Posts

বর্তমানে ৫ টি ভাষায় টুনস ম্যাগ

অনেকেই হয়ত জানেন টুনস ম্যাগ বর্তমানে ৫ টি ভাষায় প্রকাশিত হচ্ছে, যথাক্রমে: ইংরেজি, বাংলা, হিন্দি, আরবি এবং স্প্যানিশ। প্রতিটি ভাষার জন্য রয়েছে আলাদা আলাদা লেখক এবং সম্পাদনা পর্ষদ । টুনস ম্যাগ কে সর্বাধিক ব্যাবহৃত ভাষা সমূহে সমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে এই উদ্যোগ হাতে নেয়া হয়েছে। বর্তমানে টুনস ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছেন বিভিন্ন দেশের ও বিভিন্ন ভাষার ১০০ উপরে সেচ্ছাসেবক কার্টুনিস্ট, লেখক ও কর্মী। আগামী ১ লা নভেম্বর টুনস ম্যাগ সপ্তম বর্ষে পদার্পণ করতে যাচ্ছে। আপনি টুনস ম্যাগের সাথে সম্পৃক্ত হতে চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। বাংলা:  http://bd.toonsmag.com ইংরেজি:  http://www.toonsmag.com হিন্দি:  http://hi.toonsmag.com আরবি: http://ar.toonsmag.com স্প্যানিশ: http://es.toonsmag.com

অরিয়ার্ক -এর মানচিত্র

Image
বহু দিন ধরেই একটা কমিক হইয়ের আইডিয়া মাথার মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছিল।  সেই আইডিয়াটাকে বাস্তবায়ন করার জন্য গল্প লিখছি ''অরিয়ার্ক''-এর প্রেক্ষাপটে।  অরিয়ার্ক একটি কাল্পনিক মহাদেশের নাম।  আরিফ- থেকে আরি এবং আর্ক শব্দ যোগে ''অরিয়ার্ক''  নাম করণ করা হয়েছে।  উল্লেখ্য আর্ক একটি নরওয়েজিয়ান শব্দ যার অর্থ কাগজ। অরিয়ার্ক দেখতে কেমন হবে, তার ভৌগলিক অবস্থান কেমন হবে তার ভিত্তিতে একটা মানচিত্র তৈরী করেছি। অরিয়ার্ক-এর উত্তরে প্রচন্ড ঠান্ডা, মধ্যাংশে নাতিশীতোষ্ণ, দক্ষিণাংশে গরম আবহায়া। পূর্বে কিছু বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। পশ্চিমে সমতল ভূমি। মধ্যভাগে কিছু পর্বতমালা যেখান থেকে উত্পত্তি হয়েছে কিছু নদীর।  আর সেই নদীগুলোকে কেন্দ্র করে করে উঠেছে সভ্যতা ও জনবসতি। শীত প্রধান অঞ্চল সমূহেও গড়ে উঠেছে কিছু সম্রাজ্য। আর অরিয়ার্ক-এর  সাল গননাটা হবে BA (Before Arif) বা আরিফ পূর্বাব্দ ,  AA (After Arif) বা আরিফ অব্দ। অরিয়ার্ক-এর বিভিন্ন স্থান কালের ভিত্তিতে বিভিন্ন জন ও জনগোষ্ঠির গল্প বলার চেষ্টা করব আমার কমিকে।  

সাদা আর ধলা

Image
টুনস ম্যাগের জন্য ধলা আর সাদা নামে এই চরিত্র দুটি দাড় করলাম। খুব সহজ সরল, সাদা-মাঠা চরিত্র। এখন থেকে এই চরিত্র দুটি টুনস ম্যাগের পাঠকদের সাথে কথা বলবে। এবং তারা টুনস ম্যাগের-ই প্রতি নিধিত্ব করবে। সাদা আর ধলা কমিক ধারাবাহিক টুনস ম্যাগে জন্য নিয়মিত প্রকাশিত হবে। টুনস ম্যাগ পড়ুন আর বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন। ভবিষ্যতে আর কি কি পড়তে চান তা আমাদের লিখে জানান।

