিমে সমতল ভূমি। মধ্যভাগে কিছু পর্বতমালা যেখান থেকে উত্পত্তি হয়েছে কিছু নদীর।  আর সেই নদীগুলোকে কেন্দ্র করে করে উঠেছে সভ্যতা ও জনবসতি। শীত প্রধান অঞ্চল সমূহেও গড়ে উঠেছে কিছু সম্রাজ্য। আর অরিয়ার্ক-এর  সাল গননাটা হবে BA (Before Arif) বা আরিফ পূর্বাব্দ ,  AA (After Arif) বা আরিফ অব্দ। অরিয়ার্ক-এর বিভিন্ন স্থান কালের ভিত্তিতে বিভিন্ন জন ও জনগোষ্ঠির গল্প বলার চেষ্টা করব আমার কমিকে।  

সাদা আর ধলা

Image
টুনস ম্যাগের জন্য ধলা আর সাদা নামে এই চরিত্র দুটি দাড় করলাম। খুব সহজ সরল, সাদা-মাঠা চরিত্র। এখন থেকে এই চরিত্র দুটি টুনস ম্যাগের পাঠকদের সাথে কথা বলবে। এবং তারা টুনস ম্যাগের-ই প্রতি নিধিত্ব করবে। সাদা আর ধলা কমিক ধারাবাহিক টুনস ম্যাগে জন্য নিয়মিত প্রকাশিত হবে। টুনস ম্যাগ পড়ুন আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ভবিষ্যতে আর কি কি পড়তে চান তা আমাদের লিখে জানান।

পাছে লোকে কিছু বলে তাই আমিও বলি

সেদিন এক শুভাকাংখী আমাকে অবহিত করলেন যে, অনেক বাংলাদেশীরাই আছেন যারা মনে করে থাকেন আমি নাকি নরওয়েতে এসে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন যাপন করে থাকি। প্রথম কথা: আমি মনে করি: ভিক্ষা, চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাই বাদে সৎ পথে অর্থ অর্জনের সকল পেশাই সম্মানের, সেটা যত ছোট কাজই হোক না কেন। দ্বিতীয় কথা: আমি বাইসাইকেল  চালানোটাও ঠিক মত জানি না। দেশে থাকতে আমার এক আত্মীয়ের বাইসাইকেল ধার করে চালানো শেখার চেষ্টা করেছিলাম বেশ কয়েকবার। শিখতে গিয়ে বেশ কয়েকটা ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলাম। তাই সাইকেল চালানোর ইচ্ছেটা ছিকেয় তুলেছি বহু আগে। এখানে আসার পর আমার এখানকার কথিত নানা-নানী জন্মদিনের উপহার হিসাবে আমাকে একটা বাইসাইকেল কিনে দিয়েছিল সেই ২০১১ সালে। এরপর সাইকেলটাকে সেই যে গ্যারেজে বন্দী করেছি, এরপর আর সাইকেলটাকে নিয়ে কখনো বের হই নাই, চালাতে গিয়ে যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, এই ভয়ে। তৃতীয় কথা: আমার দেশের সমান্তরাল ভূমিতে দুই চাকার সাইকেল চালানোর অযোগ্য আমি, আর বিদেশের এই উচু নীচু ভূমিতে চার চাকার গাড়ি চালাতে গিয়ে যে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? তাই আমি মনের ভুলেও ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার কথা কখনো ভ