পাছে লোকে কিছু বলে তাই আমিও বলি

সেদিন এক শুভাকাংখী আমাকে অবহিত করলেন যে, অনেক বাংলাদেশীরাই আছেন যারা মনে করে থাকেন আমি নাকি নরওয়েতে এসে ট্যাক্সি চালিয়ে জীবন যাপন করে থাকি। প্রথম কথা: আমি মনে করি: ভিক্ষা, চুরি, ডাকাতি এবং ছিনতাই বাদে সৎ পথে অর্থ অর্জনের সকল পেশাই সম্মানের, সেটা যত ছোট কাজই হোক না কেন। দ্বিতীয় কথা: আমি বাইসাইকেল  চালানোটাও ঠিক মত জানি না। দেশে থাকতে আমার এক আত্মীয়ের বাইসাইকেল ধার করে চালানো শেখার চেষ্টা করেছিলাম বেশ কয়েকবার। শিখতে গিয়ে বেশ কয়েকটা ছোট খাটো দুর্ঘটনা ঘটিয়েছিলাম। তাই সাইকেল চালানোর ইচ্ছেটা ছিকেয় তুলেছি বহু আগে। এখানে আসার পর আমার এখানকার কথিত নানা-নানী জন্মদিনের উপহার হিসাবে আমাকে একটা বাইসাইকেল কিনে দিয়েছিল সেই ২০১১ সালে। এরপর সাইকেলটাকে সেই যে গ্যারেজে বন্দী করেছি, এরপর আর সাইকেলটাকে নিয়ে কখনো বের হই নাই, চালাতে গিয়ে যদি কোনো দূর্ঘটনা ঘটে, এই ভয়ে। তৃতীয় কথা: আমার দেশের সমান্তরাল ভূমিতে দুই চাকার সাইকেল চালানোর অযোগ্য আমি, আর বিদেশের এই উচু নীচু ভূমিতে চার চাকার গাড়ি চালাতে গিয়ে যে বড় কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না তার কি কোনো নিশ্চয়তা আছে? তাই আমি মনের ভুলেও ব্যক্তিগত গাড়ি কেনার কথা কখনো ভ

ঘুমে বিঘ্ন

যথারীতি আজ আমি বিলম্ব করে ঘুমোতে গিয়েছিলাম। ভোর পাঁচটার দিকে সম্ভবত। সকাল দশটার দিকে আচমকা কলিং বেল বেজে উঠলো। অসময়ে ঘুমে বিঘ্ন ঘটানোয় আমি কিঞ্চিত বিরক্ত। উল্লেখ্য আমার ঘরটা  দোতলায় অবস্থিত আর সদর দরজা নিচতলায়। তবে, কেউ কলিং বেল চাপলে আমাকে নীচতলায় না গেলেও চলে। কারণ- দোতলায় সুইচ লাগানো আছে, তাই আমি সুইচ চাপার সঙ্গে সঙ্গে নীচতলার সদর দরজা খুলে যায়। আর সুইচের পাশে একটা ফোন লাগানো আছে, যা দিয়ে দর্শন প্রাথীর সাথে যোগাযোগ করা যায়, তাই গেট না খুলে আগে জিজ্ঞাসা করলাম ''কে ?'' ওপাশ থেকে অজ্ঞাত এক নারী কন্ঠে জবাব এলো ''আমি একটা প্রচারনায় এসেছি, আপনার সাথে কথা বলতে চাই।'' আমি জিজ্ঞাসা করলাম, ''কি বিষয়ে ?'' ওপাশ থেকে উত্তর এলো, ''আমি যিশু খ্রিস্টের বিষয়ে কথা বলতে চাই, আপনি কি যিশু খ্রিস্টের পৃথিবীতে আগমনের কারণ সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ?'' আমি হাই তুলতে তুলতে জবাব দিলাম, ''জী না, ধন্যবাদ।'' বিছানায় ফিরে গেলাম, কিন্তু ঘুম ততক্ষণে বিদায় নিয়েছে। তাই কম্পিউটার নিয়ে বসে পরলাম।

আমার জীবনযাপন

আমার জীবনযাপন সাধারণত আর আর দশ জন মানুষের থেকে একটু আলাদা, বিশেষ করে আমার ছুটির দিন গুলোতে। কারণ- সবাই যখন ঘুমোয় আমি তখন জাগি, আর আমি যখন ঘুমোই সবাই তখন জাগে। এটা আমি আসলে ইচ্ছে করে যে করি তা কিন্তু নয়। এর কারণ- আমি এক সাথে একাধিক প্রকল্প নিয়ে ব্যস্ত, আর সেই কারণে আমাকে সব কিছুতেই সময় দিতে হয়। অনেকে মনে আমি শুধু কাটুন-ই আঁকি এর বাইরে আমি আর কোনো কাজ পারি না বা করি না এই ধারণা কিন্তু ঠিক না। আমি এখানকার বেশ কয়েকটা সংবাদপত্রে ফ্রিল্যান্স কার্টুনিস্ট হিসাবে কাজ করি, লেখাপড়া করি, একটা রাষ্ট্রীয় মন্ত্রণালয়ে বাংলা ভাষার শিক্ষক হিসাবে নিযুক্ত আছি, একটা প্রতিষ্ঠানের ওয়েব ডেভলপার হিসাবে কাজ করি, টুনস ম্যাগ নিয়ে সময় দিতে হয়। যেমন, টুনস ম্যাগের অন্যান্য কার্টুনিস্ট দের কার্টুন ছাপানো, তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা। এছাড়া FnF.fm নামে আমার একটা রেডিও চ্যানেল আছে সেখানে অনেক সঙ্গীত শিল্পীরা গান পাঠায়, সেগুলো শুনে শুনে প্রচার যোগ্য গান গুলো প্রচার করতে হয়, তাদের সাথেও যোগাযোগ রক্ষা করতে হয়। কাজের তালিকায় দিন দিন নতুন নতুন কাজ যোগ হচ্ছে। এরপর আমার একটা ব্যক্তিগত জীবন আছে, সেখানে রান্নাবান্না, খাওয়া

'যুদ্ধের শিশু' আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী, নরওয়ে - ২০১৫

Image
১২ সেপ্টেম্বর নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট গ্যালারিতে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে, 'যুদ্ধের শিশু' শীর্ষক আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী। উক্ত প্রদর্শনীতে ৫১ টি দেশের ১২৮ জন কার্টুনিস্ট অংশ নিয়েছেন। সর্বমোট কার্টুন জমা পরেছিল ৫৫৮ টি, এর মধ্য থেকে ৭০ টি কার্টুন নিয়ে এই আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনী শুরু হতে যাচ্ছে। নরওয়ের বেশ কয়েকটি গ্যালারিতে প্রদর্শিত হবে এছাড়া সুইডেন,  স্লোভাকিয়া, নেদারল্যান্ড,অর্মেজিয়া, তুরস্ক, জর্দান ও দক্ষিন আফ্রিকায় প্রদর্শিত হবে। উক্ত  আন্তর্জাতিক কার্টুন প্রদর্শনীর আয়োজক হিসাবে রয়েছেন বাংলাদেশী কার্টুনিস্ট আরিফুর রহমান এবং  সিরিয়ান কার্টুনিস্ট ফাদি আবু হাসান।  সার্বিক সহযোগিতায় নরওয়েজিয়ান কার্টুনিস্ট হাউজ এবং টুনস ম্যাগ। এই বিষয়ে আরো বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন